Islamic গল্প😊
“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖
Part : 34
রাস্তায় হাটতেছি আর ভাবতেছি, কি হলো আজকে! যাক মুহুর্তগুলা অসাধারণ কাটছে। হঠাৎ একটা কথা মনে পড়লো। মনে পড়তেই আমি রাস্তায় দাঁড়ায় গেলাম। তাহলে কি এইজন্য তানহা এগুলা করতেছে?
আমি কলেজে পড়ি এজন্য?
ও কি ভাবতেছে আমি ওর থেকে ছোট? একসাথে অনেকগুলা প্রশ্ন আমার মাথায় আসলো।
হায় আল্লাহ! এই বোকা মেয়েটা একবারের জন্য আমার সাথে কথা বলবে না? আমার সাথে কথা না বলে উল্টাপাল্টা ভাবতেছে। হ্যান্ডেল একটা। তানহার উপর মেজাজটা খুব খারাপ হচ্ছিলো।
কিন্তু এখন এগুলা ভাবার সময় নাই। ওর সাথে বসে এটা নিয়ে কথা বলতে হবে, মানে সত্যিটা বলতে হবে। রাগে গজগজ করতে করতে আবার হাটা দিলাম। এখন তানহার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। মানে তানহার জন্য একটা রিকশা খুজতে হবে যে রোজ রোজ তানহাকে কলেজ নিয়ে যাবে আবার কলেজ থেকে নিয়ে আসবে। আর ভাড়াটা একবারের মতো দিয়ে দিবো। কিন্তু এখন রিকশা খুজাটাই ব্যাপার। আমি একটা রিকশা ওয়ালাকে চিনি তাই উনার কাছেই যাচ্ছি যদি উনি রাজী হন।
দেখতে দেখতে রিকশাচালকের বাসায় পৌছালাম তারপর,
অর্ণব : চাচা বাড়িতে আছেন?
বাড়ি থেকে বের হয়ে,
চাচা : ওহ বাবা তুমি, আসো ভিতরে আসো।
(ইনিই রিকশা চালান)
অর্ণব :- আসসালাম অলাইকুম। না চাচা আজ না অন্য একদিন ভিতরে আসবো।
চাচা :- তো বাবা কি মনে করে এসেছ।
অর্ণব :-আপনার একটু সাহায্য লাগতো।
তারপর সব বললাম কখন কখন আনতে হবে নিয়ে যেতে হবে তানহাকে।
চাচা : ঠিক আছে আমি রাজি।
অর্ণব : আর চাচা মাসের প্রথমেই আমি মাসিক ভাড়া একসাথে মিটিয়ে দিব। এই মাসে একটু সমস্যার কারনে এডভান্স দিতে পারতেছি না। সামনে মাস থেকে ইনশাল্লাহ দিবো।
চাচা :- আরে বাবা কি বলছো তুমি যে উপকার করেছো সে ঋন আমি কখনো শোধ করতে পারবো না। তোমাকে টাকা দিতে হবে না। আমি মামনিকে সঠিক টাইমে কলেজে পৌঁছে দিব এবং সঠিক টাইমে তোমার বাসায় নিয়ে যাব।
অর্ণব :- এটা আপনার পারিশ্রমিক। এটা দিতে আমি বাধ্য। কেননা,
হাদিসে এসেছে,
আল্লাহ তায়ালা বলেন, কিয়ামতের ময়দানে আমি তিন ধরনের ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব
এক) যে ব্যক্তি আমার নামে কথা দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করলো।
দুই) যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রি করে তার মূল্য আহার করলো।
তিন) যে ব্যক্তি কোন শ্রমিক নিয়োগ করে তার কাছ থেকে পূর্ণ কাজ আদায় করে নিলো কিন্তু তাকে তার পারিশ্রমিক দিল না।
-{সহীহ বুখারী,হা. ২২৭০}💕
আর আপনার বউ মা আমার বাসায় থাকেনা।
তারপর উনাকে নিয়ে যায়ে বাসাটা দেখায় আনলাম।
তারপর উনি বললেন,
চাচা :- ওকে বাবা আমি কালকে বউমার জন্যে সাড়ে আটটা থেকে দাঁড়িয়ে থাকবো। যেহেতু কালকে প্রথম দিন।
অর্ণব :-হুম চাচা ধন্যবাদ আপনাকে। তানহা পনেরো বিশ মিনিট আগেই কলেজ যাবার জন্যে বের হয়। কালকের পর থেকে তানহাই আপনাকে সব বলবে ইনশাল্লাহ। আর কলেজ মোড় তো চিনেনই ওই খানে নিয়ে যাবেন। আর কলেজ ছুটি হয় দুপুর একটায়।
চাচা :- ইনশাল্লাহ। আমি চেষ্টা করবো সব সময় সঠিক টাইমে পৌঁছানোর।
অর্ণব :- আর চাচা আপনার কাছে কি ফোন আছে?
চাচা : হুম। আছে কেনো?
অর্ণব : আমার নাম্বারটা সেভ করে নেন।
সেভ করে দিয়ে বললাম,
: যেকোনো ধরনের বিপদ হলে তাড়াতাড়ি আমাকে কল দিবেন।
চাচা : ঠিক আছে বাবা।
অর্ণব : তাহলে আজকে আসি। আসসালাম অলাইকুম।
চাচা : অলাইকুম আসসালাম।
বাড়ির পথে হাটতেছি আর ভাবতেছি, সাহায্য করার কত ফযিলত। উনার অপারেশন করার টাকা ছিলো না। তাই আমি আব্বুকে বলে উনার টাকার ব্যবস্থা করে দিছিলাম। যার ফলে আজকে উনি আমার বিপদে কাজে আসছেন। কিন্তু আজকাল মানুষ স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। আমরা মুসলিম ঠিকিই কিন্তু কাজ কর্মে কখনোই মুসলিম না, ইসলামের কোন আদর্শ বহন করিনা। মানুষ তো মানুষকে সাহায্য করবে একমাত্র আল্লাহর জন্য, যেখানে কোন বিনিময় থাকবেনা। আর আমাদের দোষ হলো কাউকে সাহায্য করলে তার থেকে সাহায্য আশা করা । তার থেকে সাহায্য না পেলে তাকে খোটা দেয়া। এটা একদমই করা যাবে না। সহযোগিতা এমন জিনিস যে, কোন মানুষকে সহযোগিতা করতে ধন লাগে না, সুন্দর একটা মন ও সাহাবীদের আদর্শ থাকা লাগে। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুক।
বাড়িতে যায়ে এশার নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর হন্য গেলান।
ঘুমানোর আগে ফেসবুকে ঢুকলাম। দেখলাম তানহা মেসেজ দিয়েছে,
তানহা : আসসালাম অলাইকুম। কেমন আছেন?
অর্ণব :- অলাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনি?
তানহা :- আপনাকে মেসেজ দিয়েছি এক দিন আগে আর আপনি এখন রিপ্লাই দিচ্ছেন। এটাই বুঝি লেখকদের স্বভাব?
অর্ণব :- আরে না। ইদানিং একটু ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। পড়াশুনা, তারপর মাঝে মাঝে অফিসে যাওয়া।
তানহা :- আপনি জব করেন নাকি?
অর্ণব :-জি না। শুধু বাবার ব্যবসাতে মাঝে মাঝে সাহায্য করি আর সবাইকে চেহারাটা দেখায় আসি। ইদানিং প্রতিদিন যেতে হচ্ছে।
তানহা :- হাহাহা। তা আপনার মুখটা আমায় দেখাবেন না?
(যদিও জানি এটা আমার অর্ণব।)
অর্ণব :-একদিন চমকে দিব, বলেছিলাম না।
(হাহা। তুমিই একদিন চমকে যাবা)
তানহা :- আমার তো মনে হয়না, যে সে সময় আসবে।
অর্ণব :-আরে একদিন ঠিকি আসবে। আচ্ছা আপনাকে আমি তুমি করে বলতে পারি।
তানহা :- মতলব টা কি? প্রেম করার ধান্ধা নাকি।
অর্ণব : আপনি তো আগের বার রাগে গেছিলেন এগুলা কথার জন্য। এবার আবার নিজে থেকে বলতেছেন, ব্যাপারটা কি? এত পরিবর্তন?
(কারণ এখন জানি যে আপনিই আমার অর্ণব। বুঝলেন মিস্টার)
তানহা:- আপনার মতো লেখকের সাথে প্রেম বা বিয়ে হলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম তাই😜
(ব্যাপার কি? তানহা এরকম সরল হয়ে গেলো কেনো? আরো একটু বাজিয়ে দেখি)
অর্ণব :-তাই নাকি,দোয়া করি আল্লাহ যেন ঠিক আমাকেই তোমার কাছে পাঠাইয়া দেয়😜
তানহা :- সেটা আর সম্ভব না।জানেন আমার না খুব ইচ্ছা ছিল, আমার স্বামি সবদিকেই পারদর্শী হবে। সে অনেক ভালো ভালো ইসলামিক গল্পও লিখবে, তার আইডির সাথে আমি ওপেন রিলেশনশিপ বা মেরিড দিতাম।
(যদিও আমার স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেছে। আল্লাহকে অনেক অনেক শুকরিয়া।)
(যাক তার মানে তানহা মজা করতেছিলো)
অর্ণব :- কেন নিজেকে ফেমাস করতে চাও নাকি?😏
তানহা :- হাহাহা। আরে না।
অর্ণব : আপনার স্বামী কি গল্প লিখতে জানেনা?
তানহা : আপনাকে বলবো না।
অর্ণব :-বললেই কি আর না বললেই কি। আমি তো আর আপনার সাথে প্রেম করব না, কারণ আমার স্ত্রী আছে! বুঝলেন?😏
তানহা : আমি জানি। কারণ ঐদিন বলছিলেন আপনার কেউ একজন আছে। তাকে নিয়েই গল্পগুলা। আসলেই উনি অনেক ভাগ্যবতী।
(আমি জানি যে “উনি” -টা হচ্ছি আমি😎)
অর্ণব : মোটেও না। আমার বৌ আমার সাথে থাকেনা এবং আমাকে ভালোও বাসেনা।
(আপনার বউ আপনাকে অনেক ভালোবাসে। শুধু একটু সময় দিন নিজেকে গুছায় নেওয়ার মিস্টার অর্ণব)
তানহা :- আপনার মতো মানুষকে স্বামী হিসেবে পেয়েছে তার তো নিজেকে ধন্য মনে করা উচিত😜.. আমার স্বামী এমন হলে নিজে তার সব কথা শুনতাম সে যা যা বলতো তাই করতাম😁
(আমার বউ মনে হয় লেখকদের অনেক পছন্দ করে। একদিন হঠাৎ করে চমকে দিয়ে বলবো যে আমিই সেই “ক্ষণিকের মুসাফির” পেজ এর লেখক।
কি সব ভাবছি একা একা? তানহা তো আমাকে ভালোই বাসে না। তবে আমি তো তাকে ভালোবাসি। আর আমি তো এতটা খারাপ না যে সে আমাকে ভালোবাসবে না। দেখি কি আছে কপালে! জীবনটাই তেজপাতা।)
অর্ণব : ওহ! ভালো কথা।
তানহা :- ওকে তাহলে শুভরাত্রি। ভালো থাকিয়েন। এখন আমি ঘুমাবো। কাল সকালে আবার কলেজ যেতে হবে।
অর্ণব :- ওকে আল্লাহ হাফেজ। তবে একটা কথা সত্য যে আপনার স্বামীও আপনাকে অনেক ভালোবাসে। আর সে আপনার জন্য সবকিছু করতে পারে আপনার কষ্ট কখনো সহ্য করতে পারে না, আপনাকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবে অনেক স্বপ্ন দেখে আপনার হাত ধরে অনেকটা পথ যাইতে চায়।
(মেসেজটা সেন্ড করার পর আফসোস করতেছিলাম। ধুর আবেগের ঠেলায় কি পাঠায় দিলাম। তানহা নিশ্চই বুঝতে পারবে এটা আমি। আর নইলে সন্দেহ করবে।)
(আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো মিস্টার অর্ণব। যার প্রমাণ তুমি বাসে থাকতে দিয়েছো।)
তানহা :- কে আপনি বলুন তো? আপনি এত কথা কিভাবে জানলেন? এসব বিষয় কে জানালো আপনাকে? কাউকে না জেনে শুনে তার ব্যাপারে এরকম কথা কেউ বলবে না। সত্যি করে বলুন আপনি কে না হলে কিন্তু অনেক খারাপ হবে বলে দিলাম😡
অর্ণব :- আরে আমি তো এমনিতেই বললাম। আপনার মনের খবর বের করে নেওয়ার জন্য। তাহলে সত্যিই উনি আপনাকে অনেক ভালোবাসে😜
(কথা ঘুরাইতে ওস্তাদ!)
তানহা :- কিন্তু আমার তো তা মনে হচ্ছে না। আমার তো মনে হচ্ছে আপনি যেই হোন না কেন আমাদের সব বিষয়ে জানেন।
অর্ণব :- আরে না এমনি কথা বের করে নেওয়ার জন্য বললাম। আগে মানুষের কাছে শুনতাম যে, মেয়েদের হাটুর নিচে বুদ্ধি। আর আজ সেটা দেখলাম😁… সত্যিই তাই। আমি আন্দাজে কি দুই চারটা কথা বলছি, আমি জানতামও না সেগুলা ঠিক হয়েছে কি না, আর আপনিও কিনা নিজেই প্রমান করে দিলেন আমি যা বলছি তা ঠিক। আচ্ছা আপনার স্বামীর পিক দেন তো। আমি একটু দেখতে চাই যে আপনার স্বামী দেখতে কেমন।
(ইস শখ কতো! নিজের ছবি নিজেই দেখতে চায়। তবে ওর কথা ঘুরানোর জন্য অযুহাতগুলা শুনে আমার অনেক হাসি পাচ্ছিলো। বেচারা কি কি বলতেছে আমাকে বুঝানোর জন্য যেন আমি বিশ্বাস করি ও আমাকে চিনেনা😁)
তানহা :- না দিবো না। ও অনেক সুন্দর না হলেও অনেক হ্যান্ডসাম। একদম তামিল সিনেমার নায়কের মত। তবে হয়তো আপনার মত এত পারদর্শী না। এসব কথা বাদ দেন। এখন বলেন যে আপনার নাম কি আর সাথে একটা পিক দেন আপনার। আমার আপনাকে দেখার অনেক ইচ্ছা। একটা পিকচার দেন। প্লিজ।
অর্ণব :- দিব তো সময় হলে আপনাকে সব দিবো। আর এখন শুভরাত্রি অনেক রাত হয়েছে ঘুমাবো।
তানহা : আসসালাম অলাইকুম
(জানি কেনো দিবেন না)
অর্ণব : অলাইকুম আসসালাম।
পরেরদিন,
তানহা বাড়ি থেকে বেড় হয়েই দেখতে পায় যে একটা রিকশা।
মনে মনে,
তানহা : এ সময় তো কোন রিকশা পাওয়া যায় না। অনেকটা পথ হেঁটে যেতে হয় রিকশার জন্য। আজ দেখি রিকশাচালক এসে দাঁড়িয়ে আছে ব্যাপারটা কি! যাইহোক বললাম,
: এইখালি যাবেন?
রিকশাচালক :- জি মামুনি আপনার জন্য দাঁড়িয়ে আছি।
তানহা :- মানে কি? কিছুই তো বুঝলাম না!
রিকশাচালক :-মানে হল যে আমাকে অর্ণব বাবা পাঠিয়েছে।
আপনাকে কলেজে পৌঁছে দেয়ার জন্য। আর এখন থেকে আপনাকে কলেজে নিয়ে যাওয়া এবং আসার জন্য কোন রিকশা খুঁজতে হবে না। আমি রোজ রোজ আপনাকে কলেজে নিয়ে যাব এবং সেখান থেকে নিয়ে আসবো।
তানহা :- তার মানে কি?😡….আমি কি তাকে বলছি আমার জন্য এসব ব্যবস্থা করতে? আপনি একটু দাঁড়ান আমি তাকে এখনই ফোন করছি।
রিকশাচালক :- জ্বী মামুনি…
তানহা অর্ণবকে কল দিতেই অর্ণব কলটা ধরলো,
অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম। কি ব্যাপার আজ সূর্য দক্ষিণ দিকে উঠল নাকি?
তানহা : ওয়ালাইকুম আসসালাম। এই আমি কি আপনাকে বলছি যে আমার যাইতে সমস্যা হয়? আমার জন্যে রিকশা ভাড়া করে দেন?
অর্ণব :- আমার বৌ রিকশার জন্যে দাড়িয়ে থাকবে, কেমন দেখায় না।
তানহা :- এতোই যখন জানেন, তাহলে আপনি এসে কলেজে পৌঁছে দিলেই পারেন।
(এই রে আবেগে মনের কথা বলে ফেলছি)
অর্ণব : তুমি সত্যি বলছো! এখনি বাইক নিয়ে আসতেছি।
তানহা : নিতে আসতেছি মানে….
অর্ণব :-তুমি তো বললে যে আমি তোমাকে নিতে যাই।
তানহা : আমি তো আপনাকে ওই সব রাগের মাথায় বলছি। আমি না আপনাকে বলেছিলাম আমার জন্যে ভাবতে হবেনা। তাহলে এসব কি হুম?😡
অর্ণব : তুমি এখন ওই রিকশাতে উঠবে এবং সোজা কলেজে আসবে।
তানহা :-বললাম না যাবনা।
রাগের মাথায় খুব জোরে বললাম,
নাহাজুল:- যা বলছি তাই করো😡😡
(তানহা চুপ)
অর্ণব :- কি হলো কথা বলছো না কেন?
তানহা :- এতো জোরে কেউ চিৎকার করে? ভয় পাইছি। আর একটু হলেই তো আমার ফোনটা বোমার মতো ফুটে উঠতো।
(মাঝে মাঝে করা এর বাচ্চামি গুলা আমাকে সত্যি খুব ভালো লাগে।)
অর্ণব :- যা বলছি তাই করো।
তানহা :- করেছি তো,আপনার চিৎকার শুনেই আমি সোজা রিকশা তে উঠছি। আর রিকশাচালক আমায় নিয়ে কলেজের দিকে যাচ্ছে। আর এভাবে ঝগড়া করা ভালো না।
হাদিসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, স্বামী স্ত্রীর মাঝে শয়তানে ঝগডা লাগিয়ে দেয়,যাতে তারা একজন থেকে আরেক জন পৃথক হয়ে যায়।
-(সহীহ মুসলিম ৫০৩৯)💕
বুঝলেন?
অর্ণব :- গুড গার্ল। আর এখনই বা তোমার সাথে একসাথে আছি কোথায়? যে শয়তান আলাদা করে দিবে।
তানহা :- তাও এমন ভাবে কেও রাগ দেখায়?
অর্ণব :- তুমি যদি তোমার ভালোটা না বুঝো তাহলে কি করবো?
হাদিসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ “হে পুরুষেরা! তোমরা নারীদেরকে সর্বদা ভাল উপদেশ দাও। কেননা তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে আদম (আঃ) এর বাম পাঁজরের বাঁকা হাড় দিয়ে। তুমি যদি তাকে সোজা করতে চাও, তাহলে সে ভেঙ্গে যাবে। আর যদি একেবারে ছেড়ে দাও তাহলে সে বাঁকা হতেই থাকবে”।
-(সহীহ বুখারি ৫১৮৬)💕
মানে স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে বাম পাঁজরের বাঁকা হাড় দিয়ে। তোমাদের আচরণের মাঝে কিছুটা বক্রতা থাকবেই।
স্ত্রীর বক্রতাকে মেনে নিয়েই হিকমত ও কৌশলের সাথে ঠান্ডা মস্তিস্কে বুঝিয়ে তাদেরকে মানিয়ে নিয়ে ঘর সংসার চালিয়ে যাওয়াই স্বামীর প্রধান কর্তব্য।
কিন্তু তুমি শুনতেছিলা না। একেবারে ছাড়ে দেওয়ার কথাও বলা হয় নি। তাই একটু রাগ দেখলাম। আচ্ছা শুনো শোন সাবধানে থেকো। কোন বিপদ হলেই আমায় ফোন করবে। আসসালাম অলাইকুম।
(আমি জানি আপনি থাকতে আমার কোন বিপদ হবেনা)
তানহা : আচ্ছা। অলাইকুম আসসালাম।
অফিস শেষ করে সন্ধ্যায় খুশি মনে নাজিমকে আনতে গেলাম। চিন্তা করলাম আজকে আমার কলেজে পড়ার কারনটা ওকে জানাবো। কিন্তু ভাগ্য খারাপ তানহা আজকে আমাকে ভিতরেই ঢুকতেই দেয় নি। কথা বলাতো দূরে থাক। তিন চার দিন হয়ে গেলো একই অবস্থা। না ঢুকতে দিচ্ছে বাসায় না দেখা করতেছে৷ তাই কথাও বলা হচ্ছে না আর জানানোও হচ্ছে না। আমি পড়ে গেলাম দারুণ ফ্যাসাদে।
(চলবে….)
মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣
গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝
[আগের পর্বগুলো Timeline এই দেওয়া আছে]🍁
💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞
Leave a Reply