“তুমি আমার প্রিয়তমা”
পর্ব:-০৪
Writer:-Hassab bin Ahmed.
এখন তো আমার অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে। আমার মন একটি কথাই বলছে , কখন সুবহাকে ফোন করতে পারবো আর তার মায়াবি কন্ঠ শুনতে পারবো।
অনেক অপেক্ষার প্রহর গুনে রাতে কল করলাম ।
সঙ্গে সঙ্গে কল রিসিভ করে সালাম দিল ।
সুবহা:- আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ’
আমি:- ওয়ালাইকুম আসসালাম । এতো তাড়াতাড়ি রিসিভ করলে , মনে হয় কারো ফোনের জন্য অপেক্ষা করতেছিলে ।
সুবহা:- করতেই পারি । কেন আপনার কি কস্ট হচ্ছে?
আমি:- কস্ট দিলে তো কস্ট লাগবেই , ভালো আছেন?
সুবহা:- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি ভালো আছেন?
আমি:- জি ভালো আছি। আচ্ছা নিশি তাহলে আপনার বোন?
সুবহা:- জি . নিশি কাল আমাকে এসে বললো যে আপু তুমাকে দুলাভাই যেতে বলছে আমি তো জানতাম না যে আপনি ওদের কলেজের শিক্ষক, আমি ওকে ইচ্ছামত বকা দিয়েছি পড়ে আপনার কথা বললো।
আমি:- ওওওও , আমি যদি জানতাম যে নিশি আপনার বোন তাহলে আমি আপনাকে বিষয় টা জানাতাম না ।
সুবহা:- কেন?
আমি:- কারণ, তাখন ভাবতাম তাহলে মনে হয় ভুলটা আমাদের , কারণ তোমার বোন তো প্রেম করবে না।
সুবহা:- প্লিজ , এভাবে বলে লজ্জা দিবেন না , আসলে ও ছটো থেকে হস্টেলে ছিলো তো তাই এই অবস্থা হয়েছে । ধর্ম মানতে নারাজ। এখন তাও অল্প অল্প শুরু করেছে ধর্ম মানা। এখন নামাজ আদায় করে । ইনশাআল্লাহ ধিরে ধিরে সব ঠিক হয়ে যাবে ।
আমি:- ওওওওও, তাই যেন হয়.
সুবহা:- আপনার ওখান থেকে এসে ঐ বিষয়ে আলোচনা করেছি আমি । নিশি বলেছে আজ থেকে আর ঐ ছেলের সঙ্গে কথা বলবে না ।
আমি:- ভালো কথা, তো কি করেন এখন?
সুবহা :- কিছু না শুয়ে আছি । আপনি?
আমি:- আমিও ? আচ্ছা একটা কথা বলি?
সুবহা:- জি বলুন?
আমি:- আপনার কন্ঠ এতো সুন্দর কেন?
সুবহা:- কি…… যা তা বলেন , আপনি আসলেই বেশি বেশি ?
আমি:- যা সত্যি তাই বললাম , এখন যদি আপনার বিশ্বাস না হয় তাহলে তো আর কিছু করার নেই।
সুবহা:- আচ্ছা বাদ দেন। একটা ভালো কথা জিজ্ঞেস করি?
আমি:- হুম , । একটি কেনো হাজার টা জিজ্ঞেস করেন।
সুবহা:- আপনার পছন্দের ফুল কি?
আমি:- হুম……. নেই তো । সব ভালো লাগে। আপনার?
সুবহা:- আমার পছন্দের ফুল হলো কদম ফুল।
আমি :- হাহাহাহাহা , কদম ফুল এইটা কারো পছন্দের ফুল হতে পারে?
সুবহা:- কেন হবে না? এখানে হাসার কি আছে?😤
আমি :- আচ্ছা সরি । আসলে এরকম পছন্দর কথা আগে শুনিনাই তো তাই আরকি।
সুবহা:- আপনি কি করতে ভালোবাসেন?
আমি :- আপনার সঙ্গে কথা বলতে?😊
সুবহা:- ফাজলামি করেন আমার সঙ্গে ? সত্যি করে বলেন?😤
আমি:- বলছি তো এতো রেগে যান কেন। আমার সাধারণতে পঢ়তে ভালো লাগে।
সুবহা:- সত্যি ………… দেখছেন আপনি কতো লাকি?
আমি:- বুঝলাম না . কিভাবে আমি লাকি ?🤔
সুবহা:- আল্লাহ যে কাজটি সর্ব প্রথমে করতে বলেছেন ঐ কাজ টাই আপনার পছন্দের কাজ । তাহলে দেখুন আল্লাহ্ আপনাকে কতো ভালোবাসে ।
আমি:- তারমানে হচ্ছে আল্লাহ আমাদের সর্ব প্রথম যে আদেশ করেছেন তা হলো পড়া?
সুবহা:- হুম , পবিত্র কোরআনে প্রথম যে আয়াত নাজিল হয়েছে তা হলো পড়ো।
আমি:- বাহ… সত্যি অসাধারণ এতো সুন্দর কথা সব থেকে আগে বলেছেন।
সুবহা:- আমি কি জানতে পারি আপনার পছন্দের লেখক কে?
আমি:- হুম অবশ্যই কেন না। আমার লেখক হিসেবে Gary Chapman কে ভালো লাগে।
আপনার পছন্দের লিখক কে?
সুবহা:- আরিফ আজাদ।
আমি:- আপনার পছন্দের খাবার কি ?
সুবহা:- এই ধরেন আইচক্রিম , ফুচকা , চকলেট এইগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে ।😋। আপনি কি খেতে ভালোবাসেন ?
আমি:- গাজরের হালুয়া, চিকেন বিরিয়ানি।
সুবহা:- শুনছেন,
আমি:- হুম , বলো।
সুবহা:- আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে?
আমি:- এতো সকালে ঘুম পাচ্ছে । কি আর করার ।আচ্ছা ঘুমিয়ে যাও ,
সুবহা:- হুম , কালকে একটু দেখা করতে পারবেন?
আমি:- সত্যি , কখন , কোথায় ?
সুবহা:- বিকেল ৩ টায় কনিকা রেস্টুরেন্টে ।
আমি:- বান্দা ঠিক সময়ে পৌছে যাবে।
সুবহা:- হুম , যাই তাহলে আসলামুয়ালাইকু ওয়া রহমাতুল্লাহ।
এখন শুধু অপেক্ষা বিকেল ৩ টার ……
অবশেষে অপেক্ষার অন্ত পরে বিকেল ৩ টে বেজে গেছে . আমি আগেই পৌঁছে গেছি , কিন্তু সুবহার আসার কোন খবর নেই। ২০ মিনিট পর একজন বোরকা পরা মেয়ে ( সুবহা) এসে আমার সামনে এসে বসে পরলো , সঙ্গে আরিফ ও আছে । আরিফ এসেই আমাকে সালাম দিয়েছে।
আমি:- আরিফ ভালো আছো ?
আরিফ:- জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি.
আমি:- আপনি ভালো আছেন?
সুবহা:- জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আপনি?
আমি:- জি আমিও ভালো আছি ? তো বলুন কি খাবেন?
সুবহা:- আপনার ইচ্ছা মত আনতে বলুন কিছু?
আমি:- আমি ওয়েটার কে ২ টে পিৎজা , ৩ টা আইচক্রিম আনতে বললাম ।
সুবহা:- শুনেন , ওয়েটার কে বলবেন আমরা না ডাকা পর্যন্ত কোন ওয়েটার যাতে এখানে না আসে।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে বলে দিচ্ছি।
কিছু সময় পর ওয়েটার খাবার নিয়ে এলো । তার পর তাকে না ডাকা পর্যন্ত আসতে বারন করলাম । তার পর সুবহা নিজের মুখ থেকে নিকাব টা খুলে নিচে রাখলো । আমি তো সেই মুখ দেখে সব ভুলে গেছি। এক পলকে তাকিয়ে আছি । হঠাৎ সুবহার হালকা কাশির শব্দে ঘোর পিরলো ।
সুবহা:- এভাবে তাকিয়ে থাকেন কেন ? আমার লজ্জা করে তো। 😌
আমিও লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নিলাম ।
সুবহা:- হয়েছে আর ভাব দেখাতে হবে না । এখন বলুন আংকেল , আন্টি ভালো আছে? আর তানিশার কি খবর?
আমি:- জি সবাই ভালো আছে। আপনাদের বাসায়র সবাই ভাল আছে?
সুবহা:- জি সবাই ভাল আছে।
আমি:- তো বলুন আপনি হঠাৎ দেখা করতে চাইলেন .?
এই বলে আমি এক টুকরো পিৎজা খাওয়ার জন্য মুখে নিয়েছি মাত্র
সুবহা :- আপনার প্রেমিকার নাম কি ?
এই প্রশ্ন শুনে আমি বিষম খেলাম আর কাশি উঠে গেছে । সুবহা আমার দিকে পানি এগিয়ে দিলো । আমি পানি খেয়ে শান্ত হলাম ।
আরিফ মুচকি মুচকি হাসছে।
সুবহা:- বাহ , এক প্রশ্ন শুনেই যে ঢং করলেন পরে যে কি হয় কে যানে। তো এখন বলুন আপনার প্রেমিকার নাম কি? 🙄
আমি:- কি বলেন । আমি প্রেম করি না ।
সুবহা:- দেখুন আর ঢং করতে হবে না 😏। আর আমি মিথ্যা কথা পছন্দ করি না .
আমি :- আপনাকে মিথ্যা বলবো কেন সত্যি বলছি .
সুবহা:- সত্যি তো😠।
আমি:- তিন সত্যি ।
সুবহা:- আচ্ছা আপনি যিহেতু বলছেন মেনে নিলাম । এখন বলুন কেন প্রেম করেন নাই .? কারণ এখান বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে ই প্রেম করে। সত্যি কথা বলবেন কিন্তু না হলে আপনাকে যে কি করবো ?😤
( মনে মনে ভাবলাম)
আল্লাহ এ কেমন গুন্ডি মেয়ের পাল্লায় পড়লাম , বিয়ের আগেই যে ভাবে রাগ দেখাচ্ছে বিয়ের পর যে কি করবে আল্লাহ্ই ভালো জানেন । আল্লাহ তুমি আমাকে রক্ষা করো.😰
সুবহা:- এই কি ভাবছেন ? তারাতাড়ি বলেন , আপনার মতলব তো ভালো দেখতেছি না ।
আমি:- আরে না , বলছি । আসলে আমি একটু লাজুক প্রকৃতির ছেলে । কোন মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সাহস হয়ে উঠে নাই কখনো । যাকে আমরা সাধারণত বলদ মার্কা বলে মজা করি । কোন মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব করা তো বহু দুরের কথা কোন মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সাহস যোগাতে পারতাম না তো এভাবেই কাটছিলো দিন গুলো। সময় পার হতে লাগলো আমার প্রেম করার ইচ্ছে বাড়তে থাকলো , অনেক মেয়েকে প্রপোজ করার কথা ভাবলেও কাওকে বলতে পারতাম না। আরো একটি কথা আমি অনেক মুভি দেখতে ভালো বাসি । হঠাৎ একদিন বলিউডের একটি মুভি দেখলাম । মুভি টার নাম ছিল “বিবাহ “( vivah) । এই চিনেমা দেখার পর আমার প্রেম করার ইচ্ছে চলে গেল । আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি এরেঞ্জ মেরেজ করবো । তার পর থেকে আমার বউ এর জন্য অপেক্ষা করতেছে প্রেম করার জন্য ।🤗
কথা গুলো এক নাগাড়ে বলে ওদের দিকে তাকালাম । দেখি ওরা দুজন এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমি মাথা নিচু করলাম।
আরিফ:- বাহ বাহ.. ভাইয়া অসাধারণ লাগলো আপনার কথা । সবাই মুভি দেখে প্রেম করার সিদ্ধান্ত নেয় আর আপনি মুভি দেখে প্রেম না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । সত্যি অসাধারণ ।
আমি:- আচ্ছা হুমায়রা আমার জানা মতে ইসলামে বিয়ের আগে প্রেম হারাম। কথাটা কি ঠিক?
সুবহা:- জি এইটি ঠিক বিয়ের আগে প্রেম হারাম ।
আমি:- আচ্ছা আপনি কার লেকচার শুনতে ভালোবাসেন?
সুবহা:- আমার অনেকর লেকচার ই ভালো লাগে । তার ভিতরে সব থেকে ভালো লাগে ড. জাকির নায়েক আর নুমান আলী খানের লেকচার গুলো। আপনি কার লেকচার শুনেন ?
আমি :- Sandeep Maheshwari., Dr. Vivek Bindra
সুবহা:- খুবই ভালো কিন্তু একটা প্রশ্ন ছিল করবো?
আমি:- জি বলুন?
সুবহা:- Sandeep Maheshwari বিবর্তন তত্ত্ব বিশ্বাস করে ( বান্দর থেকে মানুষ এসেছে )
আপনিও কি তাই বিশ্বাস করেন?
আমি:- দেখুন আমরা অনেকেই কিছু মানুষ কে পছন্দ করি তার মানে এই না যে তার সব কিছুই পছন্দ করি বা সব কিছু বিশ্বাস করি । আমি জানি Sandeep Maheshwari এক লেকচারে বলেছেন যে মানুষ বান্দর থেকে এসেছে , কিন্তু তিনি ঐইটা ওখানে হয়তো হাসানোর জন্য বলেছিলেন । তার পরেও যে ভাবে কথা গুলো বলেছিলেন আমার মনে হয়েছে Sandeep Maheshwari নিজেও বিবর্তন বিশ্বাস করে । আমি এক জন বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে বলতে পারি এই বিবর্তনের কোন প্রমাণ নেই । এইটাকে আমরা রূপ কথার গল্পের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। আর এই বিষয়ে আরো জানতে চাইলে ড. রাফান আহমেদের লেখা “হোমো স্যাপিয়েনস: রিটেলিং আওয়ার স্টোরি” বইটা পরতে পারেন. আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো তে আমি Sandeep Maheshwari র সঙ্গে এক মত নোই যেরকম Sandeep Maheshwari বলেছেন লাভ মেরেজ ভালো । কিন্তু আমি দেখি সব থেকে ভালো সংসার হয় এরেঞ্জ মেরেজে । অনেক বিষয় আছে এরকম।
সুবহা:- জি আমি হোমো স্যাপিয়েনস বই টা পরেছি ।
আরিফ :- ভাইয়া আপনার কথা গুলো শুনে তো আমি আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম । সত্যি বলছি আপনি খুব ভালো চিন্তা ভাবনা করেন ।
আমি:- আরে না কি বলো এসব ।
সুবহা:- আচ্ছা আপনার পছন্দের বইয়ের নাম কি?
আমি:- The Five Love Languages. আপনার?
সুবহা:- প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ।
আমি:- বাহ আমার নামের সঙ্গে মিলা আছে দেখছি।😊 আচ্ছা একটি বিষয় জানার ছিল?
সুবহা:- জি বলুন ? কি জানতে চান।
আমি:- আসলে আপনি অনেক সময় মাহরাম শব টা উল্লেখ করেছেন । মনে হয় শব্দটি আগেও শুনেছি কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না এইটা বলে কি বুঝায়? আপনি যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।
সুবহা:- জি _মাহরাম ও গায়েরে_মাহরাম_বলতে_কি_বুঝায়,
তা আমরা অনেকেই জানি না?
যে সকল পুরুষের সামনে যাওয়া তাদের সাথে বিনা প্রয়োজনে কথা বলা, দুষ্টামি মজা রসিকতা করা ইসলামি শারিয়্যাহতে জায়েজ নয় হারাম এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ তাদের কে গায়রে মাহরাম বলে। বস্তুতঃ গায়রে মাহরামের সামনে একান্ত অপারগ হয়ে যদি যাওয়াই লাগে তবে নারী ইসলামিক ভাবে পরিপূর্ণ পর্দা করে সামনে যেতে হবে এবং নম্র কোমল কন্ঠে / ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলা যাবে না।
জানেন কি, গায়রে মাহরাম কারা?
আমি:- না.
সুবহা:-সহজ ভাষায় মাহরাম পুরুষ বাদে সমস্ত বিশ্বে-মহাবিশ্বে যত পুরুষ আছে সবাই গায়রে মাহরাম।
নিজ পরিবারে (কাজিন) চাচাত/খালাত/মামাত/ফুপাত ভাই, দুলাভাই, দেবর, ভাসুর, সমস্ত চাচা শ্বশুর, মামা শ্বশুর, খালু ও ফুপা শ্বশুর, নিজ খালু/ফুপা এরা সবাই গায়রে মাহরাম। শুধু (আপন,দাদা ও নানা শ্বশুর বাদে)
তাদের সামনে নিজেকে প্রদর্শন করা আল্লাহর হুকুমের অবাধ্যতা করা। মাহরাম ছাড়া সকল পুরুষের সামনে পর্দা করতে হবে।
ভাবছেন, এরা তো আপনার ফ্যামিলি, আপনার নিকটাত্মীয়, এদের সামনে যাওয়া কেন নিষেধ হবে….? নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা যা জানেন, অবশ্যই আপনি তা জানেন না।
ইসলামের এই বিধান শুধুমাত্র আখিরাতের নাজাতেরই উপায় নয় বরং আমাদের দুনিয়ার জীবনের শান্তি, স্বস্তি এবং পবিত্রতারও রক্ষাকবচ।
নারীর ১৪ জন মাহরাম পুরুষ কারা তাও বলি –
১. স্বামীঃ (দেখা দেওয়া, সৌন্দর্য প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে মাহরাম)
২. পিতা, দাদা, নানা ও তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ মাহরাম।
৩. শ্বশুর, আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর এবং তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ মাহরাম।
৪. আপন ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের
ছেলে ও তাদের ঔরসজাত পুত্র সন্তান এবং আপন মেয়ের স্বামী মাহরাম।
৫. স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র অর্থাৎ সৎ ছেলে মাহরাম।
৬. আপন ভাই, সৎ ভাই মাহরাম।
৭. ভাতিজা অর্থাৎ, আপন ভাইয়ের ছেলে এবং সৎ ভাইয়ের ছেলে মাহরাম।
৮. ভাগ্নে অর্থাৎ, আপন বোনের ছেলে এবং সৎ বোনের ছেলে মাহরাম।
৯. এমন বালক যার মাঝে মহিলাদের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই অর্থাৎ পাগল ও শিশু।
১০. দুধ সম্পর্কীয় পিতা, দাদা, নানা, চাচা, মামা এবং তাদের উর্ধ্বতন পুরুষগণ মাহরাম।
১১. দুধ ভাই, দুধ ভাইয়ের ছেলে, দুধ বোনের ছেলে এবং তাদের ঔরসজাত যে কোন পুত্র সন্তান মাহরাম।
১২. দুধ সম্পর্কীয় ছেলে, তার ছেলে, দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের ছেলে এবং তাদের ঔরসজাত যে কোন পুত্র সন্তান। এবং দুধ সম্পর্কীয় মেয়ের স্বামী মাহরাম। (বুখারী শরীফ হাদীস নং ৫০৯৯, মুসলিম শরীফ হাদীস নং ১১৪৪)
১৩. আপন চাচা, সৎ চাচা।
১৪. আপন মামা, সৎ মামা।
উপরোক্ত পুরুষ যাদের সাথে দেখা দিতে পারবে তারা ছাড়া অন্য সমস্ত পুরুষকে দেখা দেওয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন হারাম।
আমি:- এই মাহরাম নন মাহরাম কি শুধু মহিলাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য!
সুবহা:- না, মোটেও তা নয়। পুরুষের জন্যও মাহরাম/গায়রে মাহরাম বিধান প্রযোজ্য।
পুরুষদের জন্যও মাহরাম নারী ১৪ জন। তারা হল-
মা, খালা, ফুফু, শাশুড়ি, দুধ-মা।
বোন, দাদি, নানি, নাতনি, দুধ-বোন।
মেয়ে, ভাই-এর মেয়ে, বোনের মেয়ে, ছেলের বউ।
“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।” [সূরা আন্-নূর(২৪), আয়াত: ৩০]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের সকলকে তাঁর বিধি-বিধান মেনে চলার তৌফিক দান করুন।
আমি:- হুম , বুঝলাম । এ জন্য ই আরিফ কে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছো আজকে?
সুবহা:- জি , আপনি তো খুব ভালো বুঝতে পারেন ? আর আজ উঠি অনেক সময় হয়ে গেছে ?
আমি:- আর একটু থাকো না?
সুবহা:- না থাকা যাবে না অনেক সময় হয়ে গেছে এসেছি ।
এই বলেই একটি বড়ো পেকেট এগিয়ে দিলো আমার দিকে ।
সুবহা:- আইটা আপনার জন্য।
আমি:- কি আছে এতে?
সুবহা:- ছোট একটি উপহার । নিন না প্লিজ ।
আমি:- ঠিক আছে ? কিন্তু আমি তো আপনার জন্য কিছুই আনি নাই?
সুবহা:- আমার লাগবে না , কিছু দিন পরে তো আপনি নিজেই আমার হয়ে যাবেন . আমার আর কি লাগবে? 🤗😌
আমি:- তাই নাকি , কিন্তু আমি আমার প্রিয়তমার সঙ্গে প্রথম বার এভাবে দেখা করতে এলাম কিছু আনবো না তা কি করে হয়।
এই বলে একটি পেকেট সুবহার দিকে এগিয়ে দিলাম ।
সুবহা:- জাঝাক আল্লাহ । তাহলে আজ উঠি ।
তার পর সুবহা আর আরিফ চলে গেল। ৩ টা পিৎজা পেকেট করে আরিফ কে দিয়ে দিলাম । নিতে চাইচিলো না জর করে দিয়ে দিলাম। আর আমি ও বাসায় চলে আসলাম ।
চলবে……….
Leave a Reply