Islamic গল্প😊
“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖
Part : 32
ফেসবুকে ঢুকতেই দেখি তানহা মেসেজ দিয়েছে।
তানহা : আসসালাম অলাইকুম।
অর্ণব : অলাইকুম আসসালাম। কেমন আছেন?
তানহা : আলহামদুলিল্লাহ! অনেক ভালো আছি😊
অর্ণব : তাই নাকি, মনে হয় চাকরি টা পেয়েছেন?
তানহা : হুম কাল থেকে জয়েনিং এবং কালকে থেকেই ক্লাস নিবো।
(জি মিস্টার অর্ণব। এখন তো নিশ্চিত এটা আপনিই। আর চাকরিটা হইতে আপনি সাহায্য করছেন এটা বুঝতে পারছি।)
অর্ণব : বলেছিলাম না আপনার চাকরি টা হবেই।
এমন সময় বুঝতে পারলাম আব্বু আমার রুমের দিকে আসতেছে। খুব তাড়াতাড়ি আমার মোবাইলটা বালিশের নিচে রাখলাম এবং পাশেই রাখা একটা বই নিয়ে পড়তে শুরু করলাম।
রফিক সাহেব:- এটা কি করতেছিস? আমি তো জানি তুই একদম পড়াশোনা করিস না। একটা বিয়ে করতে বললাম সেটাও তোর দ্বারা হচ্ছে না। এতোদিন লাগে একটা মেয়েকে বিয়ে করে আনতে? তোর কোনো পছন্দের মেয়ে আছে নাকি তাও তো বলিস না। এতোগুলা টাকা বউ আনার নাম করে উধাও করে দিলি। আমরা কি বেঁচে থাকতে তোর বউ দেখতে পারবো না?
অর্ণব :- এটা কি করতেছি মানে? আমি বুঝলাম না, দয়া করে একটু বুঝায় বলো।
রফিক সাহেব :- মনে হচ্ছে একেবারে ছোট বাচ্চা, যেনো কিছুই বোঝে না। মোবাইলটা যে বালিশের নিচে তা আমি দূর থেকেই দেখলাম। আমাকে আসা দেখে মোবাইলটা বালিশের তলে রেখে বই পড়া শুরু করলো। থাপ্পড় লাগাবো একটা।
মনে মনে,
অর্ণব :- এইরে! তার মানে বাবা আগে থেকেই সব দেখে ফেলেছে। কি আর করা, দেখে যখন ফেলেছে দু চারটে বকা খায়েই নেই। রোজ তো এক দুই কেজি শুধু বকাই খাই। এখন কিছু খাইলে সমস্যা কি!
রফিক সাহেব:- কি ভাবছিস বলতো? আচ্ছা তুই কি চাস না যে তোর আম্মু একটু শান্তিতে থাকুক? তোর মা একা একা সব কাজ করে। আমি রান্নার জন্য কাজের বুয়া রাখতে চাইলে সেটাও রাখতে দেয় না। তোর মায়ের অনেক ইচ্ছা যে তর বউয়ের হাতের রান্না খাবে। কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে সেটা কখনো বাস্তবে পরিণত হবে না। মনে রাখিস,
পবিত্র কুরআনে আছে,
“পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন।”
-(১৭ঃ ২৩)💕
কি আর বলবো আব্বু। তুমি তো জানো না যে, তোমার ছেলে অনেক আগেই বিয়ে করেছে। দুই মাস আগে। কিন্তু তোমার বউমা তো আসতেই চাচ্ছে না। এখন কি ধরে বানঁধে নিয়ে আসবো? তোমাদের বৌমা তো আমাকে বোঝে না, সে চায় না যে আমি তার পাশে থাকি। ওর মাথায় যে কোন ভূত চাপছে আল্লাহ জানে। এখন দেখি কি করা যায়।
রফিক সাহেব :- কিরে বাবা কি ভাবিস?
অর্ণব :- কই কি? কিছু না তো বাদ দাও, দেখবা সঠিক টাইমে তোমাদের বৌমাকে আমি ঘরে নিয়ে আসব। এখন ঘুমাতে যাও আমিও ঘুমাবো।
রফিক সাহেব : শুধু এতটুকুই বলতে চাই কথা যেনো ঠিক থাকে। নাহলে খুব খারাপ হবে। কেননা
মহান আল্লাহ বলেন,
“ঈমানদারগণ! তোমাদের অংগীকারগুলো পূর্ণ করো।”
-(সূরা মায়েদাহঃ ১)💕
এখন ঘুমা।
আব্বু লাইটটা অফ করে দিয়ে চলে গেল। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে কারণ কালকে আমাদের কলেজে নতুন ইংলিশ টিচার আসবে। মানে আমার বউ আসবে।
মোবাইলে এলার্ম দিতে যেয়ে তানহার নাম্বারের কথা মনে পড়লো। কল দিব না দিবনা করে দিয়েই দিলাম কল। কিছুক্ষণ পর কল ধরে চুপ করে আছে।
অর্ণব :- আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
তানহা তাও চুপ করে আছে।
অর্ণব :হ্যালো
তানহা এখনো চুপ করে আছে।
অর্ণব : কি ব্যাপার বয়রা নাকি? এতবার হ্যালো হ্যালো করতেছি কিন্তু কথা বলতেছো না কেন? এই তানহা কি হলো?
তানহা :-জ্বি ওলাইকুম আসসালাম। কে?
(জানি এটা মিস্টার অর্ণব!)
অর্ণব :- কে মানে আমার কণ্ঠ শুনে বুঝতে পারছো না যে আমি কে?
তানহা :- বুঝতে পারছি?
অর্ণব :- তাহলে কে বললা কেনো? আর আমি এতবার হ্যালো হ্যালো করলাম কথা বললা না কেন?
তানহা :- প্রথমত আমি অচেনা কারো কল ধরিনা। আবার ভাবলাম আমি যে চাকরি পেয়েছি এখান থেকে কল দিল নাকি! সব ভেবে চিন্তে কল ধরলাম।
অর্ণব :- এই জন্যই তো তোমাকে অনেক ভালো লাগে আমার। অনেক খুশি হয়েছি! এইরকম অচেনা নাম্বার থেকে কেউ কল দিলে ধরবে না। আর এখন বুঝতে পারছি যে চুপ করে ছিলা কেনো।
তানহা :- আপনি তো আমার সবকিছু এমনিতেই বুঝেন। তো এটা বলেন যে এত রাতে কল দিলেন কেন? আর আমার নাম্বার কোথায় পেলেন?
অর্ণব :- এমনি কল দিলাম। কেন বউকে কি কল দিতে পারিনা?
তানহা :- কে বউ? কার বউ? আমি আপনার বউ না। আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছেন?
(আসলে একটু আগে আমারো প্রচন্ড ইচ্ছা হচ্ছিলো ওর সাথে কথা বলার। যাক আমার স্বামীটা নিজেই দায়িত্বটা পালন করেছে।)
অর্ণব :- এই তো আজ। মানে ছোট ভাইকে যখন নিয়ে আসতে গিয়েছিলাম তখনই নিয়েছি। আচ্ছা তুমি কি পাগলি নাকি বলতো, একটা ফোনে তো পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে পারো তাই না?
তানহা :- আমার ফোনে কখনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয় না। কারণ আমি ছাড়া আমার ফোন আর কেউ ইউজ করে না। বুঝলেন?
অর্ণব :- হুম অনেক ভালো, তাহলে কালকে কলেজে আসবা তাইনা।
তানহা :- হুম কালকে থেকে যাবো। আর একটা রিকোয়েস্ট করি, সেটা হলো যে দয়া করে কলেজের ভিতরে তুমি করে বলবেন না এতে সবাই অন্য কিছু ভাববে।
অর্ণব :- কে কি ভাবলো ওটা তো আমার দেখার বিষয় না। আমার বউকে আমি তুমি করেই বলবো। দেখি কে কি করে।
তানহা :- প্লিজ প্লিজ প্লিজ! দয়া করে একটু আমার কথাটা চিন্তা করেন না। একটু আমার জন্য কষ্ট করে আপনি করে বলেন। ওই বলবেন কি?
(গাধা কোথাকার! আমি কলেজের শিক্ষিকা। আমার একটা সম্মান আছে না। তোমার বউ এটা ঠিক আছে কিন্তু সেখানে তো কিন্তু ওখানে তো বিষয়টা আলাদা। আল্লাহ! এ যেনো বুঝে বিষয়টা। যদিও জানি উনি অনেক বুঝেন আর এই বিষয়টাও বুঝবেন।)
অর্ণব :- এতো আদর করতেছেন কেন?
তানহা : দয়া করে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করেন।
অর্ণব : ঠিক আছে। তুমি যখন এত করে বলতেছো আর তোমার তো সব ইচ্ছে আমি পূরণ করতে চাই। যদিও তোমাকে আপনি বলতে ভালো লাগেনা তাও বলবো কারণ প্রথম একটা আবদার করলা।
তানহা :- Thank you!
(অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাকে বুঝার জন্য। তোমাকে পেয়ে আমি আসলেই ভাগ্যবতী)
অর্ণব : ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ছো?
তানহা : হুম। আপনি?
অর্ণব : আমি এখনি শুইলাম।
……
তানহা : কি বললেন আপনি। আপনার মাথা ঠিক আছে তো।
অর্ণব : মাথা ঠিক থাকবে না কেন? আমি তো আমার বউয়ের এর কাছ থেকেই চেয়েছি।
তানহা : আপনাকে আমি কতবার বলবো এক কথা। আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না। তাহলে কেন দিবো?
অর্ণব : দিবা নাকি বলো? না হলে দরকার নাই।
মনে মনে,
তানহা : বুঝলাম রাগ করেছে। কি আর করার এখন যদি দেই তাহলে বুঝতে পারবে আমিও তাকে ভালবাসি। আমি তো সত্যি তাকে ভালোবাসি। কিন্তু এখন জানানো যাবে না। বললাম,
: এটা করার কোন মানেই হয় না।
অর্ণব : কি বললা! তুমি জানো এর ফযিলত? এটা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। আর এটা একটি সুন্নাহ। আল্লাহর রাসুল রাসূল (সা) প্রায় সময় স্ত্রীদের চুমু খেতেন। এমনকি,
হাদিসে এসেছে,
“রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোযা অবস্থায় চুমু খেতেন।”
-(সহিহ মুসলিম)💕
তানহা : আচ্ছা বাদ দেন। রাতের খাবার খেয়েছেন?
অর্ণব : হুম সাথে কিছু বোকাও খাইছি।
তানহা : কেনো?
অর্ণব : বিয়ের চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি করতেছি না, এইজন্য গালি দিছে। আমি বলছি পনেরো দিনের মধ্যে বউ আনবো। কিন্তু দেখতেই তো পাচ্ছেন আমার বউ আমাকেই মানে না।
তানহা : আহারে বেচারা। তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নেন তাহলে।
অর্ণব : এমনিতে মেজাজ খারাপ হয়ে ছিলো। তার উপর তুমি আরো খারাপ করে দিলা। ধুর কলটা কাটো।
তানহা : আমি কেনো কাটবো? আপনি কল করছেন আপনি কাটবেন।
অর্ণব : বাব্বাহ। আজকে আমার প্রতি এতো প্রেম জাগছে? এত কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছে তে যাবো নাকি তোমার বাসায়?
তানহা : জি না।
বলই কলটা কেটে দিলো। আমিও তাড়াতাড়ি ঘুমায় গেলাম।
পরের দিন,
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠছি। আজকে দুইটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। প্রথমটা হচ্ছে তাড়াতাড়ি কলেজ যাওয়া।
মিস রাদিয়া:- কি ব্যাপার আজ নবাবজাদা এতো তারাতারি উঠেছে! আর কলেজ যাবার জন্যে এত তারাহুরা কি? কলেজ যাবে নাকি অন্য ধান্ধা?
অর্ণব :- আম্মু তুমিও না। তাড়াতাড়ি একটু খেতে দেও। কলেজ যাবার আগে কিছু কাজ আছে তারপর কলেজের ভিতর যাব।
মিস রাদিয়া :-ওকে দিচ্ছি কলেজের গিয়ে যেন আবার মারামারি করিস না।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
“নিরর্থক কাজ থেকে দূরে থাকুন।”
-(২৩ঃ ০৩)💕
বুঝলি?
অর্ণব :- আরে না আম্মু কিছু করবো না।
তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে কলেজ গেলাম।
সবার সাথে দেখা করে সবাই মিলে ক্লাশে গেলাম। আজকে প্রথম ক্লাশটাই তানহার।
প্রধান শিক্ষক আসলো এবং সবার সাথে নতুন মেডামকে মানে তানহাকে পরিচিত করে দিল। তানহা নিকাব পড়ে আছে। তার মানে স্যার তার কথা রাখছে। অবাক হলাম কারণ তানহা সবার চোখের আড়াল দিয়ে আমার দিকেই দেখতেছে। প্রধান শিক্ষক তানহার পরিচয় দিয়ে এবং ক্লাস নিতে বলে চলে গেলেন।
তানহা :। want Attention of all my lovely Students. I m your new English Teacher. Tasniya Islam Tanhaa! Hopefully you guys will enjoy my class. I will try my best Inshallah!
আমার বউটা দেখতেছি ভালোই ইংরেজী পারে।
রিপন : কিরে অর্ণব ইংলিশ টিচার তোর দিকে তাকিয়ে কি কি সব ইংরেজী বলে, কিছুই তো বুঝতাছি না!
অর্ণব :- আরে দুর বেটা আমার দিকে তাকেবে কেন? তোর দিকে মনে হয় তাকাইছে।
রিপন:- আমার দিকে কেন তাকেবে? যাই বলিস কথা বার্তা শুনে মনে হচ্ছে মেডাম অনেক শিক্ষিত। আর কঠোর পর্দাশীল।
মনে মনে,
অর্ণব : দেখতে হবে না কার বউ😁
গালে হাত দিয়ে তানহার দুই চোখের দিকে আমি তাকিয়ে আছি। কি সুন্দর করে পড়াচ্ছে।
কাছে এসে,
তানহা : আজকে কি তুমি রাতে একটু আমার বাসায় থাকবা?
অর্ণব : না পারবো না। কিন্তু কেনো?
তানহা : এমনি, তুমি যাবানা কেন?
অর্ণব : পার্সোনাল সমস্যার কারণে যেতে পারবোনা।
তানহা : ওহ!
অর্ণব : মন খারাপ করতেছো কেনো?
.
তানহা : তুমি না গেলে আমার খালি খালি লাগে, একা একা লাগে, তাই মন খারাপ করতেছি।
.
অর্ণব : তোমার “তুমি তুমি” বলাতে একটা আলাদা মায়া আছে।
.
তানহা : তুমি দিনদিন খুব দুষ্টু হয়ে যাচ্ছো…রাতে আসো মজা দেখাচ্ছি।
.
.
ক্লাশে জেগে জেগে তানহাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেছি🤐
স্বপ্ন ভাঙ্গলো তানহার কথায়,
তানহা : বাপরে কি মনোযোগ দিচ্ছেন! এমন করে প্রতিটা ক্লাস করলে তো আপনি নোবেল পুরুষ্কার পাবেন।
হকচকিয়ে,
অর্ণব : ক..ই কই না তো
তানহা : অনেক মনোযোগ দিয়েছিলেন আমার ক্লাসে তাইনা?
অর্ণব : নাতো। কেনো?
তানহা : তো কি করছিলেন যে সবাই চলে গেছে বুঝতেই পারেন নি?
চারপাশে তাকায় দেখলাম আসলেই ক্লাশ ফাঁকা। কোন ফাঁকে যে তানহাকে দেখতে দেখতে ক্লাস টাইম শেষ হয়ে সবাই বাইরে গেছে বুঝতেই পারি নি। বললাম,
: তোমাকে দেখতেছিলাম আর তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেছিলাম।
তানহা : পাগল একটা।
একটু হেসে ক্লাস থেকে চলে গেলো।
আমি তো তানহাকে নিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়ে গেছি। এই মেয়ে আসলে কি চায়!
আমিও বেড় হয়ে মশিউরদের কাছে গেলাম,
অর্ণব : কি রে তোরা আমাকে রাখে চলে আসলি কেনো?
রিপন : ক্লাস থেকে বের হবার সময় তোকে ডাকলাম যে বাইরে চল। কিন্তু তুই শুনলি না।
নেহা : আমরা মনে করলাম তুই বোধহয় বেড় হবি না তাই চলে আসলাম।
অর্ণব : আচ্ছা বাদ দে।
বেলাল : কি রে একলাস তুই বেলে ভালো হয়ে গেছিস। কিন্তু তোর মধ্যে তো তেমন পরিবর্তন দেখতেছি না।
একলাস : তে আমি কি সবাইকে দেখায় বেড়াবো?
মশিউর : একলাস ঠিক বলছে। শরিয়তের পরিভাষায়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বা দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোন ইবাদত করা হলে তাকে ‘রিয়া’ বলা হয়।
নেহা : আর রিয়া ছোট শিরকের পর্যায়ভুক্ত। কেননা
হাদিসে এসেছে,
রসুল (সা) বলেন,
“আমি তোমাদের উপর সর্বাপেক্ষা ভয় করছি ছোট শিরক সম্পর্কে।”
অতঃপর এ সম্পর্কে সাহাবীগণ রাসূল (সা)-কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রসুল, ছোট শিরক কী?
তিনি বলেন, “তা হল রিয়া তথা লোক দেখানো কর্ম বা ইবাদত।”
অতঃপর রসুল (সা) তার ব্যাখ্যা করে বলেন, “কোন মানুষ সালাত আদায়ের জন্য দাঁড়াল, যখন দেখল লোকজন তাকে দেখছে তখন সালাতকে আরও সুন্দরভাবে আদায় করল।”
-(ইবনে মাজাহ্, হাকেম-সহীহুল জামে হা/১৫৫৫)💕
বেলাল : হুম বুঝছি।
অর্ণব : আর একলাস শুন তুই এখনো প্রাকটিসিং মুসলিমাহ। তুই হয়তো তোর মাঝে বড় কোন পরিবর্তন এখনো করে উঠতে পারিস নি। কিন্তু একটু ভেবে দেখ, তুই আগে হ্যালো, ওয়াও, জোস, থ্যাংক্স, ওহ মাই গড ছাড়া যেখানে কথাই বলতে পারতি না সেখানে এখন তুই খুব সহজেই সালাম, মাশা-আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, ইন্নালিল্লাহ বলে ফেলতেছিস তাই না?
একলাস : হুম। এগুলা এমনিতেই মুখে চলে আসতেছে।
অর্ণব : এটাই তোর উন্নতি।
(একলাস প্রশান্তির হাসি দিলো)
অর্ণব : ইসলামের ভিতর তুই নিজেকে ধরে রাখ দেখবি কত সহজে দ্বীনের দিকে চলে আসছিস। ইসলামকে কঠিন করে একদমই ভাববি না, ইসলাম খুবই সহজ।
একলাস : ঠিক আছে।
নেহা : ইয়া আল্লাহ, তুমি আমাদের সকলের অন্তরকে দ্বীনের উপর সুদৃঢ় করে দাও, আমাদেরকে দ্বীনের জন্য কবুল করে নাও।
সবাই একসাথে : আমিন।
তারপর আরো কিছুক্ষণ ওরা গল্পগুজব করলো। কিন্তু আমি ওদের থেকে বিদায় নিয়ে সোজা আব্বুর অফিসের দিকে হাটা দিলাম। আজকের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজটার জন্য।
যাচ্ছি আর ভাবতেছি,
(চলবে…..)
মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣
গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝
[আগের পর্বগুলো Timeline এই দেওয়া আছে]🍁
💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞
Leave a Reply