অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖Part : 25

Islamic গল্প😊

“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖

Part : 25

অর্ণব : তানহা…. এই তানহা কি হইছে।

তানহা মাথা নিচু করে, মুখে হাত দিয়ে, কোন কথা না বলে কেঁদেই যাচ্ছে।

অর্ণব : কি হয়েছে বাসের সবাই কোথায় গেছে? আর আপনি একা একা কাঁদছেন কেন? চুপ করে থাকিয়েন না আমার টেনশন হচ্ছে। দয়া করে বলুন!

তানহা : হেল্পার বললো সামনের রাস্তায় নাকি অনেক মারামারি হয়েছে। কারা জানি ধর্মঘট করছে। তাই আজ বাস ছাড়বে না। আশেপাশের কোন গাড়িই সামনে যাবেনা আজকে।আমি তাহলে কিভাবে পরিক্ষা দেব?

আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। যাক তানহার কিছু হয় নি! আল্লাহকে শুকরিয়া জানাইলাম। বললাম,
অর্ণব : চিন্তা করিয়েন না।

হাদিসে আছে,

“আল্লাহ যা করেন তা বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন।”
-(মুসলিম হা/৭৭১)💕

তানহা : হুম। সবকিছুতেই কিছু না কিছু কল্যাণ নিহিত থাকে। যেমন

হাদিসে এসেছে,

“যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মুমিনের ব্যাপারটি কতই না বিস্ময়কর! তার সমস্ত কাজই তার জন্য কল্যাণকর। যদি তাকে কোন মঙ্গল স্পর্শ করে, সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি তাকে কোন মন্দ স্পর্শ করে, সে সবর করে। আর এটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়।”
-(মুসলিম হা/২৯৯৯; মিশকাত হা/৫২৯৭)💕

(এজন্যই তো আপনাকে এতটা ভালো লাগে। আল্লাহর কাছে এজন্যই বউ হিসেবে আপনাকে চাইছি। আপনিই আমার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর। তাই তো আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করে আপনাকে আমার জীবনে পাঠিয়েছে। আল্লাহকে হাজার হাজার শুকরিয়া!)
তানহা কিছুক্ষণ আগে আমাকে রাগাইছিলো। তাই একটু মজা করার জন্য বললাম,
অর্ণব : আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি ভালো থাকিয়েন। আমি গেলাম।

তানহা : গেলাম মানে? আপনি কোথায় যাচ্ছেন?

অর্ণব : বাসের ভিতরের বাকি লোকগুলা কোথায় গিয়েছে যানেন না?

তানহা : হুম। অনেকেই তাদের পরিচিতদের বাড়ি, অনেকে আবার আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি, আর বাকিরা রাতে থাকার ব্যবস্থা করতে।

অর্ণব : গুড। এইতো বুঝতে পারছেন। আমিও তেমনটাই করতে যাচ্ছি। আপনি একটা কাজ করেন এখানেই ঘুমান কাল সকালে গিয়ে পরিক্ষা দিয়ে আসবেন। টাটা।

তানহা : প্লিজ, আপনি কোথাও যাইয়েন না।

অর্ণব : এই নির্জন জায়গায় আমি বাসে থাকতে পারব না, আপনি থাকেন আমি যাই।

বলেই পিছনে ঘুরে বাস থেকে নামার জন্য হাটা শুরু করলাম। ফোনটাতেও চার্জ নাই,বন্ধ হয়ে আছে। তার উপর আবার তানহা আমার সাথে। এখন তো ওর নিরাপত্তার দায়িত্বটাই মূল হয়ে উঠেছে। ধুর অনেক বড় বিপদে পড়লাম। পিছনে তাকিয়ে দেখি তানহা ব্যাগ নিয়ে আমার পিছু পিছু আসতেছে। আমি মুচকি হাসলাম। অন্ধকারের জন্য তানহা দেখতে পায় নি। আমার ভবিষ্যৎ বউটাকে বললাম,
অর্ণব : আপনি আমার পিছনে পিছনে কেন?

তানহা : আমিও আপনার সাথে যাবো। প্লিজ না করেন না, আমি একা একটা মেয়ে কোথায় যাবো বলেন! আর নির্জন রাস্তা কিছু একটা যদি হয়ে যায়। আজ কালের ছেলেরা ভালো না….

অর্ণব : ওমা তাই নাকি। আর আমি বুঝি চার যুগ আগেকার ছেলে?

তানহা : আপনাকে আমি ভালোভাবেই চিনি। অন্ততপক্ষে আমার ক্ষতি করবেন না। ক্ষতি করতে চাইলে আমি ঘুমানোর সময়ই করতেন। আর আপনি একজন দ্বীনদার তাই ভুল করেও চেষ্টা করবেন না। এমনকি এখনও আপনি অন্যদিকে তাকায় আমার সাথে কথা বলতেছেন। এর থেকে বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে।

অর্ণব : না। আমি আপনাকে সাথে নিয়ে যাবো না। এখন আপনি আসতে পারেন।

(তানহা কাঁদতে শুরু করলো!)

বললাম,
: হাহাহা! আমার দায়িত্ববোধ আছে বুঝলেন। আর আমি কখনোই একটা মেয়েকে এভাবে ছেড়ে যাইতাম না। কেননা,

পবিত্র কুরআনে আছে

“পুরুষ হিসেবে মহিলাদের সুরক্ষা দিন।”
-(০৪ঃ ৩৪)💕

কাঁদতে হবে না। আমি বদলা নিলাম। বৃদ্ধার সামনে আমাকে কি বলছিলেন মনে আছে?

ব্যাগটা দেখায়,
তানহা : এটা দিয়ে আপনার মাথায় মারতে ইচ্ছা করতেছে। আমি কতটা ভয় পাইছিলাম জানেন?

অর্ণব : হাহা। আর আমার মনে হচ্ছে রাগ উঠেনি!

তানহা : ক্ষমা তো চাইলাম। আর আপনার জন্যই আমি এখানে একা বসে ছিলাম। অপেক্ষা করতেছিলাম কখন আসবেন।

অর্ণব : আপনি কিভাবে ভাবলেন আমি আপনাকে একা রাখে যাবো? আপনার প্রতি তো আমার দায়িত্ব আরো বেশি। কারণ আপনার সাথে তো আমার ইয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আপনাকে একা ছাড়তে পারি?

তানহা লজ্জায় হাত দিয়ে মুখ ঢাকলো।
তানহা : আপনার কি লজ্জা নাই?

অর্ণব : Oh hello Mam! লজ্জা আছে বলেই ইয়ে বললাম। বিয়ে বলি নি।

তানহা : আপনি একটা…!

অর্ণব : আমি একটা?

তানহা : কিছুনা চলেন এখন।

অর্ণব : আগে হিজাব আর নিকাব পড়ে নেন। বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি না। আর মনে হয় না রাতে আবার বাসে ফিরে আসবো।

তানহা : ধন্যবাদ মনে করে দেওয়ার জন্য।

অর্ণব : ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই। এখন থেকে এটা আমার দায়িত্ব বুঝলেন।

তানহা : হইছে। এতটা রোমান্টিক হতে হবে না। এখনো ইয়ে হয় নি।

অর্ণব : ইয়ে মানে?😜

তানহা : চুপচাপ সাহায্য করেন না হলে থাপ্পর খাবেন।

আর কথা না বাড়ায় নিরাপদ দূরত্ব থেকে তানহাকে হিজাব আর নিকাব পড়তে সাহায্য করলাম। তারপর ব্যাগ গুছিয়ে সবকিছু ঠিক আছে নাকি সব দেখে, সব কিছু নিয়ে বাস থেকে নামলাম। তারপর একসাথে হাঁটা দিলাম। ঘড়িতে দেখলাম এগারোটা চল্লিশ বাজে।

আমি আর তানহা দুজনে পাশাপাশি হাটতেছি। রাস্তা পুরোটাই ফাঁকা। কিছুক্ষণ আগে আসার সময় মাঝে মাঝে দুএকটা বাস লরি যাচ্ছিলো কিন্তু এখন একটাও না। সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ। চারপাশটা নির্জন আর রাস্তার দুপাশে সারি সারি ধান ক্ষেত। অনেক দূর পর্যন্ত বাড়ি দেখা যাচ্ছে না। আর আমরা একা একা হাটতেছি। পরিবেশটা সত্যিই অনুভব করার মতো। আর সবচেয়ে বড় কথা আমার পাশের মেয়েটা তানহা যার সাথে আমার বিয়ে হবে ইনশাল্লাহ। আর তাকে আমি প্রচুর ভালোবাসি। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমার থেকে ভাগ্যবান আর কেউ নেই।

মনে মনে,
তানহা : কিছুক্ষণ আগেই আমার ইচ্ছা হচ্ছিলো উনার সাথে হাটার। ইচ্ছাটা এতো তাড়াতাড়ি পূরণ হবে এটা ভাবতেও পারিনি। আমরা দুজন একসাথে রাতের বেলা হাটতেছি। তাও আবার একা একা! চারপাশটা কি নিস্তব্ধ আর এত রোমান্টিক পরিবেশ। উফফ! ভাবতেই একটা অন্যরকম ভালোলাগা অনুভব হচ্ছে। এরকম যেনো সারাজীবন উনার পাশে হাটতে পারি। নিরবতাটা আমিই ভাঙ্গলাম,
: তা আপনার নামটা তো জানা হলো না।

অর্ণব : আমার নাম অর্ণব। অর্ণব আহমেদ। তা আপনার নাম কি?

তানহা : আমার নামটা এখন অজানাই থাক। একদম বিয়ের সময় দেখে নিয়েন।

অর্ণব : আহ-হা😜

তানহা লজ্জায় দাঁড়ায় গেলো আর হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নিলো।

আমি হাসতে হাসতে শেষ।
অর্ণব : হইছে এত লজ্জা পাইতে হবে না। আর এখানে লজ্জার কি আছে আমি বুঝি না। বিয়ে তো করতেই হবে।

তানহা : আপনার তো লজ্জা শরম বলে কিছু নাই। সবাইকে নিজের মত ভাবিয়েন না। আর এত হাসিয়েন না মুখে মশা ঢুকে যাবে।

(হাসিটা বন্ধ করে আমরা আবার হাটতে শুরু করলাম।)

অর্ণব : আমার বউ আর লজ্জা পাবে এটা হবে না। উনাকে নিয়ে তো আমার অনেক স্বপ্ন আছে। ওগুলার কি হবে?

[হুম🙄]

তানহা : এই যে মিস্টার। আমার “উনা” -কে নিয়েও অনেক স্বপ্ন আছে। আর লজ্জা মেয়েদের সহজাত গুণ। জান্নাতি নারীদের সর্দারণী মা ফাতেমা বলেছেন,

“লজ্জা, শরম হলো মেয়েদের
সবচেয়ে সুন্দর গহনা”

  • হযরত ফাতেমা (রাঃ)💕

বুঝলেন?

অর্ণব : তাই বলে আমার সামনেও? এটা হবে না।

তানহা : তে আপনার সামনে কে লজ্জা পাচ্ছে?

অর্ণব : এই যে একটু আগেই কেউ একজন লজ্জা পেলো।

তানহা : এখনো তো বিয়ে হয় নি। বিয়ের পর উনার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরী করবো। তবে উনি বাদে সবার সাথেই সবকিছু আগের মতোই থাকবে।

অর্ণব : আপনি তো শুধু বন্ধু হবেন। আর উনি হবেন আমার জীবনের প্রথম মেয়ে বেস্টফ্রেন্ড। যে জায়গায় কেউ কখনো ছিলো না। বুঝলেন?

তানহা : হাহা। আচ্ছা আপনি তখন আপনার বন্ধুকে বললেন আপনি একদিন দেরীতে যাচ্ছেন। কেনো একদিন দেরি হলো জানতে পারি?

অর্ণব : কেউ একজন সপ্তম দিনে নদীপারে আসে নি। তাই তাকে খুঁজতেছিলাম।

(মনেই করছিলাম।)
তানহা : তা আমার মনে হয় সেখানে চারটা মেয়ে ছিলো কোনটাকে খুঁজতেছিলেন? নাকি আবার পরের দিন মেয়ে বদলে গেছিলো।

(বুঝলাম উনি বলতে চাচ্ছেন যে অন্য মেয়েগুলার মধ্যে কাউকে খুজতে যায়ে উনাকে দেখার পর মত বদলায় ফেলছিলাম নাকি আবার!)
অর্ণব : না। আগের দিন আমি উনাকে ছাড়া কাউকেই দেখিনি। এমনকি প্রথমে তো উনাকেও ভালো মতো দেখিনি। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উনার দ্বীনি জ্ঞান দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। তার পর উনাকে দেখলাম। উনার পূর্ণ পর্দা দেখে আরো বেশি অবাক হয়ে গেছিলাম। আমি আমার জীবন সঙ্গিনীর কাছ থেকে এই দুইটাই চাচ্ছিলাম। এটা দেখেই সিদ্ধান্ত নিই যে উনাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো। তারপরের দিনতো যা ঘটে গেলো! এমনকি আমি উনাকে অহংকারী অপবাদটাও দিছি। আশা করি মাফ করে দিবেন উনি।

(আমি তো সম্পুর্নভাবে অবাক! কি বলতেছেন উনি। আমাকে সেদিনই পছন্দ করছে? সেদিন তো আমি সম্পুর্ন পর্দার মধ্যে ছিলাম। আল্লাহকে হাজার হাজার শুকরিয়া ইনার মতো একজনকে আমার জীবনে পাঠানোর জন্য।)
তানহা : হুম মাফ করেছেন। তা উনাকে বুঝাইতে যান নি? বুঝাইলেই তো উনি বুঝতো।

অর্ণব : আমি বুঝাইতে গেলে ভাবতো আমি উনার সৌন্দর্য দেখে প্রস্তাব নিয়ে গেছি। আমার দ্বিতীয় বার অপমানিত হওয়ার ইচ্ছা ছিলো না।

তানহা : হাহাহা। আসলেই ঐটাই ভাবতাম। আপনার মাথায় ব্রেন আছে বলতে হবে।

অর্ণব : তা আপনারা দ্বিতীয় দিন আসেন নি কেনো?

তানহা : মাঝে মাঝে যাই। প্রতিদিন যাই না। সকালবেলা কেউ থাকে না তাই খুব সকালে যাই ঘুরতে। প্রথম দিন আমার একটা বান্ধবী তো উনার উপর ক্রাশ খাইছিলো। কিন্তু আমি ঘুরেও তাকাই নি। দ্বিতীয় দিন উনাকে অপমান করায় আমার উপর বান্ধবীটা খুব রাগে গেছিলো। এখন যখন দেখবে উনিই আমার বর তাহলে যে কি করবে আল্লাহ জানে। হাহাহা।

অর্ণব : আপনার বান্ধবীর টেস্ট খারাপ। হাহা।

তানহা : আহারে নিজের রুপের বর্ণনা আমার মুখ থেকে শুনতে চান তাই না! বুঝি বুঝি। আর আমার বয়েই গেছে আপনার প্রশংসা করতে।

অর্ণব : জি একদম না।

তানহা : আচ্ছা আপনি কবিতা পারেন?

অর্ণব : না কেনো?

তানহা : না কবিতা শুনাইতেন তাহলে সময়টা ভালোভাবে কাটতো। এরকম পরিবেশে একটা কবিতা শুনতে ইচ্ছা করতেছে।

(বাব্বাহ আমার বউটা সাহিত্যপ্রেমীকও)
অর্ণব : আমি রাস্তায় কবিতা শুনাবো? আমার মাথা কি খারাও হইছে!

তানহা : কেউ তো নাই। তাই শুনাইলে সমস্যা কি।

অর্ণব : তাহলে আপনি একটা গান শুনান।

তানহা : একদম না। ওগুলা বিয়ের পর।

অর্ণব : হাহাহা। তবে বিয়ের কথা শুনে বিয়ে নিয়ে একটা হাসির গল্প মনে পড়লো।

তানহা : তাহলে শুনান।

অর্ণব : দুইজন একই ইয়ারের প্রেমিক প্রেমিকা একসাথে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করলো।

“তা তারপর মেয়ে বললো,
: গ্রাজুয়েশন তো কমপ্লিট; এখন বলো, আমরা কবে বিয়ে করবো ?

ছেলে : মাশাল্লাহ! বোন, আপনি চমৎকার একটি প্রশ্ন করেছেন।”

তানহা : 😆😆😆…. আল্লাহ! ভাবা যায় এগুলা। এভাবে ধোকা না দিলেও পারতো😁

অর্ণব : হ্যাঁ সমবয়সী রিলেশনশিপ…একটি হৃদয় ভাঙার গল্প😁

তানহা : তাও তো ভালো আন্টি বলে নি শুধু বোনই বলছে😆

অর্ণব : হাহাহা।

তানহা : ভাইয়াটা বোধহয় জাকির নায়েকের লেকচার একটু বেশি শুনে। হাহা।

অর্ণব : হ্যাঁ শেষের লাইনটা😁

হঠাৎ আমার একটা কথা মনে পড়লো….

(চলবে….)

যারা গল্প পড়ার জন্য রিকুয়েস্ট দেন তারা প্লিজ গল্পে কমেন্ট করবেন
“”” গল্প পড়ার জন্য””””

মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣

গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝

[আগের পর্বগুলো Timeline এই দেওয়া আছে]🍁

💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞


Comments

One response to “অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖Part : 25”

  1. […] 20 Chapter 21 Chapter 22 Chapter 23 Chapter 24 Chapter 25 Chapter 26 Chapter 27 Chapter 28 Chapter 28 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *