Islamic গল্প😊
“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖f
Part : 44
আজকে একটু ভোরেই ঘুম থেকে উঠলাম। তানহা এখনও আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। আমি আস্তে করে নিজেকে ছাড়িয়ে নামাজে গেলাম।
নামাজ থেকে এসে দেখি তানহা নামাজে ব্যস্ত। আজকে রাজীবরা বাসাতে আসবে। আমরাও কালকে চলে যাবো। তানহার ট্রেনিং আজকেই শেষ। বাকিটা দিনাজপুর বোর্ড থেকেই করতে পারবে। এগুলা ভাবতেছি আর বিছানায় বসে আছি।
নামাজ শেষ করে,
তানহা : এই আমাকে ডাকে দেন নি কেনো?
(তানহা অভিমান করলে তুমি থেকে আপনিতে চলে আসে)
অর্ণব : তুমি ঘুমাচ্ছিলা তাই!
তানহা : এরপর থেকে এরকম করলে খবর আছে। বলে দিলাম!
অর্ণব : আচ্ছা বাবা! আর হবে না।
তানহা : এই যে মিস্টার! আপনার জন্য আমি ভুলেই গেছিলাম যে আমাকে এতিমখানায় যাইতে হবে, বান্ধবীদের সাথে দেখা করতে হবে আরো কত কাজ আছে। এতদিন ধরে রাজশাহীতে আছি কিন্তু এগুলার কিছুই মনে ছিলো না। আজকে সারাদিন আমার সাথে থাকবা!
অর্ণব : ঠিক আছে ম্যাডাম।
তানহা : আমি যাচ্ছি সকালের নাস্তা বানাতে।
তারপর নাস্তা খেয়ে তানহাকে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে রাখে আসলাম। দেখলাম ঘড়িতে দশটা বাজে। সাড়ে দশটায় রাজীবদের বাস ঢুকবে। তাই সরাসরি বাস স্ট্যান্ডে গেলাম রাজীবদেরকে আনতে চলে গেলাম।
বাস স্ট্যান্ডে যায়ে অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পর রাজীবদের বাস আসলো।
রাজীবদেরকে আসতে দেখে,
অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম। আংকেল ব্যাগটা আমাকে দেন।
আন্টি : অলাইকুম আসসালাম। কেমন আছ তুমি?
আংকেল ব্যাগ দিতে মানা করলেও জোর করে নিয়ে,
অর্ণব : জি আন্টি আমি ভালো আছি। আংকেল আর আপনি কেমন আছেন?
আংকেল : জি আমরা ভালো আছি। তা তোমার থাকতে কোন অসুবিধা হয় নি তো বাবা?
অর্ণব : না আংকেল।
তারপর রাজীবদের বাড়িতে যায়ে রাজীবদেরকে ওদের আমানত মানে ওদের বাড়ি বুঝিয়ে দিলাম।
আমি শুধু গেস্ট রুম খুলছিলাম বলে উনারা একটু রেগে গেছিলো। কারণ বাকি রুমগুলাতে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস ছিলো। ওগুলা আমি কেনো ব্যবহার করি নি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি সুন্দরভাবে মুচকি হাসি দিয়ে ক্ষমা চেয়ে রাজীবসহ ছাঁদে গেলাম।
রেলিং ধরে দুজনে দাঁড়িয়ে,
রাজীব : বাইরে তো কোন কথা হইলো না। এখন বল কি অবস্থা?
অর্ণব : আলহামদুলিল্লাহ! তুই কেমন আছিস?
রাজীব : আলহামদুলিল্লাহ। এখন ভাবীর বিষয়ে বল। সবকিছু ঠিকঠাক হইছে? ঝামেলা যে চলতেছিলো!
অর্ণব : আল্লাহর রহমতে সব ঠিক হইছে। আসলে ও মনে করছিলো আমি কলেজ ছাত্র তাই এরকম হয়েছে। তবে এখন সব কিছু ঠিকঠাক।
রাজীব : মাশআল্লাহ! শুনে খুশি হলাম। তবে একটা জিনিস জানিস?
অর্ণব : কি?
রাজীব : সুন্দর বউ🤪
শিক্ষিত বউ😋
সুশীল বউ😇
স্মার্ট বউ😜
লাখপতি বউ😋
এতো কিছুর পরেও কিন্তুু কিছু পুরুষের পছন্দ সেই পরের বউ😂
অর্ণব : 😆😆😆… ঠিক বলছিস।
রাজীব : এর প্রভাব অনেক সময়ই দেখা যায়। যেমন অন্যের স্ত্রী যখন সহজ-সরল তখন স্বামী তার বউকে বলে,
: অমুকের বউ কতো সহজ সরল। কথাবার্তায় কোনো জটিলতা নাই। এরকম সহজ সরল মানুষের সাথে সবাই সুখী হয়। এমন বউ হচ্ছে সংসারী বউ।
আর নিজের স্ত্রী যখন সহজ সরল তখন বলে,
: তুমি এতো বেশি বোকা! কিছু বুঝো না তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হয়না। এতো বেশি বোকা হলে চলে?
অর্ণব : হুম। শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো যারা কিনা সবরকম জটিলতা এড়িয়ে চলতে চায় তারা হচ্ছে সবার কাছে বোকা মানুষ।
রাজীব : ঠিক বলছিস। আবার অন্যের স্ত্রী যখন খুব হাসিখুশি মেয়ে তখন বলে,
: ইস! অমুকের বউ কতো হাসিখুশি, কি মিষ্টি তার আচরণ। এরকম হাসিখুশি একটা বউ থাকলে আর কি লাগে জীবনে।
আর নিজের স্ত্রী যখন খুব হাসিখুশি মেয়ে,
: তুমি এতো বেশি হাসো কেনো? তোমার মধ্যে কোনো সিরিয়াসনেস নাই। এতো বেশি উদাসীন হলে জীবন চলে না।
আবার অন্যের স্ত্রী যখন সাজগোজ প্রিয়,
: উনি কতো টিপটপ হয়ে থাকে। সবসময় কতো সুন্দর করে সাজগোজ করে থাকে। ভালোই লাগে দেখতে।
নিজের স্ত্রী যখন সাজগোজ প্রিয়,
: উফফ তুমি এতো বেশি সাজো ভাল্লাগে না। এতো সময় নষ্ট করো এই সাজতে গিয়ে।
ঠিক এর একদিন, দুইদিন, চারদিন এরকম কিছু বাক্য স্বামীর কাছ থেকে শোনার পর সাজগোজ প্রিয় মেয়েটাও সাদামাটা হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার তাকে শুনতে হয় যে সেই সাজগোজ করা ভাবীটা খুব সুন্দর আর তাকে দেখতেও খুব ভাল্লাগে।
অর্ণব : এই হচ্ছে অবস্থা।
রাজীব : হুম। আবার অন্যের স্ত্রী যখন স্বামীভক্ত,
: দেখছো উনি তার জামাইকে কতো ভালোবাসে? এরকম ভালোবাসা সবার কপালে জুটে না। আরও কতো কি হতাশাযুক্ত কথাবার্তা।
আর নিজের স্ত্রী যখন স্বামীভক্ত,
: তুমি অনেক বেশি প্যারা দেও। এসব প্যারা আর আমার ভাল্লাগে না। আরও তো মানুষের বউ আছে কই তারা তো তোমার মতো এতো বেশি বেশি করে না। নিজের বউয়ের ভালোবাসাটা হয় বেশি বেশি।
অর্ণব : একদম ঠিক বলছিস।
রাজীব : এরকম আরও শত শত উদাহরণ আছে। সে যাইহোক আসল কথা হলো কিছু মানুষের কাছে অন্যের স্ত্রী সবসময়ই বেস্ট।
অর্ণব : তবে কিছু মানুষ আছে যাদের কাছে দুনিয়ার সব সুন্দরী আর গুণীরা একপাশে আর তার বউ অন্যপাশে। তার কাছে তার বউই বেস্ট।
রাজীব : ঠিক বলছিস। এমন মানুষগুলো ভালোবাসতে জানে ভালোবাসা গ্রহণ ও করতে জানে। আর যার সাথে সবসময় থাকতে হয় তাকে সবসময় পরিপাটি আর নির্দোষ অবস্থায় পাওয়া যায়না।
অর্ণব : কারণ একটা মানুষ সারাক্ষণ পরিপাটি হয়ে থাকতে পারে না। ঘুমাতে গেলেও অন্তত মুখে তেল শিটশিটে ভাব আসবেই। আর একটা মানুষের মন মেজাজ সবসময়ই তো আর এক থাকে না, তাই আচরণ মাঝেমাঝে খারাপ হবেই।
রাজীব : হুম। একটা মানুষের সাথে সারাদিন,প্রতিদিন, সারাজীবন থাকলে তার ভেতরে থাকা দোষ, গুণ সবই দেখতে হয়। আর আরেক বাসার ভাবিকে পাঁচ মিনিটের জন্য হাসিখুশি,সুন্দর, স্মার্ট, গুণী ভাবে দেখা খুব সহজ।
অর্ণব : ঠিক বলছিস। আবার মেয়েরা আর যাই সহ্য করতে পারুক স্বামীর অবহেলা আর স্বামীর মুখে অন্যের বউয়ের প্রশংসা সহ্য করতে পারে না।
রাজীব : হাহাহা! কথা কিন্তু সত্য। আর সুন্দর তো অনেক হয়, একজন এর থেকে অন্যজন আরও বেশি সুন্দর হয়। কিন্তু নিজের বউটা হয় ভালোবাসার। তাই তাদের সাথে তুলনা দেওয়া বোকামি।
অর্ণব : ঠিক। অন্যের বউ রাস্তায় তোকে দেখে হাসবে। কিন্তু তোর নিজের বউ তোর সুখে হাসবে আর দুঃখে কাঁদবে। তাই তাকে কষ্ট দিয়ে নিজে ভালো থাকতে চাইলে ভালো থাকতে পারবি না।
রাজীব : সত্যি বাস্তব কথাগুলা বলছিস! আসলে প্রত্যেক মেয়েই সুন্দর মনের হয়ে থাকে! তার দিক থেকে। কিন্তু সেই সুন্দর মনটা অনেকে দেখতে পায়না! শুন তোর বউ যদি ঘ্যানর প্যানরও করে থাকে এর মাঝেও লুকিয়ে থাকে অনেক ভালোবাসা কিন্তু সেটা তুই হয়তো বুঝতে পারিসনা। সবকিছু অনুভব করার চেষ্টা কর, তাহলে বুজতে পারবি ভাবীর ভালোবাসা। আর যদি তুই তা না পারিস সেটা তোর ব্যর্থতা। আর বলতে হবে তাহলে তোর কাছে মন বলতে কিছুই নেই!
অর্ণব : হুম। এই দেখ তোর সাথে গল্প করতে করতে ভুলেই গেছিলাম তানহাকে আনতে যাইতে হবে।
তাড়াতাড়ি যায়ে তানহাকে নিয়ে আসে রাজীবদের সবার সাথে পরিচয় করায় দিলাম। সবাই তানহার ব্যবহারে দারুণ খুশি। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে তানহার সাথে ওর কাজে বের হলাম।
রিকশায়,
তানহা : এই যে ভাইয়া একটু “বিরিয়ানি হাউজ” -এ যাইয়েন তো।
রিকশাওয়ালা : ঠিক আছে ম্যাম।
অর্ণব : কি জন্য?
তানহা : আমার অনেক ইচ্ছা ছিলো, যদি বিয়ে হয় তাহলে আমাদের এতিমখানার সব বাচ্চাদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবো। কিন্তু সেটা তো হয় নি। আর পরবর্তীতে তুমি আমার সাথেও ছিলানা। তাই এটা করা হয়ে উঠে নি। আজকে করবো।
অর্ণব : খুব ভালো চিন্তা। কেননা,
আল্লাহ বলেন,
“দরিদ্রকে খাবার খাওয়ান।”
-(১০৭ঃ ০৩)💕
আর এতিমদেরকে খাবার খাওয়ানো এক ধরনের সদকা। আর
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“সাদাকাতে সম্পদ ব্যয় করুন।”
-(৫৭ঃ০৭)💕
কিন্তু?
তানহা : কিন্তু কি?
অর্ণব : কত জন বাচ্চা আছে ওখানে?
তানহা : এই ধরো দুশো কি আড়াইশোর কাছাকাছি।
অর্ণব : এতো জনকে খাওয়ানোর টাকাতো আমার কাছে নেই।
তানহা : ঐটা তোমাকে চিন্তা করতে হবে না। আমি বিয়ের জন্য আগে থেকেই টাকা জমা করতাম। আমি তো আর জানতাম না তোমার মতো এত ভালো একজনকে আল্লাহ আমার ভাগ্যে লিখে রাখছে। তাই নিরাপত্তার জন্য জমাইতাম, যদি বর পক্ষ কিছু চাইতো। ঐ টাকাটা কালকে ব্যাংক থেকে তুলছি আর তোমার আম্মু আমাকে নাজিমের বেতনসহ কিছু টাকা দিছে। বুঝলা?
অর্ণব : সত্যি তুমি অসাধারণ! আল্লাহকে হাজার হাজার শুকরিয়া এমন একজন দায়িত্বশীল স্ত্রী আমাকে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এতোগুলা খাবার আগে থেকে অর্ডার না দিলে হবে?
তানহা : কালকে আমি সব কাজই করে রাখছি। কারণ কালকে এক ঘন্টা আগেই আমাদের ট্রেনিং শেষ হয়ে গেছিলো। আর এটা তো আমার শহর। তাই একাও গেছিলাম।
অর্ণব : তুমি পারোও বটে।
তারপর রেস্টুরেন্টে যায়ে দেখি সব তৈরী। এতগুলা প্যাকেট একটা ভ্যানে করে নিয়ে গেলাম।
এতিমখানায় পৌছাতেই তানহা চলে গেলো একটা বৃদ্ধার কাছে। কথাবার্তা আর ব্যবহার দেখে বুঝলাম, ইনি তানহাকে খুব ভালোবাসেন। আমি খাবারগুলা নামিয়ে চালককে ভাড়া দিয়ে দিলাম।
বৃদ্ধার কাছে গিয়ে,
অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম দাদু।
বৃদ্ধা : অলাইকুম আসসালাম। তাহলে তুমিই অর্ণব?
অর্ণব : হুম দাদু।
বৃদ্ধা : তানহা খুব ছোট যখন আমি এই এতিমখানার দায়িত্ব পাই। ওকে কোলেপিঠে আমিই মানুষ করছি।
অর্ণব : হুম দাদু। তানহা আমাকে বলছে।
বৃদ্ধা : বাবা তুমি খাটি হীরা পাইছো। তানহা মা খুব দ্বীনদার আর খুব ভালো মেয়ে। এতিম মেয়েটাকে যত্নে রাখিও। ওর যেনো কোন কষ্ট না হয়। অনেক কষ্ট করে মানুষ হয়েছে।
অর্ণব : ইনশাল্লাহ দাদু। দোয়া করিয়েন।
আরো অনেক কথাবার্তা হলো। কথা বলতে বলতে দেখলাম তানহা অনেকগুলা বাচ্চার সাথে কথা বলতেছে। তারা সবাই কাঁদতেছে, সাথে তানহাও। বুঝলাম তানহার সাথে এদের খুব গভীর সম্পর্ক, তানহা এখানে তাহলে নিয়মিতই যাতায়াত করতো।
তারপর তানহা নিজের হাতে সবাইকে খাবার প্যাকেট বিতরণ করলো। খাবার সময় বাচ্চাদের মুখের হাসি দেখে আমার নিজের চোখেই পানি চলে আসছিলো। ধন্যবাদ তানহা! এরকম একটা দিন উপহার দেওয়ার জন্য।
যাওয়ার সময় সবার কান্না দেখে আমারো কান্না পাচ্ছিলো। কিন্তু তানহাকে সামলাইতে হবে তাই নিজেকে শক্ত রাখলাম। তানহার চোখ থেকে স্রোতের মতো পানি পড়তেছিলো। অনেক কষ্টে সবাইকে বিদায় দিয়ে এতিমখানা থেকে বেড় হয়ে,
অর্ণব : তারপর এখন?
তানহা : আমার বান্দবীদের সাথে দেখা করতে যেতে হবে। প্রথমদিন যাদের সাথে আমাকে দেখছিলা তাদের ওখানে।
তারপর অর্ণবকে নিয়ে আমি ওদের হোস্টেলে গেলাম।
হোস্টেলে ওদের সাথে যখন অর্ণবের পরিচয় করায় দিলাম, তখন অর্ণব যতটা সম্ভব নিজের দৃষ্টি সংযত রেখে পরিচিত হচ্ছিলো। আর “হ্যাঁ” “না” এর বাইরে কোন কথা বলতেছিলো না। ভাবটা এমন যে,”ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারে না!” আর আমার সাথে অন্য রূপে থাকে। অর্ণব পারেও বটে।
এটা দেখে আমার হাসি পাচ্ছিলো সাথে নিজেকে প্রচুর ভাগ্যবতীও মনে হচ্ছিলো। তারপর ওদের থেকে বিদায় নিয়ে অর্ণবের সাথে ওখান থেকে বেড় হয়ে আসলাম।
রাস্তায় বললাম,
তানহা : ওদের সাথে ভালোভাবে কথা বললা না কেনো?
অর্ণব : কারণটা তুমি ভালো মধ্যে মতোই জানো। ওরা আমার জন্য বেগানা নারী। বুঝলা?
তানহা : হাহা! আর ওরা বলতেছে যে তুমি একদমই রোমান্টিক না।
অর্ণব : প্রকৃত দ্বীনদার কখনো বউদের সাথে একান্তে কাটানো বিষয়গুলো প্রকাশ করে বেড়ায় না। বুঝলা?
তানহা : হুম বুঝছি। আমার বান্ধবীটা যখন তোমাকে আসতে দেখছে তখন অনেক খুশি হইছিলো আর যখন শুনলো তুমি আমার স্বামী তখন ওর চেহারাটা দেখার মতো ছিলো😁
অর্ণব : তুমিও না।
তানহা : বেচারি প্রেম না করতেই ছ্যাঁকা খাইলো😁
অর্ণব : এই তুমি চুপ করবা?😅
তানহা : আচ্ছা ঠিক আছে। এই শুনো না।
অর্ণব : হুম বলো।
তানহা : কালকে তো আমরা চলে যাবো। আজকে একটু পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যাবা? ঐটা আমার খুব ফেভারিট একটা জায়গা।
অর্ণব : ঠিক আছে চলো। আমারো জায়গাটা ফেভারিট। আর সবচেয়ে বড় কথা ওখানেও তো তোমাকে আমি পাইছি।
পদ্মার পাড়ে পৌছাতে পৌছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।
(চলবে…)
লেখা : ক্ষণিকের মুসাফির❣
💙ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞
Leave a Reply