♥#অর্ধাঙ্গিনীঃ
♥১০ম পর্বঃ♥
♥লেখাঃ-মোর্শেদা হোসেন রুবি
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
জারা সারাটা পথই কাঁদছিলো আর মনে মনে রবের কাছে দুআ করছিল।ওর হাতপা এখনো কাঁপছে।ওর বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে,আম্মু ওদের বাড়ী থেকে বের করার জন্য এতবড় ক্ষতি করতে পারে।আজ ও মর্মে মর্মে বুঝতে পারলো আফনান ওর কতখানি!সে না থাকাতে ওর ওপর বিপদ একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে!
ড্রাইভার চাচা বলেছেন-“কাঁদবেন না আম্মা।আমার দেহে জান থাকতে আপনার কোন ক্ষতি হতে দিবোনা।আপনি স্থির হয়ে বসুন।কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন,আমি ব্যবস্থা করবো।মানীর মান আল্লাহ রাখে।আপনি তো আল্লাহ ভীরু মানুষ।আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।
…
জারা যখন বাড়ী থেকে বেরিয়েছে তখন ছিলো বেলা সাড়ে দশটা।এখন দুপুর সাড়ে বারোটা বাজে।টানা দুই ঘন্টা জার্ণি করেছে সে।পথে একবার গাড়ী থামিয়ে জারার কিছু লাগবেনা কিনা জানতে চাইলে এক বোতল পানি চাইল জারা।সারাটা পথে সে কিছুই মুখে তুললো না!
অবশেষে প্রায় পৌনে ছটার দিকে জারা সিলেট শহরে পৌঁছুল।সেখানে পৌছে ড্রাইভার চাচার মোবাইল থেকে ফুপুকে ফোন দিল জারা।ফুপু লোক পাঠাননি,বরং নিজেই এসে দাঁড়িয়েছিলেন।ওদের দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি বাবুকে কোলে নিলেন!জারা ড্রাইভার চাচাকে বিনয়ের সাথে চলে যাবার জন্য অনুরোধ করল।জারার সাথে কোনো টাকা নেই বলে চাচাকে দিতে পারলোনা তাই বারবার ক্ষমা চাইলো জারা।চাচা সাথে সাথে প্রতিবাদ করে উঠলেন-“আরে না না আম্মা, এটাতো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে!তিনি জারা কে তার গন্তব্যে নামিয়ে দিতে চাইলেন।
-“আম্মা,কোথায় যাবেন,চলেন নামিয়ে দিয়ে আসি।”
♠…♠
সাবিহা ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ীর দিকে রওনা দিলেন।ইচ্ছে ছিল ছোটবোনের ওখানে গিয়ে একটু মনটাকে হালকা করবেন কিন্তু ওদিকে বাসায় জারা একা।ওর কথা ভেবেই তিনি সিদ্ধান্ত বদলালেন।দিন দিন মেয়েটার উপর মায়া পড়ে যাচ্ছে যেমন ভদ্র তেমন বিনয়ী আর ‘মা’ বলে এমনভাবে ডাকে যেন তার পেটের মেয়ে।
আল্লাহ আল্লাহ করে আফনানটা ফিরলে একটা গ্র্যান্ড রিসেপশন দিয়ে ওদের বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন।অনেক হয়েছে,মেয়ে যে ভালো এতে কোন সন্দেহ নেই।আর এত ঝামেলা ভালো লাগেনা।ওকেই বউ বলে মেনে নিতে এখন আর তার আপত্তি নেই।গাড়ীতে বসে নানান কথা ভাবছিলেন সাবিহা।এমন সময় মোবাইল বেজে উঠল।ইরিনার ফোন।
-“হ্যালো?”
-“আন্টি সর্বনাশ হয়ে গেছে।ঐ জারা মেয়েটা বাচ্চা সহ টাকাপয়সা গহনাপত্র সব নিয়ে চুরি করে পালিয়েছে।আপনি তাড়াতাড়ি আসেন।
সাবিহার মনে হলো তিনি কানে কিছু ঠিকমতো শুনতে পাননি।বুকটা ধড়াস ধড়াস করছে।কি শুনলেন এটা?উফ্,এটাও কি বিশ্বাসযোগ্য??তিনি আর কিছু ভাবতে পারছেন না!
.♠
ড্রইং রুমে ইরিনা,ওর ছোট ভাইটা আর সাবিহার ছোট বোন,বোন জামাই বসে আছে।সাবিহা দিশেহারার মতো ওদের মুখের দিকে তাকালেন।-“কি হয়েছে?তোমরা সবাই এখানে?
ইরিনাই সবার আগে কথা বলে উঠল-“খালামনি, তুমি আগে কিছুই টের পাওনি?”
-“কি টের পাইনি?কি হয়েছে পরিস্কার করে বলতো!”সাবিহা পুনরায় কথাটা শুনতে চান কারন তার মনে হচ্ছে হয় তিনি ভুল শুনেছেন নতুবা ওরা ভুল করছে।
-“তোমার সুন্দরী বউ ‘জারা’ বেগম টাকাপয়সা গহনা নিয়ে ভেগেছে।ইরিনা বিদ্রুপ মাখানো সুরে বলল।
সাবিহা ধমকের সুরে বললেন-“”কি যা তা বলছিস,ও তো এমন মেয়েই না, এটা কখনোই হতে পারেনা।”
ইরিনা বলল-“খালামনি, তুমি আসলেই বেশী সহজ সরল।মেয়েটা দুদিন তোমাকে কি খাতির যত্ন করেছে আর তাতেই তুমি ভুলে গেলে।এদের আমার চেনা আছে, এরা ভদ্রতার মুখোশ পড়ে বড়লোকের ছেলেদের ফাসায় তারপর টাকাপয়সা নিয়ে কেটে পড়ে।ধর্মটা ওর মুখোশ,বুঝলে?
-“জারা এখন কোথায়?”ক্লান্ত সুরে বললেন সাবিহা।তার খুব খারাপ লাগছে।জারার ব্যপারে এই কথাটা মেনে নিতে তার মন চাইছে না কিন্তু সত্যি তো তার সামনে।ইরিনা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব বর্ণনা দিচ্ছে।সাবিহা সোফায় হাত পা এলিয়ে বসে তা শুনছেন।
-“আমি তো আফনান যাবার পর প্রায় প্রতিদিনই আসি,খালামনিকে দেখে যাই।ওরা দুভাই বাসায় নেই,বাইরের একটা মেয়ের উপর কি ভরসা।আজো তাই ভাবলাম,যাই খালামনিকে দেখে আসি।ওমা!এসে দেখি, ঘর দের সব ফাঁকা পড়ে আছে,আলমারী হাট করে খোলা ভেতরে শাড়ী গহনা কিচ্ছু নেই।”
সাবিহা কি বলবেন ভেবে পেলেন না।চিতকার করে দারোয়ান ড্রাইভার বুয়া সবাইকে ডাকলেন।তারা বলল-“তারা কিছু জানেনা,তারা ভাবিসাহেবাকে বেরোতেই দেখেনি।সাবিহা রাগে চেঁচিয়ে উঠলেন-“তোমাদের বেতন দিয়ে পুষি কি আড্ডা মারার জন্য? একটা জলজ্যান্ত মানুষ বাড়ী থেকে চলে গেল আর তোমরা কিছুই জানো না?তোমাদের সব কটাকে আমি পুলিশে দেবো!”
-“খালামনি শান্ত হও তো ,এই তোমরা যাও।”সবাইকে বের করে দিয়ে ইরিনা কাছে এসে বসল-” উত্তেজিত হয়ে লাভ নেই খালামনি,যে গেছে সে গেছে,বেশী লোক জানাজানি হলে তোমার বাড়িরই বদনাম। আম্মু তুমি খালামনিকে নিয়ে ঘরে যাও,ওনার বিশ্রাম দরকার।”
সাবিহার ছোট বোন উঠে এলেন-“হ্যাঁ, চলো আপা।অস্থির হয়োনা, আরো বেশী শরীর খারাপ করবে। “
ইরিনার বাবা চলে যাবার আগ মুহূর্তে বললেন-“এটা নিয়ে হৈ চৈ না করাই ভাল,যত লোক জানাজানি হবে ততই কথাটার ডালপালা গজাবে”!
সাবিহা শুধু শুনে যাচ্ছিলেন কোন জবাব দিচ্ছিলেন না।সবাই বেরিয়ে গেলে ইরিনা তার ছোট ভাই এর দিকে অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো, তারপর দুজনই হেসে উঠল।
ইরিনা চাপা গলায় হেসে বলল-“খ্যাতটা এমন ভীতুর ডিম,এক ধমকেই বাড়ী থেকে পালিয়েছে।কোনো কষ্টই করতে হয়নি!”তারপর ফিসফিসিয়ে বলল-“অই, ফোনে থ্রেড দিসে কে, তুই না রকি?”
-“রকি! জানইতো মাইনষেরে ফাঁপর দিতে ও ওস্তাদ! আপু আমাদের চাইনিজ খাওয়ার টাকা দিতে হইবো,তোমার রোড ক্লিয়ার করে দিসি আমি”!
-“আরে দিবো দিবো।”
…
সাবিহা অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন।আজ কয়েকটা দিন হয়ে গেলো জারার কোনো খবরই নেই।মনে মনে আশাবাদী ছিলেন,কোথাও থেকে কোনো খবর আসবে আর তিনি শুনবেন যে, এতদিন যা জেনেছেন সব ভুল।মনে মনে তিনি জারার জন্য উদ্বিগ্নও,এমন সুন্দর একটা মেয়ে একা বাচ্চা নিয়ে কোথায় গেল?কোনো বিপদ হলো কিনা কে জানে?” ভাবতে গেলে সাবিহার মাথা ধরে আসে।
এরই মধ্যে একদিন আফনানের ফোন এলো।তারা আগামি সপ্তাহেই বাড়ী ফিরবে।সেজান আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ।সে এখন ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাটতে পারে।ওকে নিয়েই ফিরবে।
সাবিহা বাড়ীর কোনো খবর দিলেন না।আফনান জানতে চেয়েছিল -“জারা কেমন আছে?”
সাবিহা কোনমতে বললেন-“ভালো” বলে রেখে দিলেন!
তিনি ভেবে পাচ্ছেননা আফনান ফিরলে কি বলবেন,ওকে?”
….
অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে জারার দিন কাটছে।সে ফুপুর সাথে ফুপুর বান্ধবীর বাড়িতেই উঠেছে।ফুপু এখানে একটা রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন।ফুপু এক দুঃসম্পর্কের ভাই আছেন তিনিই ফুপুর খরচপত্র বহন করেন।
ও বাড়ীতে কি হচ্ছে তা ভেবে জারা মাঝে মধ্যে অস্থির হয়ে ওঠে।অপেক্ষার প্রহর যেন কাটতেই চায়না জারার।
…
আজ আফনান ফিরেছে।সাথে সেজানকে নিয়ে।আজ সাবিহার সুখের দিন।কিন্তু তিনি যেন খুশি হতে পারছেননা।আফনান বাড়ী ঢুকে সেজারকে ড্রইংরুমে বসিয়ে নিজের ঘরের দিকে ছুটে গেল।মিনিট পাচেক পর ফিরে এসে বলল-“আম্মু, জারা বাবু ওরা কোথায়?কাউকে দেখছিনা যে?”
সাবিহা মুখ নিচু করে কাঁদছেন।আফনান বোকার মত তাকিয়ে আছে।প্রশ্ন করার সাহস হারিয়ে ফেলেছে।
অবশেষে ইরিনার বাবাইই মুখ খুললেন।গলাখাকারী দিয়ে তিনি ঘটনাটা খুলে বললেন।তাঁর মুল বক্তব্য ছিলো জারা পালিয়েছে।
তাঁ কথা শেষ হবার আগেই আফনানের কন্ঠস্বর যেন চাবুকের মত আছড়ে পড়ল-“এবসার্ড! অসম্ভব।”
সবাই চুপ করে আছে।ইরিনা চুপ করে আছে।আফনানের এই রুদ্রমুর্তির সামনে ও কথা বলার সাহসই পাচ্ছেনা।অথচ একদিন সমানে বলে বেড়িয়েছে জারার সাতকাহন।
..
সাবিহা বড়ছেলের মাথায় হাত রেখে বললেন-“বিশ্বাস তো আমারো হয়নাই কিন্তু ও আমাকে না জানিয়ে একা বাসা থেকে বেরোরোলো কেন,এই উত্তরটাই তো খুঁজে পাচ্ছিনা।আফনান দুহাতে মুখ ঢেকে বসে আছে।সেজান চুপ করে বসে ভাইকে দেখছে।এই কদিন জারার ব্যপারে ভাইয়ের সাথে বিভিন্ন কথা হয়েছে সেজানের।আমোদ ফুর্তিতে দিনকাটানো সেজান কখনো কোনো মেয়েকে মূল্যায়ন করেনি।আজ এতগুলো মাস ক্লিনিকে পড়ে থাকতে থাকতে উপলদ্ধি করতে পারছে জীবনটা কত কঠিন।সে আজ ভালভাবে হাঁটতে পারেনা।ক্রাচই তার নিত্যসঙ্গী।আফনানের কাছেই শুনেছে জারা তার সন্তানকে মানুষ করছে।কিন্তু বাড়ী ফিরে এসব দেখে সে নিজেও বিভ্রান্ত।
…..
আফনান তখনি সব কাজের লোককে ডেকে পাঠালো।তারা সবাই বলছে তারা কিছু জানেনা,ভাবিসাহেবাকে বেরিয়ে যেতে দেখেনি।কমলাকে ধমকালো-“তুই কোথায় ছিলি”!
সে কাঁদোকাঁদো স্বরে বলল-“বাতরুমে মামা।”
আফনান দিশেহারা বোধ করছে।সবাই একযোগে মানা করলেও আফনান নিশ্চিত কেউ একজন মিথ্যা বলছে।
ইরিনাকে কর্কশ কন্ঠে জেরা করল আফনান।ইরিনা কাচুমাচু হয়ে জবাব দিলো।আফনান ধমক দিয়ে কাজের লোকদের ফেরত পাঠালো-“যান আপনারা।আমি যদি জানতে পারি,আপনারা আমার কাছে কিছু লুকাচ্ছেন তো ফলাফল ভালো হবেনা!”
…
আফনান দুপুরে কিছুই খেলোনা।সাবিহা কয়েকবার সাধলেন।
-“এতো লম্বা জার্নি করে এসেছিস কিছু তো মুখে দে!”
-“না,আম্মু! জারা আর ছোটবাচ্চাটা কোথায় আছে কিভাবে আছে না জানা পর্যন্ত আমি স্বস্তি পাবোনা।জারা এ যুগের মেয়েদের মত চালু মেয়ে না।ও খুব সহজ সরল মেয়ে।যে যাই বলুক,ওকে আমার চে বেশী কেউ জানেনা।ও যদি না বলে চলে গেছে তো এর পেছনে কোন বড় কারন তো অবশ্যই আছে।
সাবিহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন-“কত কটু কথা বলেছি ওকে, কত রাগ করেছি,তখন গেলোনা!
আর আজ যখন ওকে ভালোবাসতে শুরু করেছি তখন….বলে সাবিহা চোখ মুছলেন।আফনান অবাক হয়ে বললেন-“কই, তুমি ওকে আবার কবে এসব বললে? ও তো আমাকে কিছু বলেনি!”
সাবিহা কোন জবাব দিলেন না।আফনান দীর্ঘশ্বাস ফেলে চুপ করে মাটির দিকে চেয়ে ভাবতে লাগল।
পরেরদিন ইরিনা এলো ওর মা’কে নিয়ে।ইরিনা বারকয়েক খোঁচা দেবার পর ছোটখালা ইনিয়ে বিনিয়ে ইরিনা আর আফনানের বিয়ের প্রস্তাব দিলেন।সাবিহা শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন।বললেন-“আফনান কি রাজী হবে?”
ছোটখালা বললেন-“ওকে রাজী করাতে হবে আপা।তুমি তো এও জানোনা যে ওরা নামেই স্বামী স্ত্রী। ওদের মধ্য কোন সম্পর্ক নেই।ইরি নিজ কানে শুনেছে।এমন সংসারে আমাদের ফিন কি কোনোদিন সুখী হতে পারবে?ঐ রূপ ধুয়ে কি পানি খাবে?”
মেয়েটাতো ফিনকেও ঠকিয়েছে”!
সাবিহা চিন্তিত স্বরে বললেন-“দুটো দিন যাক,তারপর কথা বলবো,এখন তো এসব বলাই যাবেনা”!
…
সন্ধ্যে নামছে।আফনানের মনের আকাশে রাত নেমেছে আরো আগেই।চোখে সব অন্ধকার দেখছে।জারাবিহীন জীবনের কথা ভাবতে পারছেনা আফনান।সে বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে আকাশ পাতাল ভাবছির।এমন সময় কমলা ভীরু পায়ে ঢুকল।-“ম্ মামা?””
আফনান চমকে উঠে বসল-“মামা, এই কাগজটা মামি যাওনের সুময় আমারে দিয়া কইছে খালি যেন আপনার হাতে দেই। এজন্য তহন সবার সামনে কই নাই!আমারে মাপ কইরা দেন মামা।”আফনান যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেল।দ্রুত কাগজটা খুলে পড়ল।পড়তে পড়তে দাঁড়িয়ে গেল।দুবার পড়লো কাগজটা।তারপর কমলাকে ডেকে বলল-“ড্রাইভার চাচাকে ডাক্ তো”!
ড্রাইভার চাচা ভীতভাবে এসে দাঁড়ালেন-“জ্বী,সাহেব”!
আফনান তার দিকে ফিরে শান্তভাবে বললেন-“চাচা,আপনি মুরুব্বী মানুষ,আপনাকে আমি শ্রদ্ধা করি।কি ঘটেছে আমাকে সব সত্য করে বলুন তো”!
ড্রাইভার চাচা ধীরে ধীরে জারার চলে যাওয়ার সমস্ত কথা বললেন।আফনান চুপ করে সব শুনল।চাচা ক্ষমা চেয়ে বললেন-“আমাকে মাফ করুন বাবা।ছোটআম্মা এত ভয় পেয়েছেন,কাকুতি মিনতি করছিলেন, আমি মানা করতে পারিনি।
আফনান কপালের ঘাম মুছে বললো-“গাড়ী বের করুন,আমি এখনি সিলেট যাবো।”
..
চলবে….
Leave a Reply