বিপদে পড়লে করণীয়।
যদি মনে হয় আপনার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, উদ্ধার পাবার কোন রাস্তা পাচ্ছেন না,এই আমল গুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ
১.প্রথম আমল: ইসতেগফার পরা-(আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি)(বুখারীঃ ৬৩০৭, মুসলিমঃ ২৭০২)
২.দ্বিতীয় আমল: দরুদ পাঠ করা হয়– (আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া ‘আলা আলী মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা ‘হামীদুম্ মাজীদ।)(তাবারানী, সহীহ তারগীব ১/২৭৩)
৩.তৃতীয় আমল, দোয়া ইউনুস পড়া : উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।’
অর্থ : ‘তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।’
৪.- বিপদ-কষ্টে নিপতিত ব্যক্তির দোয়া
ইন্না- লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলাইহি রা-জি’উন। আল্লা-হুম্মাঅ্ জুরনী ফী মুসীবাতী ওয়া আখলিফ লী খাইরান মিনহা-
নিশ্চয় আমরা আল্লাহ্র জন্য এবং নিশ্চয় তাঁর কাছেই আমরা ফিরে যাবো। হে আল্লাহ্ আপনি আমাকে এ বিপদ মুসিবতের পুরস্কার প্রদান করুন এবং আমাকে এর পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম কিছু প্রদান করুন।
উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যদি কোনো মুসলিম বিপদগ্রস্ত হয়ে এ কথাগুলো বলে তাহলে আল্লাহ্ তাকে অবশ্যই উক্ত ক্ষতির পরিবর্তে উত্তম বিষয় দান করে ক্ষতিপূরণ করে দিবেন। উম্মু সালামাহ বলেন, আমার স্বামী আবু সালামাহর মৃত্যুর পরে আমি চিন্তা করলাম, আবু সালামার চেয়ে আর কে ভালো হতে পারে! তারপরও আমি এ কথাগুলো বললাম। তখন আল্লাহ্ আমাকে আবু সালামার পরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে স্বামী হিসাবে প্রদান করেন।
রেফারেন্স: মুসলিমঃ ৯১৮
৫. দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিপদ বা কষ্টের সময় এ কথাগুলো বলতেন –
লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রাব্বুল আরদ্বি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম
আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, যিনি মহান, মহাধৈর্যশীল মহা বিচক্ষণ, আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, যিনি মহান আরশের প্রভু, আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই, যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের প্রভু।
রেফারেন্স: বুুখারী ৭৪৩১
৬.দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া
আল্লা-হু রাব্বী, লা- উশরিকু বিহী শাইআন
আল্লাহ্ আমার রব, তার সাথে কাউকে শরীক করি না।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর পরিবারের সবাইকে একত্রিত করে বলতেন: “তোমাদের কেউ কখনো দুশ্চিন্তা বা বিপদের মধ্যে নিপতিত হলে এ কথা বলবে।”
রেফারেন্স: সহীহ। ইবনে মাজাহঃ ৩৮৮২
৭.দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া
যুদ্ধের সময় আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) বলতেন –
আল্লা-হুম্মা আনতা ‘আদ্বুদী, ওয়া আনতা নাসীরী, বিকা আহূলু, ওয়া বিকা আসূলু, ওয়া বিকা উক্বা-তিলু
হে আল্লাহ্! তুমিই আমার শক্তি, তুমিই আমার সাহায্যকারী; তোমার মাধ্যমে আমি প্রতিরোধ গড়ে তুলি, আর তোমার শক্তিতে আমি আক্রমণ ও লড়াই করি।
রেফারেন্স: হাসান গরীব। আবু দাউদঃ ২৬৩২
৮. দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া
হাসবুনাল্লা-হু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল
আমাদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট, আর তিনিই সবচেয়ে ভালো অভিভাবক।
এ দোয়া পড়েছিলেন ইবরাহীম (আঃ), যখন তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আর এ দোয়া পড়েছেন মুহাম্মাদ (ﷺ), যখন লোকজন তাঁকে বলেছিল, “তোমাদের বিরুদ্ধে কিন্তু লোকজন একজোট হয়েছে!”
রেফারেন্স: বুখারীঃ ৪৫৬৩
৯.কঠিন কর্মকে সহজ করার দোয়া
আল্লা-হুম্মা, লা- সাহলা- ইল্লা- মা- জা’আলতাহূ সাহলা-, ওয়া আনতা তাজ’আলুল হাঝনা ইযা- শিয়্তা সাহলা-
হে আল্লাহ্ আপনি যা সহজ করেন তা ছাড়া কিছুই সহজ নয়। আর আপনি ইচ্ছা করলে সুকঠিনকে সহজ করেন।
রেফারেন্স: সহীহ। ইবনে হিব্বানঃ ৯৭৪
১০.কঠিন কর্মকে সহজ করার দোয়া
আল্লা-হুম্মা, লা- সাহলা- ইল্লা- মা- জা’আলতাহূ সাহলা-, ওয়া আনতা তাজ’আলুল হাঝনা ইযা- শিয়্তা সাহলা-
হে আল্লাহ্ আপনি যা সহজ করেন তা ছাড়া কিছুই সহজ নয়। আর আপনি ইচ্ছা করলে সুকঠিনকে সহজ করেন।
রেফারেন্স: সহীহ। ইবনে হিব্বানঃ ৯৭৪
১১. তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।
আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতের শেষ এক-তৃতীয়াংশে আল্লাহ জমিনের কাছাকাছি আসমানে নেমে এসে তাঁর বান্দাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কে আছ যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে, যাতে আমি তার প্রার্থনার জবাব দিতে পারি? কে আছ যে আমার কাছে কিছু চাইবে, যাতে আমি তাকে তার প্রার্থিত বস্তু দিতে পারি? কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, যাতে আমি তাকে ক্ষমা করতে পারি?’ (বুখারি ও মুসলিম)
Leave a Reply