অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖Part : 42

Islamic গল্প😊

“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖

Part : 42

তানহা খাবার না আনে খালি হাতে আসতেছে,
অর্ণব : কি হলো খাবার কোথায়?

তানহা : তুমি আগে উঠো।

অর্ণব : কেনো?

তানহা : তুমি এখনো ফ্রেশ হও নি। উঠো বলছি!

অর্ণব : আগে খাবারটা খেয়ে নিই।

তানহা : একদম না। আমার সাথে এগুলা আলসেমি করা একদম চলবে না।

অর্ণব মুখটা পেঁচার মতো করে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। ফ্রেশ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আমি অর্ণবকে এগিয়ে দিতে থাকলাম। অর্ণব এখনো মুখটা পেঁচার মতো করে আছে। আমি একটা মুচকি হাসি দিলাম। হাসির জবাবে মুখটা আরো বেশি পেঁচার মতো করে বাথরুমে ঢুকে গেলো। আমি যায়ে সুন্দরভাবে খাবারগুলো প্লেটে তুলে টেবিলে রাখলাম।

কিছুক্ষণ পর অর্ণব বেড় হলো। দেখলাম ওর রাগ এখনো যায় নি। উঠে যায়ে ওর পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকলাম।
অর্ণব : সরো সামনে থেকে।

আমি অর্ণবের বুকের মধ্যে লুকালাম।

অর্ণব : কি হলো এভাবে ধরে আছো কেনো?

বুকে মাথা রেখেই বললাম,
তানহা : জানো? আমাদের সমাজে স্বামী-স্ত্রী অমিলের পিছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি দায়িত্ব, অধিকার ও ভালোবাসার অভাব কাজ করে। বেশিরভাগ দম্পত্তিই জানেন না তাঁদের এই “বিবাহ বন্ধনের উদ্দেশ্য কি”।
.

আল্লাহ তাআলা বলেন,

“এবং তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে তিনি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের মাঝে প্রশান্তি (সুকুন) খুঁজে পাও এবং তিনি তোমাদের মাঝে দয়া ও ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন।”
-(সূরাতুর রুম এর ২১)💕

এই আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে বিয়ের উদ্দেশ্য বলে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা একে অপরের মাঝে “প্রশান্তি” খুঁজে পাই। এই প্রশান্তি বলতে শারীরিক ও মানসিক দুইধরণের প্রশান্তিকেই অন্তর্ভুক্ত করে। শারীরিক প্রশান্তির কথা তো আমরা সবাইই বুঝি, কিন্তু মানসিক প্রশান্তির ব্যাপারে আমরা কেউই সচেতন নই।

অর্ণব টাওয়েলটা সাইডে রেখে আমাকে শক্ত করে আরো কাছে টেনে নিলো।
অর্ণব : বোকা মেয়ে। আমি শুধু উপরে রাগ দেখাচ্ছি। সারাদিন সফর করে এখন ফ্রেস না হয়ে খাবার খেলে আমারই অসুবিধা হতো। পথেঘাটে কত ময়লা শরীরে লেগে গেছে। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে না?

তানহা : সত্যি?

অর্ণব : হুম বাবা সত্যি।

তাড়াতাড়ি নিজেকে ছাড়িয়ে,
তানহা : চলো তাড়াতাড়ি বসো। খিদা লাগছে।

অর্ণব : হুম চলো।

আমরা খাবার খেতে বসলাম।

অর্ণব : এই তুমি আমার পাশে বসো।

আমি প্রশ্ন না করে ওর পাশে যায়ে বসলাম। অর্ণবেরর নির্দেশনাগুলো শুনে সাধ্যমত চেষ্টা করতেছি সে যেন সন্তুষ্ট থাকে।

অর্ণব : একটা প্লেটে খাবার নেও। দুটো প্লেটে খাবার নেওয়ার দরকার নেই।

তানহা : কেনো?

অর্ণব : কারণ,

হাদিসে আছে,

“যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী একই প্লেটে খাবার খাবে যতক্ষণ খাবার খেতে থাকবে ততক্ষণ তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়।”

  • (তিরমিজি)💕

বুঝলা?

তানহা : হুম বুঝছি।
আমি দুই প্লেটের খাবার এক জায়গায় করলাম। বললাম,
: মুখ হ্যাঁ করো!

অর্ণব : আমি নিজে খেতে পারবো। তোমাকে কষ্ট করতে হবে না।

তানহা : একদম না। যা বলছি তাই করো। কেননা,

হাদিসে আছে,

যে স্বামী তার স্ত্রীকে এক লোকমা ভাত খাইয়ে দিবে, আল্লাহ ঐ স্বামীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন। এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে এক লোকমা ভাত খাইয়ে দিবে, আল্লাহ ঐ স্ত্রীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন। এবং প্রতি লোকমার বিনিময়ে ১০০০ নেকি উভয়ের আমলনামায় দান করবেন।
— (মুসলিম শরীফ)💕

বুঝলা?

অর্ণব : হুম মিস তানহা!

অর্ণবকে আমি খাইয়ে দিচ্ছি আর অর্ণব আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে। উফফ! কি অসাধারণ মূহুর্ত। আল্লাহ তোমাকে হাজার হাজার শুকরিয়া এরকম মুহুর্ত আমার জীবনে দেওয়ার জন্য।

খাওয়া শেষে দুইটা হাতই ধুলাম। কেননা,

হাদিসে এসেছে,

“এক হাতে খেলেও খাবার খেয়ে উভয় হাত ধোতে হবে।”
-(তিরমিযী ১৮৪৬)💕

তারপর সবকিছু পরিষ্কার করে আমি অর্ণবের কাছে গেলাম।

অর্ণব খুব সুন্দরভাবে বিছানা গুছিয়েছে। যা দেখে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না! শাইখ ওয়াহিদ বিন আবদুস সালাম তাঁর “কুরআনিক চিকিৎসা” বইতে উল্লেখ করেছেন,

“এ পর্যায়ে আমি মুসলিম নারীদের জন্য একটি উপদেশ পেশ করছি। আর তা হল সে ইচ্ছা করলে তার স্বামীকে হালাল যাদু করতে পারে। নারী স্বামীকে আকৃষ্ট করার জন্য অধিক সৌন্দৰ্য্য ও সাজ-সজ্জা করবে, তাহলে তার স্বামীর দৃষ্টি অসুন্দর ও কুশ্রী বস্তুর প্রতি যাবে না। এমনিভাবে মুচকি হাসি, উত্তম কথা, কোমল আচরণ, স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ, তার সন্তানাদির প্রতি অত্যধিক যত্নবান হওয়া এবং আল্লাহর নাফরমানী ব্যতিত সকল ক্ষেত্রে স্বামীর আনুগত্য করা ইত্যাদি দ্বারা সে স্বামীর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।”

স্বামীকে মুগ্ধ করার দায়িত্ব স্ত্রীর। কিন্তু এখানে উল্টো অর্ণব আমাকে মুগ্ধ করতেছে।

অর্ণবের কথায় আমি বাস্তবে আসলাম,
অর্ণব : কি ব্যাপার ম্যাডাম? ওখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? তাড়াতাড়ি আসেন খুব ঘুম পাচ্ছে।

তানহা : হুম। এশার নামাজ পড়েছেন?

অর্ণব : জি হ্যাঁ।

তানহা : একটু থামো আমি নামাজ পড়ে আসতেছি।

তারপর নামাজ পড়া শেষ করে অর্ণব আর আমি শুয়ে পড়লাম।

পরদিন ভোরে,

আস্তে করে নিজেকে ছাড়িয়ে বাথরুমে গেলাম। বাথরুম থেকে বেড় হয়ে টাওয়েল দিয়ে চুল মুছতেছিলাম। দেখলাম অর্ণব ঘুমাচ্ছে। একটু দুষ্টুমি করার ইচ্ছা জাগলো। তাই চুলের পানি অর্ণবের মুখে ছিটিয়ে দিলাম।

পানি মুখে পড়তেই চোখ মুখ সব কুচকিয়ে নিলো। চোখ মুছতে মুছতে,
অর্ণব : এই কি হচ্ছে? বৃষ্টি কিভাবে পড়তেছে? তাও আবার ঘরের ভেতর।

তানহা : জি না। বৃষ্টি হচ্ছে না। এটা আমার ভিজা চুলের পানি তোমাকে উঠানোর জন্য। স্বামী যদি বদমেজাজী না হয় আর পানি ছিটালে স্ত্রীর উপর রাগান্বিত না হয় ৷ বরং খুশি হয়ে এটাকে গনিমত মনে করে ৷ তাহলে স্বামি-স্ত্রী একে অপরকে নিদ্রা থেকে জাগানোর উদ্দেশ্যে পানি ছিটালেও আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন ৷

হাদিসে এসেছে,

আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্নিত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামায পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগ্রত করে নামায পড়ায় এমনকি না উঠলে, তার মুখে সামান্য পানি ছিটিয়ে দেয়, তাহলে তার উপর আল্লাহ তায়ালা রহমত বর্ষণ করেন । অনুরুপ কোন স্ত্রী যদি রাত্রিকালে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামায পড়ে এবং তার স্বামীকে নামাযের জন্য জাগ্রত করে, এমনকি না জাগলে স্ত্রী তার চেহারায় হালকা পানি ছিটিয়ে দেয়, তাহলে তার প্রতিও আল্লাহ তায়ালা রহমত বর্ষন করেন ৷
-(সুনানে আবি দাউদ, ১/২০৫, হাদীস নং ১৪৫০)💕

বুঝলেন?

অর্ণব : হুম বুঝছি।

তানহা : যায়ে গোসল করেন। আর ফরয গোসলের নিয়ম জানেন? ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম না জানলে নামাজসহ নানা আমল কবুল হয় না।

অর্ণব : জি জানি।

হাদিস অনুসারে,

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম:

গোসলের নিয়ত করা, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে গোসল শুরু করা। দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোওয়া।
-(বুখারী ২৪৮)💕
পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা
-(বুখারী ২৫৭)💕
বাম হাতটি ভালভাবে ঘষে ধুয়ে নেওয়া
-(বুখারী ২৬৬)💕
নামাজের ওজুর মতো ভালভাবে পূর্ণরূপে ওজু করা। এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি রাখলেও চলবে, যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে।
-(বুখারী ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫)💕
মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালভাবে আঙ্গুল দিয়ে ভিজানো।
-(বুখারী ২৫৮)💕

পুরো শরীরে পানি ঢালা; প্রথমে ডানে ৩বার,
পরে বামে ৩বার, শেষে মাথার উপর ৩ বার।
-(বুখারী ১৬৮)💕
(যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে।পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় অবশ্যই পানি ঢালতে হবে)
গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ধোওয়া।
-(বুখারী ২৫৭)💕

এটাই হচ্ছে গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি। বুঝলেন?

তানহা : হুম। এখন যান।

নামাজ শেষ করে আমি ঘর গুছাইতে শুরু করলাম। বাজারের লিস্ট করলাম। দেখলাম অর্ণব নামাজ পড়ে আসে বসে আছে।
তানহা : কি ব্যাপার ঘুমাবা না? প্রতিদিন তো নামাজ পড়ে ঘুমাও।

অর্ণব : ভুলে গেলা? আজকে তোমাকে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে যাইতে হবে। প্রথম দিন তাই একটু আগে বেড় হতে হবে। তাই ঘুমাবো না।

তানহা : আরে হ্যাঁ! একদম ভুলে গেছিলাম। তোমার সাথে থাকলে আমি সব কিছু ভুলে যাই। ধুর তোমার সাথে আর থাকা যাবে না😜

অর্ণব : ওহ তাই!
এই বলে অর্ণব কাছে আসতেছিলো। আমি ওকে ফাঁকি দিয়ে দিলাম দৌড়। আর দৌড়াইতে দৌড়াইতে বললাম,
তানহা : যায়ে সকালের নাস্তা নিয়ে আসো।

অর্ণব সকালের নাস্তা আনতে গেলো। আমি গেট লাগিয়ে আসে ট্রেনিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে অর্ণব নাস্তা নিয়ে আসলো। আমাকে কল করে জানালো সে এসেছে।

আমি দরজাটা খুলে একটা হাসি উপহার দিলাম। তারপর দুজনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দুআ চেয়ে বললাম,
তানহা : আসসালামু আলাইকুম।

অর্ণব : অলাইকুম আসসালাম।
বলে তানহাকে নিয়ে ভিতরে আসলাম।

নাস্তা শেষ করে বললাম,
অর্ণব : তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নেও। তুমি তো এখানকার স্থানীয়। তা ট্রেনিং ইন্সটিটিউটা চিনো?

তানহা : হুম চিনি। আর আমাকে রাখে আসে লিস্টে যা যা লিখে রাখছি সব বাজার থেকে আনবা।

অর্ণব : ঠিক আছে।

তানহা রেডি হয়ে বেড় হলো। তানহা বরাবরের মতোই বোরখার সাথে নিকাব পড়েছে। তারপর গেটে তালা মারে রিকশাতে করে আমরা ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এর জন্য রওনা হলাম। দেখতে দেখতে সেখানে পৌছে গেলাম। তারপর ভিতরে যায়ে সব কার্যাদি সম্পন্ন করে তানহাকে রুমে ঢুকিয়ে দিয়ে বেড় হলাম। তানহার কর্মশালা শেষ হবে দুপুরে। তাই সোজা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

বাজারে যেয়ে সব বাজার করে বাড়ির দিকে রওনা হলাম। আসার সময় ভাবতেছি, তানহা নিজেকে কখনো কারো সামনে প্রকাশ করার চেষ্টা করে নি। আমিই প্রথম যে তানহার এই রূপগুলা দেখতেছি। যা সত্যিই আমাকে অবাক করে দেয়। ওর ব্যাপারে যত ভাবি ততই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। পরমা সুন্দরী হয়েও পর্দার বিধান মেনে চলা, ঘুষের চাকুরী করেও ঘুষবিমূখ নিরামিষ জীবন পার করা, সূদ গ্রহণের সুযোগ বারবার এলেও তা ফিরিয়ে দিয়ে সূদবিহীন জীবন গড়া, হাতে শাসন ক্ষমতা পেয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার না করা, বেগানা নারীকে নির্জন রাস্তায় একাকী পেয়েও তার থেকে নিজেকে হিফাযত রাখা, গায়ে অনেক শক্তি থাকলেও তা দিয়ে কাউকে আঘাত না করা, একাকী এক ঘরে ইন্টারনেট আর কম্পিউটারে বুঁদ হয়ে থেকেও সীমালঙ্ঘন না করা, এবং সুযোগ পেয়েও আল্লাহর ভয়ে অবাধ্যতায় লিপ্ত না হওয়া – শক্তিশালী ঈমানের পরিচায়ক। যা আমার তানহার মধ্যে আছে। মূল কথা আল্লাহ শুধু না দিয়েই নন, অনেক সময় দিয়েও পরীক্ষা করেন। ইউসুফ (আঃ) – কে সৌন্দর্য দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন, সুলাইমান (আঃ) – কে ক্ষমতা দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন, মূসা (আঃ) – কে শারীরিক শক্তি দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন – এ পরীক্ষায় তারা সকলেই কামিয়াবী অর্জন করেছিল, এই সমস্ত প্রাপ্তি তাদেরকে মোহাবিষ্ট করতে পারেনি। এক্ষেত্রে বান্দার ত্যাগ যত বড়, আল্লাহর প্রতিদানও ততো বড়।

এসব ভাবতে ভাবতে বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে বাজার রাখে দুপুরে তানহাকে আনতে গেলাম।

(চলবে…)

লেখা : ক্ষণিকের মুসাফির❣

[আগের পর্বগুলো Timeline এই দেওয়া আছে]💕

💚 ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞