গল্প- গন্তব্য পর্ব-০১

গল্প- গন্তব্য

পর্ব-০১

লেখক- হাছাব বিন আহমেদ

জলজলী নদীর পাশের ছোট একটি গ্ৰামে জন্ম হয় সজীবের, এখান সজীবের বয়স ১০ বছর। ছোট থেকেই প্রচন্ড চাপা স্বভাবের ছেলে সজীব, সমবয়সী কোন ছেলে পেলে ওদের বাড়ি বা তাঁর আশে পাশে নেই। তাই আপন মনে বেরে উঠা সজীবের এক অনাবিল ভাবের জগতে নিরলস বিচরণ।

সন্ধ্যা নেমে এসেছে সবাই ব্যাস্ত নিজের নিজের গন্তব্যর দিকে যাওয়ার জন্য!! পাখি গুলো কিচিরমিচির করে উরে চলছ। হয়তো পাখি গুলো নিজের নিজের ঘরে ফিরছে। ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস ও চলা শুরু করেছে! ওপরে আলোকিত আকাশ!! চারপাশে গাছ পালার মধ্যে পাখির কিচিরমিচির। পাহাড় থেকে তিরতির সন্ধ্যা নেমে আসছে। ক্রমে চার পাশে নেমে আসে হালকা অন্ধকার। নদীর পাশের বড়ো আহত গাছের নিচে বসে জীবনের সবচেয়ে মধুর মূহুর্ত উপভোগ করছে সজীব। আসলে এটা সজীবের দৈনন্দিন কাজের একটি। সজীব পুরো দিন অপেক্ষা করে কখন বিকেল হবে আর ও এই মনোরম দৃশ্য দেখতে পারবে!! ধিরে ধিরে অন্ধকার নেমে আসে,পানীর রং লাল কালো হয়ে যায় মনে হচ্ছে সজীবের খুশীতে পানি রং পরিবর্তন করেছে!! কিন্তু ওটা বেশি সময়ের জন্য না। সজিব মনে মনে ভাবে এর থেকে ভালো যায়গা আর নেই, হঠাৎ সজীবের আম্মুর ডাকে ভাবনার জগতে থেকে ফিরে আসে, সজীব ওর আম্মুকে দেখে ভয় পেতে লাগলো। কারণ সজীব কে এখানে আসতে অনেক বারণ করেছ‌, বিশেষ করে সন্ধ্যার সময়। সজীব ভয়ে ভয়ে ওর আম্মুর পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।

সজীব: সরি আম্মু।

সজীবের আম্মু কিছু না বলে সজীব কে নিয়ে বাসার দিকে পথ ধরলো। সজীবের আম্মুর নাম – সামার্ত ভানু, বাবার নাম – কমর উদ্দিন আহমেদ, সজীবের বড়ো বোনের নাম তানীশা । এবার ফেরা যাক সজিব ও সজীবের আম্মুর কথপোকথনে।

সজীব: আম্মু আব্বু কি বাসায় চলে এসেছে?

সামার্ত ভানু: জি এসেই তোমার কথা জিজ্ঞেস করল, তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

কথা বলতে বলতে দুজনেই বাসায় চলে এসেছে, সজীব হাত মুখ ধুয়ে নিজের রুমে গিয়ে পড়তে বসলো।

রাতে খেতে বসে সজীবের আব্বু সজীবের উপর অনেক রাগ করলো। কিন্তু সজীব এইসবে এক মুহুর্তের জন্যও ভাবে না কারণ সজীবের এইটা দৈনিক রুটিনের অংশ। খাওয়া শেষে সজীবের বোন সজীবের রুমে আসলো।

তানিশা: সজীব আব্বু আম্মু যখন এতো মানা করে তার পরেও তোর ওখানে কেন যেতে হয়?

সজীব: আপু যায়গা টি অনেক সুন্দর, অনেক ভালো লাগে ওখানে। আমার মনে হয় এর থেকে সুন্দর যায়গা আর নেই।

তানিশা: আমি এর থেকেও সুন্দর যায়গা চিনি যাবি ওখানে??

সজীব: অবশ্যই আপু ,চলো কাল সকালেই যাই

তানিশা: কাল তো যাওয়া যাবে না।

সজীব: কেন? যায়গাটার নাম কি বলো আমি একাই চলে যাবো।

তানিশা: ঐ জায়গার নাম হলো জান্নাত, ও খানে যেতে হলে অনেক কিছু করতে হবে!!

সজীব: কি কি করতে হবে আপু?

তানিশা: অনেক কিছু করতে হবে, নামাজ পড়তে হবে, আব্বু আম্মুর কথা শুনতে হবে।

সজীব এখন জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।সবার আগে মজিদে গিয়ে বসে থাকে। এর ভিতর সজীবের আব্বু আম্মু সিদ্ধান্ত নেন সজীব কে হস্টেলে রেখে আসবেন। যেই কথা সেই কাজ, সজীব কে শহরের এক ইস্কুলে ভর্তি করে ওখান কার হস্টেলে রেখে আসে।

দেখতে দেখতে আরো ১০ টি বছর কেটে যায় , এখন সজীব আর জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে না, সজীব মনে মনে জান্নাত জাহান্নাম নিয়েও সন্দেহ পোষণ করে।তাই সে এখন দুনিয়াতেই সব উপভোগ করে যেতে চায়। প্রেম, চিনেমা, গান, নেশা সব কিছুই সাজিদের কাছে সাধারণ হয়ে গেছে। সে এই গুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

এক দিন সন্ধ্যায় সজীব আর ওর বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলো, হঠাৎ করে আরিফ বলে উঠলো–

আরিফ: মনটা অনেক খারাপ রে

নাছির: কেন?

আরিফ: আজ ফজর কাজা হয়ে গেছে।

সজীব: সাধারণ নামায কাজা হয়ে গেছে তাই এতো অস্থির হচ্ছিছ কেন? আমি তো কখনো নামাজ ই পরি না।

আরিফ: তোমার কথা বাদ দাও!!

সজীব: আচ্ছা তুই যে নামাজ নিয়ে এতো ছিরিয়াছ, তুই কি কখনো নিজের চোখে জান্নাত জাহান্নাম দেখেছিস?? আমি আবার যা দেখি না তা বিশ্বাস করি না।।।

আরিফ: দেখ সজীব প্রথম কথা হচ্ছে, ‘পরকাল’ ব্যাপারটা আমাদের জন্য পুরোটাই বিশ্বাসকেন্দ্রিক একটি ব্যাপার। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তাআলা কুরআনুল কারীমে আখিরাতে বিশ্বাস করতে বলেছেন এবং আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা আমাদের বিশ্বাস করতে বলে গেছেন। সুতরাং, কোনপ্রকার ‘যদি’ ‘কিন্তু’ ‘তবে’ ‘অথবা’ ছাড়াই আমরা আখিরাতে বিশ্বাস করি এবং করবো। আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। এটার জন্য আমরা কখনোই কোন বিজ্ঞান, কোন যুক্তি কিংবা কোন দর্শনের দ্বারস্থ হবোনা। ব্যস!

সজীব: ঠিক আছে কিন্তু আমি যা দেখি না তা বিশ্বাস করি না।

আরিফ: এখান তুই যদি ‘আমি যা দেখিনা তা বিশ্বাস করিনা’- টাইপের যুক্তি দেখাস , তাহলে ধরে নিতে হবে যে তুই আসলে তোর দাবিতে সৎ না অথবা দুনিয়ার বিজ্ঞান, দর্শন কিংবা যুক্তি কোনোটাই তুই আসলে বুঝতে পারিস নাই। ‘যা দেখিনা তা বিশ্বাস করিনা’- এই যুক্তিটা আসলে একটা ভঙ্গুর যুক্তি। মানুষের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন, ২০-২০,০০০ কম্পাঙ্কের শব্দই কেবল আমরা শুনতে পাই। ২০ এর কম আর ২০,০০০ এর বেশি কম্পাঙ্কের শব্দ হলেই সেই শব্দ আমরা আর শুনতে পাইনা। ২০,০০০ কম্পাঙ্কের বেশি শব্দ যেহেতু আমরা শুনতে পাইনা, তাহলে কেউ যদি বলে ’২০,০০০ কম্পাঙ্কের শব্দ যেহেতু আমি শুনতে পাইনা, তাই আমি এই মাত্রার শব্দে আসলে বিশ্বাস করিনা’- এই দাবিটা কতোটুকু যৌক্তিক?

আবার, শ্রবণশক্তির ক্ষেত্রেও মানুষের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সাধারণত, ৪০০-৭০০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘের আলোর বাইরের কোন আলো মানুষ দেখতে পায়না। এখন কেউ যদি বলে, ‘৮০০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোন আলো যেহেতু আমি দেখতে পাইনা, তাই আমি এতে বিশ্বাসও করিনা’- এই দাবিটাও একটা বাতুলতা বৈকি!

আমরা একটা ত্রি-মাত্রিক জগতে বাস করি। মানে হলো, আমাদের মস্তিষ্ক কেবল তিনটা মাত্রায় সংবেদনশীল। এই তিন মাত্রা হলো দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা। এই তিন মাত্রার বাইরের কোন মাত্রাকে আমাদের মস্তিষ্ক অনুভব করতে পারেনা। তার মানে কিন্তু এই নয় যে এই তিন মাত্রার বাইরে আর কোন মাত্রা নেই।

আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটিতে ‘সময়’কে চতুর্থ মাত্রা হিশেবে ধরা হয়। এই মাত্রাটির ব্যবহার করা গেলে টাইম ট্রাভেল করা সহজ হয়ে যেতো। অর্থাৎ, মানুষ চাইলেই অতীতে চলে যেতে পারতো, কিংবা বর্তমানে বসে ভবিষ্যৎ ভ্রমণ করে আসতো পারতো। কিন্তু, মানুষ এই মাত্রাটিকে বুঝতে পারবে না। এই দাবি স্বয়ং আইনস্টাইনের। শুধু কি তাই? ‘স্থান’-কেও অনেকে চতুর্থ মাত্রা হিশেবে ধরে থাকে। মাত্রা হিশেবে ‘স্থান’-কে ব্যবহার করা গেলে হাইপার-স্পেস ট্রাভেল করা খুব সহজ হয়ে যেতো। মানে, চোখের পলকেই মানুষ মহাবিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে চলে যেতে পারতো অনায়েশে। কিন্তু, এই মাত্রাগুলো মানব মস্তিষ্কের ক্ষমতার বাইরে। মানব মস্তিষ্ক যেহেতু এই মাত্রাগুলোকে বুঝতে পারেনা, তার মানে কি এই যে এই মাত্রাগুলো আদৌ নেই?

শুধু তাই নয়, পদার্থবিদ্যার ষ্ট্রিং-থিওরি-তে ‘দশ মাত্রা’ ধরে আগানো হয়। কিন্তু, এই দশ মাত্রা কখনোই অনুভব করা যায়না। তার মানে কিন্তু স্ট্রিং-থিওরিতে ‘দশ মাত্রা’-কে অস্বীকার করা হয়না। বিজ্ঞানীদের মতে, এই মাত্রাগুলোর বাইরেও মহাবিশ্বে আরো অনেক মাত্রা রয়েছে যা আমাদের জানার বা বোঝার বাইরে। এই সকল মাত্রাগুলো কোনো না কোনোভাবে মহাবিশ্বের কোন না কোনোকিছুর সাথে সম্পর্কিত।

‘পরকাল বা আখিরাত’ হলো একটি ভিন্ন জগত। ভিন্ন মাত্রা। ভিন্ন ডাইমেনশান। সেই ভিন্ন জগত তথা ডাইমেনশানকে আমরা বুঝতে পারছিনা বা পারিনা, তার মানে কিন্তু এটা নয় যে- এটার অস্তিত্ব নেই। বরং, আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার জন্যে সেটাকে বুঝতে অক্ষম। দুনিয়ায় বসে সেটা দেখার ক্ষমতা আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। আমরা সেই মাত্রাকে, সেই জগতকে, সেই ডাইমেনশানকে দেখতে পারিনা। এই না দেখতে পাওয়ার ফলে সেই মাত্রা, সেই জগত ‘নাই’ হয়ে যায়না।

ব্যাপারটাকে আরেকভাবে দেখা যাক। অনেকে বলে, আখিরাত বা পরকাল বলে যদি কিছু থাকবেই, তাহলে আমরা সেটাকে এখানে বসে বুঝতে পারিনা কেনো? এটা খুবই অযৌক্তিক একটা প্রশ্ন। আচ্ছা, তুমি যখন দীর্ঘ নয়মাস ধরে তোমার মায়ের পেটে ছিলে, তখন কি তুমি একটিবারের জন্যও বুঝতে পেরেছিলেন যে তুমি শীঘ্রই এমন একটি জগতে পা রাখতে যাচ্ছেন যেখানে সূর্যের আলো আছে, চাঁদের জোসনা আছে, পাহাড়ের ঝর্ণা আছে, নদীর কলতান আছে, কোকিলের গান আছে, রিমঝিম বৃষ্টি আছে? আপনি কি কখনো একটিবারের জন্যও কল্পনা করতে পেরেছিলেন যে আপনি এমন এক দুনিয়ায় যাচ্ছেন যেখানে ফেইসবুক আছে, টুইটার-ইউটিউব আছে। যেখানে শেক্সপিয়ার, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, সক্রেটিস জন্ম নেয়? তুমি কি ভাবতে পেরেছিলে যে সেখানে তোমার স্ত্রী হবে, সন্তান হবে, সংসার হবে? এর কোনোটাই কি তুমি তোমার মায়ের পেটে বসে চিন্তা করতে পেরেছিলে? পারোনি। কিন্তু দেখো, মায়ের পেট থেকে বের হয়ে তুমি কিন্তু এর সবকিছুই পেয়েছো। যা তুমি ওখানে বসে কখনো কল্পনাও করতে পারিনি, তার সবকিছুই তুমি এখানে এসে পেয়ে গেছো। তাহলে, তুমি কিভাবে ভাবতে পারো যে দুনিয়ায় বসে আখিরাতের সবকিছুই জেনে যাবে?

এর বাইরে একদল লোক আছে যারা বলে আমরা বিজ্ঞান ছাড়া কিছুই বুঝিনা। বিজ্ঞান যা আবিষ্কার করেনি তাতে আমাদের মোটেও বিশ্বাস নেই। এই শ্রেণীর লোকগুলোও উপরের লোকগুলোর মতো। এরাও না বিজ্ঞান বুঝেছে, না ধর্ম বুঝেছে। আদতে, বিজ্ঞান কখনোই সবকিছু আবিষ্কার করতে পারবে না। আরো সহজভাবে, বিজ্ঞান কখনোই প্রকৃতির সব রহস্য আমাদের সামনে খোলাসা করতে পারবেনা। নাহ, এটা বিজ্ঞানের অক্ষমতা নয়। বরং, এটাই বিজ্ঞানের ধর্ম। প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ জাফর ইকবাল তার ‘কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ বইয়ের শুরুতেই এভাবে লিখেছেন-

‘কাজেই যারা বিজ্ঞান চর্চা করে তারা ধরেই নিয়েছে আমরা যখন বিজ্ঞান দিয়ে পুরো প্রকৃতিটাকে বুঝে ফেলবো, তখন আমরা সবসময় সবকিছু সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবো। যদি কখনো দেখি কোনো একটা কিছু ব্যাখ্যা করতে পারছিনা, তখন বুঝতে হবে এর পেছনের বিজ্ঞানটা তখনো জানা হয়নি। যখন জানা হবে তখন সেটা চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবো। এককথায়, বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বা ভবিষ্যদ্বাণী সবসময়েই নিঁখুত এবং সুনিশ্চিত। কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিজ্ঞানের এই ধারণাটাকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সবিস্ময়ে আবিষ্কার করেছেন যে, প্রকৃতি আসলে কখনোই সবকিছু জানতে দেবেনা। সে তার ভিতরের কিছু কিছু জিনিস মানুষের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখে। মানুষ কখনোই সেটা জানতে পারবেনা। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে, এটা কিন্তু বিজ্ঞানের অক্ষমতা বা অসম্পূর্ণতা নয়। এটাই হচ্ছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞানীরা একটা পর্যায়ে গিয়ে কখনোই আর জোর গলায় বলবেন না ‘হবে’, তারা মাথা নেড়ে বলবেন,- ‘হতে পারে’।

কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জাফর ইকবাল বলেছেন যে বিজ্ঞান কখনোই সবকিছু আমাদের জানাতে পারবেনা। প্রকৃতির সব রহস্য বিজ্ঞান আমাদের বলে দিতে পারবেনা। আমাদের ইচ্ছেমতো বিজ্ঞান চলবেনা, বরং বিজ্ঞান চলবে তার নিজস্ব গতিতে। বিজ্ঞান যেহেতু প্রকৃতির সব রহস্য খোলাসাই করতে পারবেনা, তখন আমরা কিভাবে ধরে নিচ্ছি যে বিজ্ঞান আমাদের জানাবে আখিরাত আছে কি নেই। স্রষ্টা আছে কি নেই। জান্নাত-জাহান্নাম আছে কি নেই? সুতরাং, যারা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে সবকিছুকে ‘জেনে ফেলার’ ভান করেন, তারাও একপ্রকার ভন্ড।

সজীব মন দিয়ে কথা গুলো শুনলো, সজীব আর কোন কথা না বলে পকেটে থেকে সিগারেট বের করে সিগারেট খেতে খেতে চলে গেলো, হয়তো আর সজীব কিছু বলার নেই।।

চলবে……….


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *