অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖Part : 6

Islamic গল্প😊

“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖
Part : 6

অর্ণব :- আমি অন্য কাউকে আমার মনটা দিয়েছি,আর তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে ২ মাস আগে। নেহার জন্য আমার তেমন কোন ফিলিংস নাই। এবার বিশ্বাস হলো তো?

[ জি হ্যাঁ। “সেই মেয়েটা” মানে আমার বউ! যেটা আমি এতোদিন রহস্য রেখেছিলাম🙂]

রিপন তো অবাক!

রিপন :- তারপর?

অর্ণব :- বাদদে বলতে চাচ্ছি না কিছু..

রিপন :- বলতেই হবে তোকে!

অর্ণব : দয়া করে এর বেশি জিজ্ঞাসা করিস না। আমি বলতে পারবো না। আর ওরা যেন না জানে যে আমি বিয়ে করেছি ২ মাস আগে!

রিপন:- কিন্তু কেন?

অর্ণব :-বললাম তো এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করিস না। আর ভাই বলতেছি,কাউকে বলিস না!

রিপন:- ওকে আমি কাউকে বলবো না, এটা তো বল তোর বউ কোথায় এখন?

অর্ণব :-হারিয়ে গেছে অনেক দুরে। জানিনা ফিরে আসবে কি না। উনার অপেক্ষায় আমি প্রহর গুনতেছি!

রিপন:- হারিয়ে গেছে মানে?

অর্ণব :-অন্য একদিন সব ঘটনা খুলে বলল,আজ না।
আর ওরা সবাই এদিকেই আসছে বাদ দে এসব কথা?

রিপন:- ওকে।
(আমাকে জানতেই হবে কি এমন কথা যা অর্ণব সবার কাছ থেকে লুকাচ্ছে। এর ভিতর নিশ্চয় রহস্য আছে?)

ইংরেজি ক্লাস শেষ তাই নিহা,মশিউর,বেলাল ও একলাস একসাথে এদিকেই আসতেছে।

নিহা:- কি দরকার ছিল ক্লাসে কথা বলার?

রিপন:- আমাদের বের করে দিয়ে অনেক ভালো করেছে, একটা অজানা কথা জানতে পারলাম।

নিহা:- কি এমন অজানা কথা?

অর্ণবের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলাম ওয় রাগে ভূত। বললাম,
রিপম :- তোমার না জানলেও চলবে?

নিহা:- লাগবে না শোনা, মনে হয় না শুনলে আমি মরে যাব!

রিপন:- রাগ করনা নিহা,এটা আমি তোমায় বলতে পারব না..

বেলাল,মশিউর,একলাস বলে উঠল আমরা তো জানতে পারব নাকি,সাইটে চল।

রিপন:- না তোরাও জানতে পারবি না, আপাতত!

একলাস:- কিরে অর্ণব তুই বল, কি এমন কথা?

অর্ণব :- পরে বলব একদিন সময় হলে, এখন না, আর শোন সবাই “আমার খারাপ লাগছে, বাসায় চলে যাচ্ছি। আল্লাহ হাফেয।

একলাস :- ওকে যা, বাই বলতে হবেনা। আসসালাম অলাইকুম।

অর্ণব :-এটা নিয়ে রাগ করার কিছু নেই, সব কথা সব সময় বলা যায়না,সময় হলে এমনিতেই বলব। আর রিপন তুই আমার সাথে চল। অলাইকুম আসসালাম।

রিপন :- ওকে চল।

আমরা চলে যাওয়ার পর,

মশিউর:- কি এমন কথা যা ওরা আমাদের থেকে লুকালো?
ওরা তো সব কিছু শেয়ার করে আমাদের সাথে।

নিহা :-হুম তাইতো…

একলাস:- নিহা তুই রিপনকে জিজ্ঞাসা করলে ও তোকে বলে দিবে আসল কারণ টা।

নিহা:- তোদের বলল না আর আমায় বলবে?

একলাস:- হুম বলবে কারণ ও তোকে মন থেকে অনেক ভালোবাসে। লুকাতে পারবে না!

নিহা:- আচ্ছা দেখব, বলে কি না?

একলাস:- Thanks!

নিহা:- যদি ওর থেকে জানতে পারি তাহলে আমায় কি খাওয়াবি।

একলাস:- কিছুনা..

নিহা:- তাহলে আমি রাজি নাই,ওরে বলব না আমি?

একলাস:- আচ্ছা তুই বল কি খেতে চাস…

নিহা:- ফুচকা..

একলাস:–কিছুই বুঝিনা মেয়েরা এত ফুচকা ফুচকা করে কেন!

নিহা:- বিয়া কর তাহলে বুঝতে পারবি!

একলাস:–মোর বউ এসব খেতে চাইলে খবর আছে!

নিহা:- তোর কপালে বউ নাই!

একলাস:–হ তোরে কইছে!

মশিউর:- বাদ দে না ভাই কি শুরু করলি তোরা।

একলাস:–ওকে বাদ দিলাম, সবাই এখন বাসায় যাই। কালকে দেখা হবে। আসসালাম অলাইকুম!

সবাই : অলাইকুম আসসালাম!

অন্যদিকে আমি আর রিপন,

রিপন:- কিরে তুই আমায় ডেকে আনলি কেন? আর আমাকে নিয়ে বাশঁঝারের দিকে যাচ্ছিস কেন?

অর্ণব :- তুই আমার গোপন তথ্য জানতে পারছিস তাইনা,তোকে না মারলে ওরা সবাই যেনে যাবে। তাই আজকে তোকে খুন করে ফেলবো!

রিপন:- সত্যি সত্যি মেরে ফেলবে নাকি। আল্লাহ আমারে বাচায়া নেও,কারণ আমি মরলে নিহার কি হবে? নেহাতো বিয়ের আগেই বিধবা হয়ে যাবে।

অর্ণব : নেহাকে আমি বিয়ে করে নিব।

রিপন:- তোর না বউ আছে?

অর্ণব :- ছিল এখন তো নাই..

রিপন : দেখ মজা করিস না।

অর্ণব : তুই কি কাজটা ঠিক করলি? আমি তোকে বিশ্বাস করে কথাগুলা বললাম। আর তুই? জানিস

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

“আর যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, আর যারা তাদের সাক্ষ্য দানে অটল এবং নিজেদের সালাতে যত্নবান, তারা সম্মানিত হবে জান্নাতে।”

-(মা‘আরিজ-৩৫)💕

(রিপন চুপ করে আছে!)

অর্ণব : তুই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ভালো কাজ করলি না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি; (১) কথা বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার কাছে আমানত রাখা হলে তার খিয়ানত করে।’’

-[সহীহুল বুখারী ৩৩, ২৬৮২, ২৭৪৯, ৬০৯৫]💕

আর মুনাফিকের শাস্তি সম্পর্কে,

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ পাক বলেছেন,

‘‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিকৃষ্ট স্তরে থাকবে এবং তাদের জন্য তোমরা কখনও কোনো সাহায্যকারী পাবে না|’’
-(সুরা নিসাঃ আয়াত-১৪৫)💕

রিপন : আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি। আর কি করবো তুই বল। ওদের থেকে কোন কিছু লুকানোর অভ্যাস নাই। তার উপর আবার নেহা ছিলো। মুখ থেকে বেড় হয়ে গেছে। Sorry!

অর্ণব : এবারের মতো মাফ করলাম।

এমন সময় আম্মুর কল আসলো!

অর্ণব :- আসসালামু আলাইকুম আম্মু।

মিস রাদিয়া :- ওয়ালাইকুম আসসালাম।

অর্ণব :- আম্মু কল দিলা কেন?

মিস রাদিয়া :- সন্ধ্যা লেগে এল এখনো তোর ছোট ভাই নাজিম আসল না। ওর মেডামের বাসা থেকে নিয়ে আয়।

অর্ণব :- ও তো দুইদিন আগে থেকে নতুম ম্যাডামটার কাছে পড়া শুরু করছে। আমি তো একদিনও যায় নি। বাড়ি চিনবো কিভাবে?

মিস রাদিয়া :- রিপনদের বাড়ি যেতে একটা গলিতে “আজম আবাস” নামের বাড়িতে ওর ম্যাডাম ভাড়া থাকে। যায়ে নিয়ে আয়।

অর্ণব :- ওকে যাচ্ছি।

রাদিয়া বেগম :-এখনি যা!

অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম।

রাদিয়া বেগম:- অলাইকুম আসসালাম! তারাতাড়ি যাস।

ফোনটা কেটে রিপনের কাছ থেকে ঠিকানাটা নিয়ে হাটা শুরু করলাম।

রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি আর আমার বউটার কথা মনে করতেছি!মনে মনে বলছি,
:- আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসি! তুমিই আমার প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসা। তুমিই আমার একমাত্র লক্ষি বউ! দুই মাস তো পার হয়ে গেলো। কোথায় তুমি? ইসসস যদি এই রাস্তাতে এখনই তোমার সাথে দেখা হয়ে যেত। সারা জীবন রানীর মতো রাখতাম তোমাকে। আর কোনদিনও হারাতে দিতাম না।

[ দুই মাস কেনো বলতেছি? আর কিভাবে হারালো? এটা এখন রহস্যই থাক😁]

এগুলা আজগুবি কথাবার্তা ভাবতে ভাবতে আর দুইটা ভুল বাড়িতে ঢুকার পর নতুন মেডামের বাসা পেলাম। কারন আমি বাড়ির নামটা ভুলে গেছিলাম!

ডাকতেই নাজিম আসে গেট খুলে দিলো আর সাথে সাথে চলে গেলো পড়তে। গিয়ে দেখি, একটা মেয়ে পড়াচ্ছে, যদিও মুখ দেখতে পেলাম না, কারণ ও পাশে ঘুরে আছে। বাইরেই বসে থাকলাম।

এটাই তাহলে সেই নতুন ম্যাডাম। যার কথা শুনে নাজিম সকালবেলা সত্য কথা বলে আমাকে ফাঁসায় দিছিলো! চেহারাটাতো দেখা যাচ্ছে না। ধুর আমিও হই আরকি! অন্য মেয়ের চেহারা দেখে আমি কি করবো। শুধু শুধু নিজের পাপ বাড়াতাম। যাক ভালোই হইছে মেয়েটা পিছনে ঘুরে আছে।

অর্ণব : নাজিম তাড়াতাড়ি করো। আম্মু ফোন করেছিলো, তোমায় নিয়ে যেতে বলেছে তারাতাড়ি, আম্মু তোমার জন্য চিন্তা করছে।

অচেনা মেয়ে মানে নাজিমের ম্যাডাম বললো,

(চলবে…)

মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣

গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝

[আগের পর্বগুলো Page এর Timeline এই দেওয়া আছে]🍁

💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞

যারা গল্প পড়ার জন্য রিকুয়েস্ট দেন তারা প্লিজ গল্পে কমেন্ট করবেন
“”” গল্প পড়ার জন্য””””


Comments

2 responses to “অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖Part : 6”

  1. […] Chapter 1 Chapter 2 Chapter 3 Chapter 4 Chapter 5 Chapter 6 Chapter 7 Post navigation ← Previous […]

  2. […] Chapter 1 Chapter 2 Chapter 3 Chapter 4 Chapter 5 Chapter 6 Chapter 7 Chapter 8 Post navigation ← Previous […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *