Islamic গল্প😊
“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖
Part : 5
মেডাম আমাদের কাছে এসে সবার উপর একবার চোখ বুলায় নিলো। আমাদের তো ভয়ে অবস্থা খারাপ!
নেহাকে উদ্দেশ্য করে,
মেডাম:- What do you want to say with Goats?
(ইংলিশ গুলা বুঝতে পারলাম কিন্তু কিছু বললাম না। কারণ সবার সাথে এমন ভাবে কথা বলি যে কেউ বিশ্বাস করবে না আমি ইংলিশ অনেক ভালো পারি।)
[কিভাবে ইংলিশ ভালো পারি আর কি জন্য বলিনা? কারণটা এখন রহস্যই থাক😁]
মশিউর:- কিরে একলাস ইংলিশ টিচার সুনাম করল না দুর্নাম করলো কিছুই তো বুঝলাম না।
একলাস:- ভাই আমারো অবস্থা একই। কি বলল কিছুই বুঝলাম না। আল্লাহ যেন যেই বেটা ইংলিশ আবিষ্কার করছে ওর কোন মেয়ে থাকলে আমার সাথে মেয়েটার জোড়া মিলায়া দেয়।
মশিউর:-জোড়া মিলানো.. তার মানে কি?
একলাস:- মানে হলো তার মেয়ের সাথে আমার বিয়ে করা বা যুগলবন্ধী।
আল্লাহ আরও বলেন:
“এবং তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী।”
(সূরা নাজম: ৪৫)💕
মশিউর:- তার মেয়েকে বিয়ে করে কি করবি?
একলাস:- কি আর করব সংস্কৃত শিখতে পাঠাবো। সংস্কৃত বেলে অনেক কঠিন। আমি একটা সংস্কৃতের স্যারকে চিনি অনেক রাগী।
মশিউর:- কে…ন??(অবাক হয়ে)
একলাস:- এইযে ইংলিশ পারিনা, কেউ বকা দিলো না সুনাম করলো কিছু বুঝিনা। সে জন্য বদলা নিবো!
ওর কথা শুনে নিহা, বেলাল,মশিউর হেসে উঠল,আমি মাথা নিচু করে আছি।
ম্যাডাম : What you guys talking about? Are u guys mad? All the girls and boys come here to study. Not for watching you guy’s stupid Drama. Get out of my class….
(শুনে খুব রাগ উঠলো! আমাদের পাগল বলছে। আবার সবার সামনে বের হয়ে যেতেও বলছে ক্লাস থেকে)
একলাস:- অর্ণব তুই কিছু বুঝলি মেডাম যেসব বলল?
নাহাজুল:- হুম, বলল আমরা অনেক ভালো ছাত্র। আরো ভালো করে পড়তে হবে এটাই বললো।
ম্যাডামকে উদ্দেশ্যে করে,
একলাস:- Thanks মেডাম আপনি আমাদের নিয়ে এত কিছু ভাবেন, আমি তো জানতাম না!
মেডাম তো অবাক!
ক্লাসের সবাই একলাসের কথা শুনে হেসে উঠলো।
আমাদের মধ্যে নেহা একটু ভালো ছাত্রী। তাই এবার বিষয়টা বুঝলো।
নেহা : Sorry Mam! Next Time we will come in Time.Please Forgive us this Time.
মেডাম : Okay. This time i Forgiving you guys… But not again. Keep that in your mind. Come in.
নেহা : চল আমাদেরকে ঢুকতে বলতেছে।
একলাস:- চল সবাই।
তারপর আমি যায়ে রিপনের পাশে বসলাম।
রিপন:- আজ থেকে তোদের সবার সাথে আমার বন্ধুত্ব শেষ।
নাহাজুল:- মা…মানে?……পাগল হয়েছিস নাকি?
রিপন :- হুম..
অর্ণব : তার মানে তুই আমার আর নেহার বিয়েতে আসবি না?
(একটু মজা করতেছি)
(রিপন তো অবাক)
অর্ণব : সব কাজ কিন্তু তোদেরকেই করতে হবে। মানে তোরাই তো আমার ভাই। তোদেরকেই তো দায়িত্বগুলা নিতে হবে তাই না?
রিপন:- তুই সত্যি ওকে বিয়ে করবি?
(এই চেহারাটা দেখার জন্যই অপেক্ষা করতেছিলাম। ছেলেটা আরেকটু হলেই কেঁদে দিবে)
অর্ণব :- করলে কি হবে?
রিপন:- অনেক খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম,আমি চাইনা তোরা আমার থেকে দূরে চলে যা।
অর্ণব : কেন কেন?
ইংলিশ মেডাম আমাদের দিকেই তাকিয়ে ছিল আমরা খেয়াল করিনি! এবার আমরা শেষ।
মেডাম:- Hey You two ediots! Whenever i come to my class you guys always keep talking.Do you guys have any Problem with me?
(কি আর বলবো ভাগ্যটাই খারাপ। সবখানে আজকে ফাঁসে যাচ্ছি। এবার বোধহয় ক্লাস থেকেই বেড় করে দিবে)
মেডাম:- কি হলো কথা কানে যায়না নাকি ইংরেজি বুঝনা? বাংলায় বলতে হবে?
(মেডামের কথায় মাথা নিচু করে থাকলাম)
মেডাম : ক্লাশ থেকে বেড় হয়ে যাও।
রিপন :- ওকে মেডাম যাচ্ছি।
দুজনে বাইরে গিয়ে বসলাম।
রিপন :- তুই কি সত্যিই ওকে বিয়ে করবি?
অর্ণব : আরে না আমি মজা করলাম।
রিপন:-নিহাকে আমি প্রচুর ভালোবাসি, তুই কখনো এসব মজা করবি না।
অর্ণব : তে ওকে বলিস না কেন?
রিপন : প্রেম করা হারাম বুঝলি। এর দ্বারা বিভিন্ন ধরনের যেনা সংঘটিত হয়।
সহিহ মুসলিমে এসেছে-
“দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে- দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।”
[সহিহ মুসলিম(২৬৫৭)]💕
প্রেমের দ্বারা এগুলা সব বাস্তবায়ন হয়। তাই এ কাজ আমি কখনোই করবো না।
অর্ণব : জানিস নেহাও কিছুক্ষণ আগে একই কথা বললো।
রিপন : ইসলাম কাউকে ভালোবাসতে হারাম করে নি। তাই আমি ওকে ভালোবাসি। আমি অপেক্ষা করতেছি সঠিক সময়ের। আমি ওকে সম্পূর্ণ হালালভাবে পেতে চাই। আর বিয়ে না ছাড়া এটা সম্ভব না।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
তাঁর আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
-(সূরা রূম: ২১)💕
অর্ণব : ঠিক বলছিস। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা কর।
কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
“এবং যারা ধৈর্যধারণ করবে আমি অবশ্যই তাদেরকে তারা যে কাজ করে তার চেয়ে উত্তম প্রতিদান দেব।”
-(সুরা : নাহল, আয়াত : ৯৬)💕
রিপন : ইনশাল্লাহ
অর্ণব : তুই কিসের অপেক্ষা করতেছিস?
রিপন : আমি এখনো ছাত্র। আর বিয়ে মানে শুধু একসাথে থাকা না। ওর ভরনপোষণ থেকে শুরু করে সব কিছুর দায়িত্ব তখন আমার। ভালো করে পড়াশুনা শেষ করে একটা চাকরি পেলেই ওদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো।
অর্ণব : বাব্বাহ আমাদের রিপন তো দেখতেছি বড় হয়ে গেছে!
রিপন : আমার এখনো কিন্তু খটকা আছে।
অর্ণব : কি নিয়ে?
রিপন : তুই নেহাকে পছন্দ করিস তাই না?
অর্ণব : কি উল্টা পাল্টা ভাবতেছিস?
রিপন : আমি ঠিকই ভাবতেছি!
অর্ণব : একদম না! দেখ আমার রাগ উঠতেছে কিন্তু।
রিপন : হুম বুঝতে পারছি।
আমি রেগে গিয়ে,
অর্ণব : কি বুঝতে পারছিস? নেহা আমার শুধু বন্ধু হয়। আর কিছু না। তুই আমাদের সন্দেহ করতেছিস?
রিপন : তুই আমার বন্ধু। তুই চাইলে আমি সরে যাবো।
অর্ণব : তুই কি পাগল হলি?
রিপন : তুই ওকে বিয়ে করলে আমি কিছুই মনে করবো না।
অর্ণব : আমার অলরেডি বিয়ে হয়ে গেছে বুঝলি?😡
(মারছে রে! রাগের মাথায় সত্যিটা মুখ থেকে বেড় হয়ে গেছে।)
রিপন:- তুই বিয়ে করেছিস? কোন মেয়ে? পরিচয় করে দিসনি? কাউকে বলিস ও নি! এটা কিভাবে সম্ভব, যে তুই বিবাহিত?
(চলবে….)
মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣
গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝
[আগের পর্বগুলো Page এর Timeline এই দেওয়া আছে]🍁
💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞
Leave a Reply