Islamic গল্প😊
“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖
Part : 31
রফিক সাহেব : তুই বেলে দুই লাখ টাকা ক্যাশ নিছিস। এত টাকা কি করলি?
অর্ণব : হুম নিছি।
রফিক সাহেব : এত টাকা নিয়েছ কেন? আর আমাকে না বলে নিয়েছো কেনো?
অর্ণব : ঐ যে বউ…
রফিক সাহেব : ঐ যে বউ মানে?
অর্ণব : তোমার বউমার জন্য নিয়েছি। এখন বউয়ের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসা করিও না। সময় হলেই সব জানতে পারবা। আর টাকাটা আমি কাজেই লাগাইছি। এতটুকু ভরসা রাখতে পারো।
রফিক সাহেব : তাই বলে এত টাকা?
অর্ণব : একবারের মতো নিয়েছি। আর লাগবে না।
রফিক সাহেব : তো বাবা টাকাটা এখন কোথায় আছে?
অর্ণব : খরচ করা শেষ🤐
রফিক সাহেব : এত টাকা সকালে নিলি আর সন্ধ্যায় শেষ হয়ে গেলো?
অর্ণব : কি জন্য খরচ করেছি আর কোথায় খরচ করেছি সব জানতে পারবা। শুধু একটু সময় দাও।
রফিক সাহেব : ঠিক আছে টাকা যা যাবার গেছে কিন্তু আমার বৌমা কোথায়?
(কি আর বলবো তোমাদের বৌমা তো স্বীকারই করতেছেনা যে আমি তার স্বামী। বাড়িতে আসার কথা তো দূরে থাক)
এমন সময় আম্মু আসলো৷ আম্মু ঘটনা শুনে,
মিস রাদিয়া : এত টাকা কি করছিস বল?
অর্ণব : সত্যি আম্মু টাকা গুলা তোমাদের বৌমা আনার জন্য খরচ করেছি। বিশ্বাস করো।
খুশি হয়ে,
মিস রাদিয়া : তুই পারলে আরো খরচ কর। কিন্তু বউ যেনো বাড়িতে আসে। নইলে তোর খবর আছে।
অর্ণব : আর তেরো দিনের মধ্যে আনবো চিন্তা করিও না।
বলেই রুমের দিকে হাটা দিলাম, কারণ এখানে থাকলে আরো কত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তা কে জানে।
রুমে গিয়ে ডাটা অন করলাম। উদ্দেশ্য, বউটা আমার পেজে মেসেজ দিয়েছে কি না দেখার জন্য। ডাটা অন করতেই দেখি বেশ কয়েকটা মেসেজ এসেছে আমার ফেসবুক পেজটাতে! তার ভিতর “গুনাহগার বান্দী” আইডি থেকে তানহাও মেসেজ দিয়েছে।
তানহা :- কি ব্যাপার আজকে গল্প দেননি যে। আমি আপনার গল্পের জন্য বসে আছি।
অর্ণব :- না আজকে দিতে পারিনি।
তানহা:-কেন?
অর্ণব :-আসলে ব্যস্ততার কারণে লিখতে পারিনি।
তানহা :- আপনি এতো ব্যস্ত থাকেন কেনো?
অর্ণব :-আরে তেমন কিছু না,এটা বলেন যে আপনার চাকরির কি হলো?
তানহা:- পরিক্ষা তো দিয়ে এসেছি,মনে হয় পরিক্ষায় টিকবো কিন্তু??
অর্ণব :- কিন্তু কি?
তানহা :- আমার মন বলছে চাকরি টা হবেনা,কারণ এতো বড় একটা কলেজের চাকরি এমনি এমনি দিবে মনে হয় না, টাকার ব্যাপার তো থাকবেই।
অর্ণব :- ঐটার চিন্তা করিয়েন না।
তানহা :- মানে? বুঝতে পারলাম না?
(আমাকে এটা অর্ণবই মনে হচ্ছে। এজন্যই আমাকে চিন্তা করতে মানা করতেছে।)
অর্ণব :-মানে হলো আপনার চাকরি এমনিতেই হবে,আর সেটা খুব তারাতারি।
তানহা :- তাই নাকি আমার মন তো বলছে হবেনা।
(যদি চাকরিটা হয়ে যায় তাহলে আমি সম্পুর্নভাবে নিশ্চিত হয়ে যাবো এটা অর্ণব)
অর্ণব :- দেখে নিয়েন আমার কথাই সত্যি হবে।
তানহা :- আমার চাকরী টা হলে আপনার সাথে দেখা করবো.??
(এটা অর্ণব হলে কথা ঘুরিয়ে বলবে দেখা করবে না। দেখা যাক কি করে।)
অর্ণব :-মানে বুঝলাম না।
তানহা :- মানে হলো আপনার বাসা তো দিনাজপুর, আমিও দিনাজপুরে থাকি তাই ভাবছি আপনার সাথে দেখা করবো।
(আমার সাথে দেখা করলেই তো বুঝতে পারবে যে,আমি ওর স্বামী। একদম দেখা করা যাবে না)
তারপর বললাম
: আমার সাথে দেখা করে কি করবেন?
(মিস্টার অর্ণব! আমার সাথে চালবাজি করতেছেন? আমি এখন নিশ্চিত এটা অর্ণব।)
তানহা :-না এমনি।আপনি এতো ভালো গল্প লেখেন, দেখা হলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম😜
অর্ণব :-একদিন আপনাকে আবাক করে দিব আপনার সামনে গিয়ে।
তানহা :- তাই নাকি।
(জি না মিস্টার। আমি এতটাও বোকা না যে এটা আপনি আর আমি বুঝতে পারবো না। এই কথা দিয়ে তো আপনি আরো নিশ্চিত করে দিলেন। কে অবাক হয় এটা সময়ই বলে দিবে😁)
অর্ণব :-হুম,ওকে এখন একটু কাজ আছে। আসসালাম অলাইকুম।
তানহা :- অলাইকুম আসসালাম।
পরের দিন সকালবেলা,
নাস্তা করে কলেজে গেলাম। দুই – তিনটা ক্লাস করার আর তানহার খবরটা নেওয়ার জন্য।
কলেজে গিয়েই দেখি নেহা আর নেগলা বসে আছে,সোজা ওদের কাছে গেলাম।
নেহা:- আসসালাম অলাইকুম বিবাহিতা অর্ণব সাহেব।
অর্ণব : অলাইকুম আসসালাম সিংগেল মিস নেহা।
নেহা:- হাহাহা আমার কেউ একজন আছে।
অর্ণব :- ও তাই নাকি।নামটা একটু বলেন শুনি?
(যদিও আমরা জানি রিপন। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যেও বিষয়টা গোপন রাখছে এমনকি পরষ্পরকেও জানায় নি এবং তারা কঠোরভাবে সংযত আচরণ করে।)
নেহা:- জি না বলবো না। কেননা,
হাদিসে এসেছে,
“যে ব্যক্তি কাউকে ভালোবাসে, তা লুকিয়ে রাখে, নিজেকে পবিত্র রাখে এবং এই অবস্থায় মারা যায় সে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।”
-[কানজুল উম্মাল : ৩০/৭৪]💕
বুঝলি?
অর্ণব : হুম। আল্লাহ যেনো তোর সব নেক ইচ্ছা পূরণ করে। কি রে নেগলা চুপ করে আছিস কেনো?
নেগলা : ভাবতেছি!
অর্ণব : কি ভাবতেছিস?
নেগলা:- আর বলিস না, শুনলাম কাল থেকে নাকি নতুন ইংলিশ টিচার জয়েন্ট হবে।
(যাক তাহলে তানহার চাকরিটা হয়ে গেছে। মেয়ে পরিক্ষার্থী সম্ভবত শুধু তানহাই ছিলো তাই একটু বেশি নিশ্চিত হলাম। আল্লাহকে হাজার হাজার শুকরিয়া।)
অর্ণব :- কি? আর কি জানিস?
নেগলা:- শুনেছি নতুন ইংলিশ টিচার নাকি অনেক পর্দাশীল আর অনেক রাগী।
অর্ণব :-রাগী হয়েছে তো কি মনটা অনেক ভালো।
(এই যা! বউয়ের ব্যাপারে খারাপ কথা শুনতে না পারে একটা ভুল করে বসলাম। ধুর!)
নেগলা:- তাই….
(কথা শেষ করতে না দিয়ে)
নেহা:- দারা দারা তুই কেমন করে জানলি যে নতুন টিচারের মনটা অনেক ভালো?
(এই দেখ নেহা ঠিক ধরতে পারছে।)
নেগলা:- আসলেই তো। তুই কেমন করে জানলি যে নতুন ইংলিশ টিচারের মন অনেক ভালো?
অর্ণব :-আরে পর্দাশীল তো তাই মনে হইলো আরকি! তোরা এটা নিয়ে এমন করতেছিস কেনো?
নেগলা:- ওকে বাদদে চল এখন ক্লাসে যাই।
নেহা : আমার কিন্তু এখনো খটকা লাগতেছে। কারণ কাহিনীটাতে মেয়েটা মানে ভাবি কিসের জানি পরিক্ষার কথা বলছিলো।
(আসলে গল্পের কিছু কিছু কথা এদের বলিনি। যেমন তানহা এই কলেজের জন্যই পরিক্ষা দিতে আসতেছিলো)
অর্ণব : আরে বাদ দে তো। বললাম না মনে হইলো তাই।
নেহা চুপ হয়ে গেলো আর আমরা ক্লাশের উদ্দেশ্যে গেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে বাকিরাও চলে আসলো।
কলেজ শেষ করে সোজা বাসায় এসে নামাজ পড়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম। তারপর সোজা ঘুম দিলাম। কারণ রাতে আবার তানহার কাছে যেতে হবে ভাইকে আনতে। যদিও ভাইকে আনতে যাওয়া মূল বিষয় না। মূল বিষয় হলো তানহার সাথে দেখা করতে যাওয়া।
সন্ধ্যার পরে সোজা ভাইকে আনার নাম করে তানহার সাথে দেখা করতে গেলাম। গিয়ে দেখি তানহা নাজিমকে পড়াচ্ছে।
বললাম,
অর্ণব :- নাজিম পড়া শেষ হয়নি?
নাজিম:- না ভাইয়া তুই একটু দাঁড়া আমি আর তিনটা অংক শেষ করেই যাচ্ছি।
অর্ণব :-ইংরেজীর মাস্টারনি অঙ্ক করাবে কিভাবে? তুই বাসায় গিয়ে আমার থেকে করে নিস।
তানহা :- কি বললেন আপনি??
অর্ণব :- কোই কিছুনাতো।
তানহা :- নিজে তো কিছুই পারেনা খালি মুখে পটর পটর।
অর্ণব :- কি বললা তুমি?
তানহা :- এই😡😡
তানহা ইশারা দিয়ে বুঝায় দিলো ছোট ভাই আছে তাই আমি যেনো “তুমি” না বলি।
আমি মুচকি হেসে উঠলাম, তারপর সোজা তানহার রুমের দিকে যেতে ধরলাম।
তানহা :- কোথায় যাচ্ছেন?
অর্ণব : আপনার রুমে।
নাজিম:- মেডাম আপনি কি আমায় ভাইকে আগে থেকে চেনেন? ভাইয়া আপনাকে তুমি করে বলল যে।
আমি কথাটা শুনে হাসতে হাসতে তানহার রুমের ভিতর ঢুকে পড়লাম। আমার ছোট ভাইটার বুদ্ধি আছে বলতে হবে। সঠিক যায়গায় সঠিক প্রশ্ন করছে।
তানহা :- বড়দের সব কথা শুনতে নেই, চুপ থাকো,আর তুমি এখানে এই অঙ্কটা করো আমি ভিতর থেকে একটু আসছি।
নাজিম:- দেখিয়েন মেডাম বেশিক্ষণ থাকিয়েন না যেনো। নাহলে পড়ে যেতে পারেন।
(আল্লাহ! এগুলা এ কি বলে? আমাকে প্রেমে পড়ার কথা বলতেছে। পিচ্চি শয়তান একটা।)
তানহা :- মানে কিসে পড়ে যাবো?
নাজিম:- আমি বলতে পারবো না, ভাইয়া রুমে আছে। ওইখানে গেলে পড়লেও পড়তে পারেন।
মনে মনে,
তানহা : কি বিচ্ছুরে বাবা। প্রেমে পড়ার কথা বলছে তাও আবার ইশারায়। দুই ভাই একি রকম। লজ্জাশরম কিছু নাই৷ আমি মেডাম হই আর আমার সাথেই এগুলা। কিন্তু বাছাধন তুমি তো জানো না তোমার ভাইয়ের প্রেমে আমি অনেক আগেই পড়ে গেছি। বললাম,
তানহা : অঙ্কটা না পারলে ভালো ভাবে টাইট দিবো। ওইদিকে মনোযোগ দাও। নইলে থাপ্পর খাবা।
এই বলে হাটা দিলাম।
আমি খাটের উপর বসতেই দেখি আমার বউটা নিজের ফোন বালিশের উপর রেখে গিয়েছে। নতুন মোবাইল তাও আবার এন্ড্রয়েড। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি, ওমা! কোন লক দিয়ে রাখে নি। সাথে সাথে তানহার মোবাইলটা থেকে ওর নাম্বারটা আমার ফোনে সেভ করে নিলাম। মনে হলো কেউ আসছে, পেছনে তাকিয়ে দেখি তানহা আসতেছে সাথে সাথে তানহার মোবাইলটা বালিসের নিচে রাখলাম।
তানহা :- আপনি কি বললেন?
অর্ণব :- কই কিছু বলিনি তো?
তানহা :- বাইরে তুমি করে বললেন কেন?
অর্ণব :- কখন কি বলছি?
তানহা :-আবার একই প্রশ্ন কেন?😡 তুমি করে বললেন কেন?😡
অর্ণব :- বউ কে তো তুমি করেই বলবো তাইনা।
তানহা :- কে বলছে আমি আপনার বউ?
অর্ণব :-কেউ না বললেও আমি তো মানি।
তানহা :- মানতে কে বলছে?
অর্ণব :- কেউ না আর এটা নিয়ে আমি তর্ক করতে চাচ্ছি না।
তানহা : আমিও চাচ্ছি না। এখন যান।
অর্ণব :-যাচ্ছি তার আগে বলো তোমার চাকরির হলো কি না?
তানহা :- আপনাকে বলতে বাধ্য নই আমি।
এমন সময় বাড়িওয়ালা আসলো। তানহা বাইরে গেলো কথা বলতে।
তানহা : আসসালাম অলাইকুম চাচা।
বাড়িওয়ালা : অলাইকুম আসসালাম। আজকে যে টাকাটা দিতে হবে মা।
কথাবার্তা শুনে বুঝলাম তানহা আজকে দিতে পারবে না আর আমার মনে হয় ও এই মাসে আর দিতেই পারবে না। তাই বাড়িওয়ালাকে দেখতে বাইরে বেড় হলাম।
বাড়িওয়ালা আমাকে দেখতে পেয়ে,
বাড়িওয়ালা : বাড়িতে এতো রাতে ছেলে ঢুকাইছো। এটা কিন্তু একদম ভালো করোনি। অন্ততপক্ষে তোমার কাছে এরকমটা আশা করিনি।
তানহা : আপনি এরকম কথা বলতে পারেন না। উনি আমি যে বাচ্চাটাকে পড়াই তার বড় ভাই।
বাড়িওয়ালা : তাই বলে রাতের বেলা রুমের ভিতর ঢুকানো কি ঠিক, বলো মা?
আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না। সোজা বাড়িওয়ালার সামনে গেলাম,
অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম। আপনি আমার বাবার বয়সী। তাই আপনার সামনে নম্রভাবেই কথা বলতেছি। কিন্তু আপনার চিন্তাভাবনার জন্য আপনাকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে পারতেছি না। আমি তো তানহার ভাইও হতে পারতাম তাই না? না জিজ্ঞাসা করে কি জন্য খারাপ ধারনা পোষণ করবেন? আর
পবিত্র কুরআনে আছে,
“সন্দেহ এড়িয়ে চলুন।”
-(৪৯ঃ ১২)💕
আর আমি উনার স্বামী হই। বুঝলেন?
অবাক হয়ে,
বাড়িওয়ালা : আমি দুঃখিত! এটা জানতাম না যে তানহা আপনার বউ।
অর্ণব : আর আপনি বুঝতে পারতেছেন না যে তানহার টাকার সমস্যা হচ্ছে।
পবিত্র কুরআনে আছে,
“ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিন।”
-(২ঃ ২৮০)💕
বাড়িওয়ালা : কিন্তু আমারো যে টাকাটা লাগতো।
অর্ণব : কত টাকা?
বাড়িওয়ালা : মোট সাড়ে আট হাজার।
অর্ণব : আপনার টাকা আপনি কালকে পেয়ে যাবেন।
এতক্ষণ চুপ থাকার পর,
তানহা : আপনি এসব নিয়ে ঝগড়া করছেন কেন? আমি তো উনার সাথে কথা বলতেছিলাম। আপনি এখান থেকে আপনার ভাইকে নিয়ে যান।
অর্ণব : তুমি চুপ থাকো। না জানে শুনে এত বড় কথা বলবে কেনো? এটা আমি সহ্য করবো না। আর উনার সাথে ভালোভাবেই কথা বলতেছি।
তানহা : বলছে আমায় বলছে, আপনার কি?
অর্ণব : আমার কি মানে? এক থাপ্পরে সব দাঁত ফেলে দিবো তোমার। সব সময় ফাজলামি? জানোনা আমার কি?
(তানহা চুপ হয়ে গেলো)
বাড়িওয়ালার দিকে ঘুরে,
অর্ণব : আপনাকে তো নতুন মনে হয় আগে তো দেখিনি।
বাড়িওয়ালা : জি আমি নতুন। কয়েকমাস হলো বাড়িটা কিনছি।
অর্ণব : আমি এখানকার স্থানীয়। খুব সহজেই আমার ঠিকানা পেয়ে যাবেন। আপনাকে কথা দিচ্ছি যে টাকাটা আপনি পেয়ে যাবেন তাও আবার খুব দ্রুত। এর মধ্যে তানহার যেনো কোন অসুবিধা না হয়।
বাড়িওয়ালা : ঠিক আছে।
জোরে,
অর্ণব : নাজিম তাড়াতাড়ি বাইরে আয়। বাড়ি যাবো।
নাজিম আসতেই সেখান থেকে চলে আসলাম।
বাড়িওয়ালা :- তানহা সত্যি কি সে তোমার স্বামী হয়?
অর্ণন :- হুম চাচা, সত্যি। আর আমি তাকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু তাকে বলিনা। কারণ সে এখনো কলেজে পড়ে। তাই ওর পড়াশুনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলবো না,তার কাছেও যাবোনা। নইলে অর্ণবের পড়াশুনার ক্ষতি হতে পারে। যা আমি মোটেও চাই না। আর উনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন তাই আপনার কথাতে অনেক রাগ করেছেন। ওর হয়ে আমি মাফ চাচ্ছি।
(হুম আর এজন্যই আমি অর্ণবের সাথে এরকম ব্যবহার করতেছি। আমি জানি আমাকে পেলে সে পড়াশুনায় একদম মনোযোগী হবে না। যার ফলে ওর ভবিষ্যত ঝুঁকির মুখে পড়বে। যা আমি কখনোই হতে দিতে পারি না।)
বাড়িওয়ালা:- আমি তো এসব জানিনা। হুম ছেলেটা তোমাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসে।কিন্তু প্রচন্ড রাগী আবার রাগের উপর নিজের কন্ট্রোলও আছে। অনেক ভালো স্বামী পেয়েছো।আচ্ছা তাহলে আজ আমি আসি।
তানহা :- কফি খেয়ে যান।
বাড়িওয়ালা :- আজ না অন্য একদিন।
তানহা : আসসালাম অলাইকুম।
বাড়িওয়ালা : অলাইকুম আসসালাম।
রাস্তায় হাটতেছি আর ভাবতেছি কিভাবে টাকা দিবো। তানহার চাকরির জন্য তো যা ছিলো সব কিছু দিয়ে দিলাম। এখন তো আমি ফতুর হয়ে গেছি। তার উপর আবার ধারদেনা হয়ে গেলো ঐটা আলাদা। কিন্তু টাকাটা তো কালকেই দিতে হবে। চিন্তা করতে করতে বাড়িতে পৌছে গেলাম।
রাতে খাবার খেয়ে নামাজটা পড়ে নিয়ে ঘুমাইতে গেলাম। তানহার কাছ থেকে নিশ্চিত হতে হবে যে ওর চাকরিটা হয়েছে কি না। যদিও সব কিছু ওর দিকেই নির্দেশ করতেছে। ফেসবুকে ঢুকতেই দেখি তানহা মেসেজ দিয়েছে।
তানহা : আসসালাম অলাইকুম।
(চলবে…)
মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣
গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝
[আগের পর্বগুলো Timeline এই দেওয়া আছে]🍁
💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞
Leave a Reply