Islamic গল্প😊”অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖Part : 4
মেয়েটা একটু একটু করে সামনে এগিয়ে আসছে আর আমরা সবাই এক নয়নে তাকিয়ে আছি..
মশিউর:- অর্ণব মেয়েটাকে দেখে তোর হৃদস্পন্দন ঠিক আছে তো?
অর্ণব :- বাড়ে গেছে একটু। আর মেয়ে কি? ভাবী বল!(দোয়া করতেছি আমার অপেক্ষাটা যেন এবার শেষ হয়ে যায়!)
মশিউর :- 😆😆😆
অর্ণব :- না ভাই এটা মোর বউ নয়, এটা তো নেহা, আল্লাহ মাপ করো। কি কি ভাবতেছিলাম নেহাকে নিয়ে!(ধুর মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। যার জন্য আমি অপেক্ষা করতেছি তার দেখা কি আমি আর পাবো না!)একটু পরেই নেহা সামনে আসল, তারপর
নেহা:- আসসালাম অলাইকুম।কি খবর সবার?..
মশিউর:- অলাইকুম আসসালাম! এইতো ভাবী ভালো আছি,তোমার কি খরব?
অর্ণব :- মশিউর এটা কিন্তু বেশী হয়ে যাচ্ছে!
নেহা:- ভাবী মানে কি বুঝলাম না?
মশিউর:- মানে হলো অর্ণব…( একটু আগে যা কিছু হয়েছে সব খুলে বলল)
নেহা:- মাশআল্লাহ্, আমার কপালটা খুলে গেছে! চলনা গো আজকেই বিয়েটা সেরে আসি?
অর্ণব :- কাকে এমন করে বলছিস??
নেহা :- তোমায় ছাড়া আর কাকে বলবো বলো গো। এখানে তো তোমার মত কিউট, স্মার্ট আর দ্বীনদার ছেলে আর কেউ নাই।রিপনের শরীর জ্বলে যাচ্ছে,কারণ রিপন মন থেকে নেহা কে ভালোবাসে….
রিপন :- তোরা থাক আমি ক্লাসে গেলাম।
একলাস:- আরে ভাই দাড়া একসাথেই যাব??
রিপন:- প্রেম পিরিতি দেখলে গাটা জ্বলে যায়,আমার সামনে সব কিছু করতে হবে? বলে হন হন করে চলে গেল।
অর্ণব : এটা তুই ঠিক করলি না নেহা…
নেহা:- একটু বাজিয়ে দেখতে হবেনা।
বেলাল:- তুই ভালো করেই জানিস ওয় তোকে খুব ভালোবাসে, তাও অর্ণবের সাথে এসব করতে হবে?
নেহা:- আমিও ওকে প্রচুর ভালোবাসি বুঝছিস! আর এটা রিপনও জানে! কিন্তু আমি প্রেমের মতো হারাম কাজে নিজেকে কখনো জড়াবো না।#কেননা কোরআনে রয়েছে,”আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।”-(সূরা বনী ইসরাইল 32)💕
একলাস : তোর চিন্তাভাবনা খুব সুন্দর। বিয়ের আগে প্রেম হারাম। ধৈর্য্য ধরে বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা কর।#আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,”নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যধারণকারীদের সঙ্গে আছেন।”(সুরা : বাকারা, আয়াত : ৫৩)💕
নেহা : তোরা দোয়া করিস আমাদের জন্য।
অর্ণব : ইনশাল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা তো তোদের অন্তরের সব কিছু জানেন ও দেখতেছেন।#কোরআনে আছে,”নিশ্চিত জেনে রেখ, আসমান ও জমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। তোমরা যে অবস্থায় আছ তা তিনি জানেন। অতঃপর যেদিন তারা তাঁর কাছে ফিরে যাবে সেদিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেবেন তারা যা করত, আল্লাহ সকল বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অবগত।”-(সুরাঃ আন্-নূর, আয়াতঃ ৬৪)💕
মশিউর : আচ্ছা এই বিষয়টা বাদ দে।
নেহা : আরে বেলাল তোকে বেলে কে থাপ্পর মারছে?এটা শুনে একলাস উচ্চ স্বরে হেসে উঠল!
আমি, মশিউর আর নেহা অবাক হলাম( এমন করে হাসতাছে কেন পাগল হলো নাকি)
অর্ণব : বেলালকে থাপ্পর মারছে আর তুই হাসতেছিস! কার এত বড় সাহস যে বেলাল কে চড় মারে?
মশিউর : এত বড় কান্ড হয়েছে, তুই আমাদের ফোন না করে হাসতাছিস?একলাস আবার হেসে উঠল
একলাস:- কি হয়েছে বলতে পারুম না,বলার আগেই হাসি বের হচ্ছে।(অন্যদিকে বেলাল চুপ করে দাঁড়ায় আছে)
মশিউর :- বেলাল তুই বল! কি হয়েছিলো?(বেলাল চুপ)
একলাস: দারা আমিই বলতেছি,”বাসের ভিতর বসে বসে বেলাল গান গাচ্ছিলো,
বেলাল :- মাইয়া ও মাইয়ারে তুই অপরাধীরে, আমার যত্নে গড়া ভালোবাসা……হঠাৎ একটা মেয়ে ঠাস্……স করে একটা থাপ্পর বসায় দিলো।গালে এক হাত দিয়ে,
বেলাল:- কোন শয়তান মারল রে….
অচেনা মেয়ে:- তোর খালা মারছে!বেলালের চেহারাটা দেখার মতো ছিলো। মেয়েকে দেখে ভেজা বিড়ালের মতো চুপসে গেলো।
বেলাল:- কেন মারলেন…
অচেনা মেয়ে:- মেয়েদের দেখলেই গান গাইতে ইচ্ছে হয় তাইনা..!”
অর্ণব :- বেলাল তারপর কি করলি..
বেলাল :- কিছু নাই বলতে চলে গেল।
নাহাজুল:- তুই আসলেই একটা অন্য লেভেলের গাধা।
নেহা : হি হি হি। নেগলা আসলে অনেক খুশি হত এটা শুনে।
নাহাজুল:- ভুলেই গেছিলাম ওর কথা। ও আসলো না কেন জানিস কি?
নেহা:- জানিনা, তবে বলল “আমি অসুস্থ”।
অর্ণব :- তাহলে চল বিকেলে ওকে দেখতে যাব।
নেহা:- লাভ নেই??
একলাস:- কেন লাভ নেই??
নেহা:- আমি যেতে চাইলাম বলে “তেমন কিছু না”, এমনিতেই নাকি ২-৪ দিন আসবে না?
অর্ণব :- নেগলা তো অনেক ভাল ছাত্রী। একদিন ও বন্ধ দিতে চায়না, ও ২-৪ দিন আসবে না এটা বিশ্বাস হচ্ছেনা।আর ওর বিয়ের তো এখনো দেরী আছে। বেপার টায় গোলমাল আছে।
বেলাল :-একদম ঠিক বলেছিস? বেপার টা ভালো করে দেখতে হবে।
মশিউর : তোরা কি শুরু করলি? আজকে কি ক্লাস করবি না? কত দেরি হয়ে গেছে দেখছিস? এমনিতে আমরা দেরী করে আসছিলাম।আমরা সবাই অবাক! সত্যিই অনেক দেরী হয়ে গেছে। আমরা গল্প করতে করতে এতোটাই মগ্ন হয়ে গেছিলাম যে এত সময় পার হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।
নেহা : পরে কথা বলছি নেগলার বিষয় নিয়ে এখন ক্লাসে চল সবাই।
একলাস : চল না দৌড়া!ক্লাসে গিয়ে দেখি ইংলিশ মেডাম ক্লাস নিচ্ছে।
নেহা:- May we come in mam?মেডাম আমাদের দেখে খুশি হন নি এটা বুঝা যাচ্ছে… ক্লাশ শেষের দিকে আর আমরা এখন আসতেছি। রাগান্বিত হওয়ার বিষয়ও বটে!(মনে মনে দোয়া করতেছি যেনো সবার সামনে আমাদের অপমান না করে)পড়ানো বন্ধ করে আমাদের সাথে কথা বলার জন্য এদিকে আসতেছেন….মেডাম অনেক রাগী! কি যে হয়….(চলবে…)
“মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝[আগের পর্ব Page এর Timeline এই দেওয়া আছে]🍁💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞
Leave a Reply