Islamic গল্প😊
“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖
Part : 39
দেখতে দেখতে কলেজে পৌছে গেলাম। তানহাকে ক্লাশ নিতে দেখে দেহে প্রাণ আসলো। আমি কলেজ ক্যান্টিনে যায়ে দেখি রিপনরা বসে আছে।
অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম। কি হইছে? আর ফোনে বললি না কেনো? একটু বললেও তো পারতি।
রিপন : কালকে নেহাকে ছেলে দেখতে আসবে। ছেলে দেশের বাইরে থাকে। ছেলের নেহাকে পছন্দ হলে, কালকেই বিয়ে করে দেশের বাইরে চলে যাবে।
অর্ণব : হুম তো?
রিপন : আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারতেছি না। এরাও কোন সমাধান দিতে পারতেছে না। তাই তোকে ডাকলাম।
অর্ণব : হুম বুঝছি।
রিপন : আমি তো এখনো জব করি না। টিউশন করে যা আয় করি। একটা পার্ট টাইম জবের কথা চলতেছে। সামনে মাসেই জানতে পারবো যে হবে কি হবে না। আর পড়াশুনা শেষ করতে এখনো কয়েক বছর বাকি। তাই আমি বিয়ে করার ঝুঁকি নিবো না।
অর্ণব : একদম ঠিক বুঝছিস। এখন বিয়ে করলে শুধু তোর ভবিষ্যত ঝুঁকির মধ্যে পড়বে না, নেহার ভবিষ্যতও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। কারণ তুই এখনো একটা সংসার চালানোর মতো পরিনত হইস নি। আর নেহার সাথে থাকা পরবর্তী ভরণপোষণ নিজের কাধে নেওয়ার মতো সামর্থ এখনো হয় নি। এখনকার যুগে আবেগের বসে অনেক ছেলেমেয়েরাই এই ভুলটা করে। আর তোদের পরিবার এগুলার জন্যই কখনই রাজী হবে না। তবে, আলাপ করা যায়।
রিপন : কিসের আলাপ।
অর্ণব : তোদের দুই জনের পরিবারকে জানিয়ে তারাই এই সম্পর্কের ভবিষ্যত ঠিক করবে। এটার কথা বলতেছি।
রিপন : তাহলে আজকে যায়ে বাবাকে বলবো।
অর্ণব : কিন্তু বিয়েটাতো আগে আটকাতে হবে।
নেহা : আমার রুম্মান ভাইয়াকে বললে কাজ হবে।
রিপন : কিন্তু উনি তো বিদেশে থাকে।
অর্ণব : ওহ হো! তোদের টেনশনে ওর কথা ভুলেই গেছিলাম।
বলেই ফোনটা বেড় করে কল দিলাম।
রুম্মানকে “তুই” করে বলায় ওরা একটু ভ্যাবাচেকা খায়ে গেলো।
রুম্মান কলটা রিসিভ করলে,
রুম্মান : কিরে অর্ণব এতো রাতে?
অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম। বাচ্চু! আমাদের এখানে এখন দিন। ভুলে গেছিস?
রুম্মান : হাহাহা। তাও ঠিক। অলাইকুম আসসালাম।
অর্ণব : এই তুই কলটা ধরে সালাম দিলি না কেনো? জানিস না সালামের কতো ফযিলত?
হাদিসে এসেছে,
“আল্লাহ্ তা‘আলা আদম আ. কে সৃষ্টি করার পর বললেন, যাও! তুমি ঐ সব ফেরেশতার জামাতে যারা বসে আছে তাদের সালাম দাও। তারা তোমাকে কি উত্তর দেয়, তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর। কারণ, তারা যা উত্তর দেবে তা হবে তোমার ও তোমার বংশধরদের সালাম। তখন আদম আ. গিয়ে ফেরেশতাদের বলল, السلام عليكم، অর্থাৎ ‘তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক’ এর উত্তরে তারা বলল, السلام عليك ورحمة الله ‘তোমার উপর শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক’ তারা উত্তর দিতে গিয়ে আল্লাহর রহমত শব্দটিকে বাড়াল।”
-[বুখারি ও মুসলিম]💕
বুঝলি?
রুম্মান : হুম ভাই বুঝছি। ভুল হয়ে গেছিলো। আসলে ঘুমায় ছিলাম তো।
অর্ণব : আচ্ছা শুন একটা কথা বলার জন্য কল দিলাম।
রুম্মান : কি কথা?
অর্ণব : শুনলাম তোর বোনকে নাকি কাল দেখতে আসবে?
রুম্মান : হুম। তা কি হইছে?
অর্ণব : তুই কি “রিপন” নামের ছেলেটার কথা ভুলে গেছিস?
রুম্মান : আরে না। কালকে আমি দেশে আসতেছি। ঐ বিষয়ে পরিবারের সাথে কথা বলার জন্য। আর আমি নিজে না দেখে তো কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আর সমস্যা নাই, এই প্রস্তাবটা আমি মানা করে দিবো।
অর্ণব : হুম তাও ঠিক। তাহলে ভালোমতো আয়। আসে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কথা হবে।
রুম্মান : আর ভাবীর কি হলো? ভাবীকে পাইলি?
অর্ণব : কেন তুই জানিস না?
রুম্মান : সেই কবে তোর সাথে শেষ কথা হইছে। দশ-বারো দিন হয়ে গেলো। গ্রুপেও তো কেউ কথা বলে না। গ্রুপটাতো মরে গেছে।
অর্ণব : হাহাহা। তুই যেমন বউ বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত সেরকম ওরাও। আমার সাথেও তেমন কথাবার্তা হয় না। মাঝে মাঝে দেখা হয় এই আরকি।
রুম্মান : একমাত্র তুই বাদে সবাই ব্যস্ত।
অর্ণব : হ্যাঁ ভাই। তোরা যখন জীবনটাকে Enjoy করতে ব্যস্ত ছিলি তখন আমি পার্ট টাইম জব করতাম। বাবার ব্যবসা দেখতাম আর প্রাইভেটও পড়াইতাম। তখন কষ্ট করছিলাম বলেই এখন ফল পাচ্ছি। তোরা তো তখন উড়ে বেড়াচ্ছিলি।
[হ্যাঁ তখন যা ইনকাম করতাম তার সম্পুর্ণ টাকা আমি জমা করতাম। যেখান থেকে আমি রিকসাওয়ালা চাচাকে সাহায্য করছিলাম আর তানহার চাকরির জন্য টাকা দিছিলাম। আব্বুর ব্যবসাটা আগে আমি একাই দেখতাম। তাই এখন আব্বু আমাকে জোর করে না ব্যবসায় বসতে। আর ব্যবসার অভিজ্ঞতা আছে তাই আমাকে নিয়ে চিন্তা করে না। আমাকে আমার মতো চলতে দেয়।]
রুম্মান : জি ভাই বুঝছি। যার জন্য এখন আমরা ঠেলা সামলাচ্ছি।
অর্ণব : তবে দিনগুলাকে খুব মিস করি। আমাদের পুরা ফ্রেন্ড সার্কেলকে।
রুম্মান : হ্যাঁ আমিও। সমাবর্তন নিয়ে একটা প্রবন্ধ পড়ছিলাম,
“ক্লাসে সবচেয়ে দূর্বল ছেলেটি কাল সমাবর্তনে এসেছিল সবার চেয়ে হাই পজিশনের জব নিয়ে। বারবার প্রেমে ব্যর্থ হওয়া মেয়েটি এসেছিল একটি সুন্দর ছোট্ট পরিবার নিয়ে। কারো কাছে পাত্তা না পাওয়া, তোকে দিয়ে কিছু হবে না বলা ছেলেটিই সবচেয়ে সুন্দর বউ নিয়ে এসেছে। পড়াশোনার খরচ যোগাতে টিউশন করে হাত খরচ চালানো মেয়েটি কাল গাড়ি দিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিল। ক্লাসের সবচেয়ে সাক্সেস্ফুল ছেলেটি ডিপ্রেশনে ভুগছে জব না পাওয়ায়। ডিপার্টমেন্টের হার্টথ্রোব মেয়েটির চোখে নিচে কালি বিয়ে হচ্ছে না বয়স হয়ে গেছে।
এভাবেই সময়ের সাথে বদলে যায় মানুষের জীবনের ইকুয়েশন বা সমীকরণ”
ঠিত তেমনি কলেজ জীবনে ব্যস্ততার মাঝে হারিয়ে যাওয়া তুই, যাকে পড়াশুনা আর কাজের জন্য ছুটে চলা ছাড়া দেখাই যাইতো না, সেই আজ জীবনটাকে উপভোগ করতেছে। আর আমরা তখন উপভোগ করতেছিলাম কিন্তু আজ ব্যস্ততায় হারিয়ে গেছি।
অর্ণব : ঠিক বলছিস। আসলে সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষা জীবনের শেষ হলেও সফলতা ও ব্যর্থজীবনের হিসাব গণনা শুরু হয়ে এখান থেকেই।
রুম্মান : হুম। এজন্যই ঘৃণা, হিংসা, কম্পিটিশন বাদ দিয়ে জীবনটাকে বাঁচা উচিত সম্পূর্ণ স্বাদ ও ভালবাসা নিয়ে। কখন জীবনের কোন মোড় দেখায় কোন নিশ্চয়তা নেই, তাই কোন মুহূর্তের জন্য যাতে আফসোস না থাকে।
অর্ণব : ভাল থাকুক সবাই, ভালো থাকুক পৃথিবীর মানুষগুলো আর ভালো থাকুক সব গ্রাজুয়েটগুলো।
রুম্মান : আচ্ছা কিছুক্ষণ পর গ্রুপে মেসেজ দিবো। একটা গেট টুগেদার করতে হবে। তার আগে বল ভাবীকে পাইছিস?
অর্ণব : ভাবীকে পাইছি, তোর ভাবী এখন আমার বাসায় আর বড় কথা তোর ভাবী আমাদের কলেজের এসিস্ট্যান্ট ইংরেজি শিক্ষিকা।
রুম্মান : তে আমাকে জানাস নি কেন?
অর্ণব : বিশাল বড় কাহিনী। তুই আয় সব জানাবো।
রুম্মান : হাহাহা। ঠিক আছে। বাকিটা গ্রুপে কথা হবে।
অর্ণব : ঠিক আছে। ভালো মতো আয়। আসসালাম অলাইকুম।
রুম্মান : অলাইকুম আসসালাম। আর হ্যাঁ নেহাকে দেখেশুনে রাখার জন্য ধন্যবাদ। যদিও আসে দায়িত্বটা পালনের জন্য তোকে অনেক ধন্যবাদ জানাবো।
অর্ণব : হাহাহা। আল্লাহ হাফেয।
কলটা কেটে দেখি সবাই হা করে আসে।
নেহা : আমি তো কিছুই বুঝলাম না। আমার ভাইয়া আমার থেকে পাঁচ বছর সিনিয়র। ভাইয়া তোর বন্ধু হয় কিভাবে?
অর্ণব : আমার পরিচয় শুনলে তোরা “তুই” থেকে আপনিতে আসবি।
সবাই একসাথে : মানে?
অর্ণব : আমি গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করছি তোর ভাইয়ের সাথেই।
সবাই : কিহ?
অর্ণব : হুম। তারপর তো তোর ভাই স্কলারশিপ পেলো। আমিও পাইছিলাম। কিন্তু আমার আব্বু যাইতে দেই নি। তাই পরিবারকে বললাম কয়েকবছর নিজের মতো কাটাইতে চাই। যেরকমটা কাটাচ্ছি। আসলে আমি লেখালেখির মাধ্যমে ইসলামকে ছড়িয়ে দিতে আর নিজেকে একজন দ্বীনদার মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলতেই মূলত সময়টা নিছি। যার জন্য প্রচুর হাদিস গ্রন্থ, তাফসীর বই ও আরো অনেক ইসলামিক বই পড়তে হয়। এগুলার জন্য সময়ের প্রয়োজন। এই দেখ, আমিও কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম। হাহাহা।
নেহা : আমার ভাইয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতেছিলি।
অর্ণব : ওহ হ্যাঁ। খুব গভীর বন্ধুত্ব হওয়াতে রুম্মান বিষয়টা জানতো। ও অনেক টেনশনে ছিলো তোকে নিয়ে। যেহেতু তুই ওর একমাত্র বোন আর রুম্মান ছাড়া তোর কোন ভাই নাই তাই রুম্মান তোর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলো। শেষে নিরাপত্তার জন্য আমাকে তোর দেখাশুনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিলো। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আমি তোর দায়িত্ব নিছিলাম। যেহেতু তোকে চিনতাম না, তাই রুম্মান আমাকে তোর সব তথ্য দিছিলো। আমি সব শুনে দিনাজপুরে এসে সরকারি কলেজে তোদের ডিপার্টমেন্টেই ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তাহলে দায়িত্বটা ভালো মতো পালন করতে পারবো। আর নেহাকে, রুম্মান আমার কাছে আমানত হিসেবে রাখছিলো। তাই দায়িত্বটা যথাযথ ভাবে পালন করা আমার জন্য মূল হয়ে উঠছিলো। কেননা দায়িত্ব ও আমানতের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করার ব্যাপারে ইসলামে কঠোর হুশিয়ারি করা হয়েছে।
হাদিসে এসেছে,
রসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ
“যখন আমানত নষ্ট হয়ে যাবে তখন ক্বিয়ামাতের অপেক্ষা করবে। সে বলল : হে আল্লাহ্র রসূল! আমানত কিভাবে নষ্ট হয়ে যাবে? তিনি বললেনঃ যখন কোন দায়িত্ব অযোগ্য ব্যক্তির উপর ন্যস্ত করা হবে, তখনই ক্বিয়ামাতের অপেক্ষা করবে’।”
-(বুখারী, হা/৬৪৯৬)💕
আব্বু কলেজের গভর্নিং কমিটির সদস্য তাই সহজেই ব্যবস্থা করে দিছিলো। এবার বুঝছিস তোরা?
(ওরা এখনো ঘোরের মধ্যেই আছে)
নেহা : তাহলে তো তুই… sorry আপনি অনেক শিক্ষিত।
অর্ণব : হাহাহা। আপনি করে বলতে হবে না। এখন চল তোদের সবাইকে ট্রিট দিবো। যেহেতু আজকে সবাই আমার রহস্য জানতে পারলি।
তারপর সবাইকে বিদায় জানিয়ে অফিসে গেলাম।
বিকালবেলা বাসার জন্য রওনা হলাম। ভাবতেছি,
তানহাকে শাড়িতে অসাধারণ লাগে। কিন্তু আমাদের বিয়ে যেভাবে হয়েছে আমি ওকে কিছুই গিফট দিতেই পারিনি, শাড়িতো দূরের কথা। আজকে একটা বিশেষ দিন। কারণ আজকে রাতে তানহাকে আমার ব্যাপারে সব বলবো। সব রহস্য জানাবো আজকে। তাই কিছু একটা গিফট তো দিতে হবে। কিন্তু পকেটে টাকা নেই। যা ছিলো তা দিয়ে একটি হাদিসের বই কিনলাম।
বাড়িতে আসে কলিংবেল টিপতেই তানহা দরজা খুলে দিলো।
অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম।
তানহা : অলাইকুম আসসালাম।আপনার হাতে কি?
অর্ণব : এখন না। আগে রুমে চলো।
আমরা রুমে গেলাম।
অর্ণব : আচ্ছা তুমি একটু শাড়ি পড়বা?
তানহা : কেনো?
অর্ণব : পড়ো না একটু।
তানহা : কিন্তু আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না। একটু একটু পারি।
অর্ণব : আচ্ছা ঠিক আছে ব্যবস্থা করতেছি।
তারপর আধাঘন্টা ধরে শুধু ইউটিউবে শাড়ির টিউটোরিয়াল দেখলাম। দেখা শেষ হলে তানহা শাড়ি পড়া শুরু করলো। আমি সাহায্য করতেছিলাম। সব পড়া শেষ, কিন্তু তানহা কুচি করতে পারতেছিলো না।
তানহা : আপনি করে দেন।
তারপর ধৈর্য ধরে অনেক্ষণ চেষ্টার পর শাড়ির কুচির কাজ সম্পন্ন হইলো।
আমরা দুইজনে একসাথে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম। একসাথে বিষয়টা ঘটাতে দুজনেই মুচকি হেসে উঠলাম।
শাড়িতে তানহাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে যা বুঝাতে পারবো না।
অর্ণব : তোমার উপর প্রথমবার শাড়িতে ক্রাশ খাইছিলাম। আজকে তো বোধহয় পাগল হয়ে যাবো। তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
তানহা : হইছে পাম মারতে হবে না।
অর্ণব : না, সত্যিই অসাধারণ লাগতেছে।
তানহা : আপনি পড়ায় দিছেন তাই বার বার সুন্দর লাগছে সুন্দর লাগছে বলতেছেন তাইনা?
(এই দেখ। মেইন জায়গায় হাত দিছে🤐)
এর মধ্যে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। আমরা কোনমতে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাদে গেলাম।
(চলবে….)
মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣
গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝
[আগের পর্বগুলো Timeline এই দেওয়া আছে]🍁
💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞
Leave a Reply