তুমি আমার প্রিয়তমা”
পর্ব:-১০
Writer:-Hassab bin Ahmed.
………..ঘুমতে ইচ্ছে করছে না । মনে হচ্ছে কি যেন নেই।
সুবহা ফোন দিয়েছে
আমি:- আসসালামুয়ালাইকুম ।
সুবহা:- ওলাইকুম আসসালাম, ভালো আছেন ?
আমি:- না ,
সুবহা:- কেন ,কি হয়েছে ?
আমি:- আমার ভালো থাকার ওষুধ অনেক দূরে চলে গেছে ।
সুবহা:- টং করেন ,😏
আমি:- কেন ঢং কি শুধু মেয়েরাই করবে , ছেলেরা করতে পারে না ?
সুবহা:- তার মানে আপনি শিকার করছেন যে ছেলেরা ঢং করে । 😂😂
আমি:- শিকার না করলে কি তুমি খুশি হবে ?
সুবহা:- না , রাগ উঠবে ।
আমি:- তাহলে ধরে নাও শিকার করছি ।
সুবহা:-ভাত খাইছেন?
আমিঃ-হ্যা,তুমি?
সুবহা:- না খাইনি , খাব এখন , একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম।
আমি:- হুম ,বলো ।
সুবহা:- না মানে , কাল আমরা খালার বাসায় বেড়াতে যেতে চাচ্ছিলাম ,
আমি:- হুম ,যাও এইটা আমার কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার কি আছে ?
সুবহা:- নিতে হবে , স্বামীর অনুমতি না নিয়ে কোথায় যাওয়া জায়েজ নেই ।
আমি:- সত্যি বলতে আমি খুশি হয়েছি এই অনুমতি নেয়ার জন্য , আজকের দিনের কিছু বউরা তো এটাকে পরাধীনতা বলে । একদিন আমার সামনে এক ঘটনা ঘটেছে ” আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম , তো আমরা ১ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে গল্প করছিলাম , তাঁর পর তার বউ বাসায় আসল , আমার ফ্রেন্ড তার বউ কে জিজ্ঞেস করলো – কোথায় গেছিলে? , ভাবির উত্তর ছিল – আমি তোমাকে বলতে বাধ্য না , আমার পার্সোনাল ব্যাপারে ঢুকতে আসবে না । আমি তো লজ্জায় লাল হয়ে গেছি বসেও থাকতে পারছি না ,উঠেও আসতে পারছিলাম না , আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে মানুষের সামনে নিজের স্বামীকে এভাবে কেউ কথা শুনাতে পারে ।
“নেককার স্ত্রী স্বামীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ” সত্যি তুমি আমার কাছে পুরো পৃথিবীর থেকে দামি সম্পদ ।
সুবহা:- আমি দোয়া করি আপনার বন্ধুর স্ত্রী যাতে তাড়াতাড়ি হেদায়েত লাভ করে ।
আর আমাদের বিয়েটা যেহেতু ভালো করে অনুষ্ঠান হয় নাই তাই খালাদের বাসার কেউ আমার বিয়েতে উপস্থিত ছিলো না , তাই আপনাকেও যেতে বলছে ।
আমি:- ওওওও , আমি সরি কাল আমার অল্প কাজ আছে আমি তো যেতে পারবোনা না গো । তোমারা যাও।
সুবহা:- কি কাজ আছে , প্লিজ একটু যদি কষ্ট করে যেতে পারেন , আসলে আমি কথা দিয়েছি।
আমি:- অল্প ব্যবসার কাজ। আচ্ছা ঠিক আছে আমি চেষ্টা করবো । সন্ধ্যায় যাওয়ার জন্য ।
সুবহা:- আমি জানতাম আপনি যাবেন , আই লাভ… । ( বলেই চুপ করে গেছে)
আমি:- কি বললে?
সুবহা:- কই কি বলছি ? বললাম যে চেষ্টা করে দেখবেন ।
আমি:- তাই না , আমি কিন্তু শুনেছি ।
সুবহা:- শুনেছেন ভালো হয়েছে , বলার কি আছে । কি করেন এখন ।
আমি:- এই তো মুভি দেখি ।
সুবহা:- কি মুভি?
আমি:- Harry Potter and the Deathly Hallows – Part 2.
সুবহা:- ওওও আচ্ছা ঠিক আছে দেখেন , কিন্তু এখন ধিরে ধিরে সিনেমা দেখা বান্ধ করে দেন ।
আমি:- কেন?
সুবহা:- আচ্ছা বলছি , মন দিয়ে শুনবেন কিন্তু
সিনেমা থেকে আমরা দুনিয়াবি কিংবা পরকালের কোনো উপকারী জ্ঞান হাসিল করতে পারি না। চলুন সিনেমা না দেখার উপকারিতাগুলো কী কী, তা জেনে নিই।
১। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
ইসলাম আমাদের নিজেদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে শেখায় না। বিনোদন জগতে বাছাইকৃত নারী-পুরুষদের মোহনীয় করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয় যাতে করে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনবরত এর মাঝেই মগ্ন হয়ে থাকি। এর ফলশ্রুতিতে আমাদের সময়,অর্থ এবং চরিত্র বরবাদ হয়ে যায় এবং এর ভয়াবহ পরিণতি হলো যে আমরা এর মাধ্যমে আল্লাহর ক্রোধের মাঝে পড়ে যাই। উপরন্তু এসব সিনেমার দৃশ্যগুলো বছরের পর বছর আমাদের স্মৃতিতে ভাসতে থাকে। এগুলো অনর্থক স্মৃতি বৈ কিছুই নয়। একটি “নিষিদ্ধ পলক” আপনার মনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন এমনকি মাসের পর মাস চিন্তার বেড়াজালে অবরুদ্ধ করে রাখতে পারে। অনবরত এমনটি করতে থাকলে আমাদের মধ্য থেকে এক সময় লজ্জাবোধ উঠে যাবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের আদেশ করেন,
“(হে নবী) আপনি মুমিনদের বলুন যাতে তারা তাদের চোখসমূহকে অবনত করে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। এতেই তাদের জন্য রয়েছে পবিত্রতা। তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ণ অবহিত।” [সূরাহ আন-নূর (২৪):৩০]
২। অবচেতন মনে শেখা থেকে মুক্তি
“এটি তো কেবলমাত্র একটি সিনেমা। এতো সিরিয়াস হয়ো না!” আপনি আপনার বন্ধুদের কাছে এমন হাজারো “হালকাভাবে নাও” টাইপের বক্তব্য শুনেছেন। আফসোস! তারা বুঝেও না যে তারা কী ধরনের আসক্তিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। এসব আবেগপূর্ণ (ভালোবাসা, হিংস্রতা, প্রতিশোধ, মারদাঙ্গা ইত্যাদি) দৃশ্যের কারণেই সিনেমার এত কদর এবং এ কারণেই আমাদের এগুলো দেখতে এত ভালো লাগে। কারণ এগুলো খুবই আমোদজনক এবং আমরা অবচেতন মনে এগুলো থেকে অনেক কিছু শিখি। ১৯৯৭ সালে আক্রমণাত্মক আচরণের উপর প্রকাশিত Aggressive Behavior Journal নামক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয় যে, হিংস্র চলচ্চিত্রের দৃশ্যগুলো পুরুষ এবং নারীদের মাঝে মারমুখো মনোভাবকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। এদিকে পারিবারিক সমস্যা সমাধান বিষয়ক পত্রিকা American Journal of Family Therapy তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একজন গবেষক বিবাহিত নারীদের উপর রোমান্টিক সিনেমার সামাজিক এবং মানসিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, যেসব নারীরা জনপ্রিয় রোমান্টিক মিডিয়া জগতের সাথে পরিচিত, তারা আপনিতেই তাদের বর্তমান অন্তরঙ্গ (বৈবাহিক) সম্পর্কে অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন।
শিশুরোগবিষয়ক পত্রিকা American Journal of Pediatrics এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, যেসব শিশু কিশোরেরা যৌনাবেদনময় গান, সিনেমা, টিভি অনুষ্ঠান এবং ম্যাগাজিন দেখে বেড়ে উঠে, তাদের উপর তাদের সংস্কৃতি, অভিভাবক এবং বন্ধু-বান্ধবের প্রভাব কেবলমাত্র ১২-১৪ বছর পর্যন্তই কার্যকরী হয়। বিশেষজ্ঞরা অবশেষে এ কথাও বলেন যে, শ্বেতাঙ্গ তরুণ-তরুণীদের মাঝে অপ্রাপ্ত বয়সে যৌন মিলনের সম্ভাবনা (২ বারের বেশি) অনেক বেড়ে গেছে এসব সিনেমার কারণেই।
এসব সিনেমা থেকে অবচেতন মনে শেখার বিষয়টি অবশ্যম্ভাবী। কারণ আমরা আমাদের পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসব সিনেমা দেখি। এগুলো আমাদের চিন্তা চেতনাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং আমাদের জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে প্রভাবিত করে।
৩। আসল সৌন্দর্যকে অবলোকন করুন
সৌন্দর্য মূলত দুটি বিষয়ে নিহিত। প্রকৃতি এবং জীবজগতে। আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবী আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
“আর আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি এবং তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি।” [সূরাহ কাফ (৫০):৭]
এর পরের আয়াতে তিনি এসবের উপকারিতা এবং সেসব লোকদের আলোচনা করেছেন যাদের জন্য এগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
“এটা জ্ঞান আহরণ এবং স্মরণ করার বিষয় প্রত্যেক অনুরাগী বান্দাদের জন্য।” [সূরাহ কাফ (৫০):৮]
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাদ দিয়ে আমরা সেসব লোকদের পিছে পড়ে থাকি যারা কৃত্রিমভাবে নিজেদেরকে মোহনীয় করে তোলে এবং নির্লজ্জভাবে আমাদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। এসব মোটা মেকাপের প্রলেপের আড়ালে রঙিন পোশাক পরিধানকারী লোকেরা আমাদের কাছে বাস্তব জগতকে বিষণ্ণ করে তোলে। অবশেষে আমরা এসব লোকদের অনুসরণ করতে থাকি নিজেদেরকে “ভালো দেখানোর” তাড়নায়। আমরা এ কথা ভুলে যাই যে, “যে ব্যক্তি যে জাতির (কর্মকাণ্ড) অনুসরণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।”
ভুলবশত কোনো সুন্দর চেহারার দিকে নজর পড়ে গেলে আপনি হয়ত মনের অজান্তেই “সুবহানাল্লাহ” বলে উঠবেন। কিন্তু অনবরত একই কাজ করতে থাকলে আমাদের কামনা-বাসনা অনেক বেড়ে যাবে। ফলে জীবনসঙ্গীকেই কুৎসিত মনে হতে শুরু করবে। এ প্রসঙ্গে সেসব লোকদের কথা এসে যায় যারা অতিরিক্ত সৌন্দর্যের খোঁজে বিয়ে করতে দেরি করেন। আজকাল জ্ঞান খুবই সহজলভ্য, কিন্তু এর বাস্তব প্রয়োগ খুবই কম।
৪। কার্যকরী সময়
আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ ﷺ আমাদের উপদেশ দেন যাতে আমরা ব্যস্ততার পূর্বে আমাদের অবসর সময়কে কাজে লাগাই। সময়ের মূল্য তাঁরাই বোঝেন যাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তাঁরা প্রতিটি মিনিট কাজে লাগানোর প্রচেষ্টায় থাকেন। স্কুলের পরীক্ষার শেষ মিনিটগুলোর কথা মনে পড়ে কি? ৩-৪ ঘণ্টা মুভি দেখার পরিবর্তে আমরা যদি আমাদের পরিবারকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাই, অথবা সেসব লোকদের সাথে সময় ব্যয় করি যারা আমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেবে, অথবা ইসলামী কোনো ওয়াজ শুনি বা অনলাইনে স্বল্পমেয়াদী কিছু কাজ বা শখের কোর্স করি, তাহলে আমরা আমরা উপলব্ধি করতে পারবো যে সিনেমা আমাদের কতো সময় নষ্ট করে।
৫। যুক্তিসঙ্গত চিন্তাভাবনা
আমরা সবাই জানি যে বর্তমানে সাধারণ জনগণকে দুটি জিনিস দ্বারা মগজধোলাই করা হচ্ছে। মিডিয়া এবং সিনেমার মাধ্যমে। যেখানে নায়ককে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরতে হলে তাকে কাউকে না কাউকে (কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরো পৃথিবীকে) রক্ষা করতে হবে। সুতরাং এর বিপরীতে কাউকে না কাউকে খারাপ কাজ করতে হবে। ৮০র দশকের সিনেমাগুলোতে তারা নিজেদের গোত্র বা ধর্মের লোকদের দ্বারাই খলনায়ক বা সন্ত্রাসীর চরিত্রের অভিনয় করাতো। কিন্তু পরবর্তীতে তারা মুসলিমদেরকে এবং ইসলামকে সন্ত্রাসের উৎস হিসেবে উপস্থাপন করা শুরু করে। মানুষ যখন অনবরত এই সিনেমাগুলোতে দেখতে থাকে যে সেখানে দাড়িওয়ালা মুসলিমরা গলা কেটে অন্য মানুষদের জবাই দিচ্ছে, তখন এসব লোকেরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এমনকি তারা একজন মুসলিমের সাথে প্লেনে চড়তেও আতঙ্কবোধ করে। অপরদিকে কিছু মুসলিমরা চায় না যে, অপর কিছু মুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য হোক। কারণ সেসব মুসলিমরা নিয়মিতভাবে ইসলামের বিধিবিধান পালন করে। তারা কাফিরদের মাপকাঠিতে আল্লাহর বিধি-নিষেধগুলো বিচার করে, যা কি না ইসলাম এবং মুসলিমদের অবজ্ঞা করারই নামান্তর। তাই তো আমরা দেখি যে আল্লাহর দেওয়া তালাকের বিধানের ফয়সালা দিচ্ছে গণতান্ত্রিক আদালতের অমুসলিম শাসকেরা এবং তা আবার মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু এসব মিডিয়াতে মুসলিমদের অনবরত খুনী, বিধ্বংসী এবং অপরাধী হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেহেতু তাদের সাথে এই অসঙ্গত আচরণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সিনেমার অযৌক্তিক দৃশ্যের বেড়াজালে মানুষের যৌক্তিক চিন্তাধারা হ-য-ব-র-ল হয়ে যাচ্ছে। এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো যে, আজকাল কিশোর-কিশোরীরা ত্রিমুখী ভালোবাসার সম্পর্কে প্রবেশ করছে এবং এ নিয়ে একে অপরের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ এবং লড়াই বেঁধে যাচ্ছে। এসব কিছুই তারা কোনো না কোনো সিনেমার মাধ্যমেই উদ্বুদ্ধ হয়ে করছে। মানুষের সম্পর্কের মাঝে যেসব অবাস্তব কল্পনার উদ্ভব হয়, তার প্রধান কারণ হলো কোনো সিনেমার বিশেষ কোনো দৃশ্য দেখে অবচেতন মনে তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা করা। এই ভাবনাগুলোই শেষ পর্যন্ত সেই ব্যক্তির সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করে। বাস্তব জগতে বাস করে এমন লোকেরা খুব সহজেই বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তার কামনা-বাসনার ঊর্ধ্বে উঠে আসতে পারে, যেটি কল্পনার রাজ্যে বসবাসকারী ব্যক্তিরা পারে না। সিনেমাগুলোতে আবেগী সিদ্ধান্তগুলোকে নির্ভুল এবং ঝুঁকিহীন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
৬। আসক্তির দরজা
হলিউড সিনেমাগুলো তাদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলোর জন্য বিখ্যাত। আর এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চলচিত্র জগত বলিউডে পর্নোছবির নায়িকাদের এনে “পারিবারিক” সিনেমায় অভিনয় করানো হচ্ছে। কেউই এক ধাপে পর্নের জগতে প্রবেশ করেনা। বরং মোহনীয় নারী-পুরুষদের কামুক চাহনি যখন দর্শকের সামনে তুলে ধরা হয়, তখনই তাদের যৌনচাহিদা উত্তেজিত হয়। এই চলচ্চিত্র জগত আসার ফলে সামাজিকভাবে স্বীকৃত শালীনতার যে স্তর রয়েছে, তা তলিয়ে যাচ্ছে। কারণ এই সামাজিক বাধা ছাড়া আর কোনোকিছুই তাদেরকে তাদের চাহিদামতো জিনিস দেখা থেকে বাধা দেয় না। আর খুবই সফলতার সাথে সাধারণ জনগণের চরিত্রের অবক্ষয় হচ্ছে। ফলাফল, নানা পর্যায়ে বিকৃত রুচিসপন্ন ব্যক্তিরা তৈরি হচ্ছে। এসব লোকদের চাহিদা শুধু বেড়েই চলছে। সুযোগ পেলেই তারা ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। যারা এ পর্যায়ে নামে না তারাও একথা উপলব্ধি করতে পারে না যে, তাদের চরিত্রসীমা কত নিচে নেমেছে। এসব শিশু-কিশোরেরা যারা সিনেমা দেখে বেড়ে উঠছে, তারা অতি অল্প বয়সেই গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড বানাচ্ছে বা খুঁজছে। আর তাদের অভিভাবকেরা পেরেশানিতে পাগলপ্রায় হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, শয়তান ছোট গুনাহ থেকে শুরু করে বড় গুনাহের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং আমাদেরকে সতর্ক হয়ে এসব গুরুতর ভুলগুলো থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
৭. সব থেকে বড় কথা সিনেমা দেখা হারাম ।
(উৎস: ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটি ব্লগ
অনুবাদক: মিনহাজ মুক্তাদির)
আমি:- হুম , ঠিক বলেছো । এগুলো কখনোই ভেবে দেখি নাই। এখন থেকে সিনেমা দেখা বন্ধ।
সুবহা:- যেটা দেখতেছেন ঐ টা শেষ করেন । নাহলে , মন খারাপ থাকবে ।
আমি:- আচ্ছা , শুনো আমি তো অনেক সিনেমা দেখি , তাহলে যখন আমার সিনেমা দেখার ইচ্ছা হবে , তখন তোমাকে ফোন করবো । আমার সঙ্গে কথা বলতে হবে ,
সুবহা:- আচ্ছা ঠিক আছে । এখন মুভিটা শেষ করেন । আমি ভাত খাবো ।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে। আসসালামুয়ালাইকুম।
চলবে ………..
Leave a Reply