অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖Part : 36

Islamic গল্প😊

“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖

Part : 36

আমি আর তানহা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আম্মু গেট খুলে দিলো।

অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম।

মিস রাদিয়া : অলাইকুম আসসালাম। আরে তানহা মা তুমি এখানে কেনো? আসো আসো ভিতরে আসো।

অর্ণব : ইনিই তোমার ছেলের বউ। এতোদিন বউ বউ করে পাগল হচ্ছিলা। নেও আজকে নিয়েই আসলাম। আমি ভিতরে গেলাম।

বলে আমি রুমের দিকে গেলাম। আমাকে তানহার সাথে থাকা উচিৎ ছিলো। কিন্তু আমি চাচ্ছি তানহা নিজে পরিস্থিতি সামাল দিক। তাহলে তানহার মনের মধ্যে ভয়টা আর থাকবে না। পরিস্থিতি একা মোকাবেলা করার ফলে ওর মনের মধ্যে একটা সাহস তৈরী হবে। আর আব্বু- আম্মু অনেক ভালো। তাই চলে আসলাম।

আম্মু তো শুনে অবাক।

মনে মনে,
তানহা : এইদেখ! ফাযিলটা আমাকে একা ফেলে চলে গেলো। আজকে আমার বউ হিসেবে প্রথম দিন। একটু দায়িত্ব জ্ঞান যদি থাকে! আমার এমনিতেই খুব লজ্জা লাগতেছে। বললাম,
: আসসালাম অলাইকুম আন্টি।

মিস রাদিয়া : অলাইকুম আসসালাম। এই যে দেখো মেয়ে কি বলে। তুমি আমাকে অর্ণবের মতো আম্মু ডাকবা। তোমাকে আমি আমার ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিবো দিবো ভাবতেছিলাম। যাক শয়তানটা একটা ভালো কাজ করছে।

বলে দরজা লাগায় আমাকে নিয়ে ভিতরে গেলো।

রফিক সাহেব : কি ব্যাপার কে আসছে।

মিস রাদিয়া : তোমার ছোট ছেলের ম্যাডাম আর বড় ছেলের বউ।

আমি আংকেলকে দেখে সালাম দিলাম।

রফিক সাহেব : অলাইকুম আসসালাম। যাক এতোদিনে তাহলে কথা রাখছে। আলহামদুলিল্লাহ! মা তুমি সোফাতে বসো।

মিস রাদিয়া : এজন্যই প্রতিদিন নাজিমকে আনাতে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে থাকে। এমনকি ছুটির দিনেও ভুল করে যাওয়ার জন্য বেড় হয়ে যায়।

রফিক সাহেব হাসতেছে।

নিকাবটা খুলে রাখে আমি লজ্জায় মুচকি হাসি দিলাম। তারপর উনাদের সাথে পরিচিত হলাম। আমি পিচ্চি শয়তানটাকে মানে নাজিমকে খুঁজতেছিলাম। ওর কথা মনে হলেই কেমন জানি লজ্জা লাগতাছে আমাকে দেখলে কি যে বলবে!

মিস রাদিয়া : আচ্ছা মা সেদিন তাড়া থাকায় বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারিনি। তা তোমার বাবা-মা কি রাজশাহীতেই থাকে?

মাথাটা নিচু করে,
তানহা : আসলে আমার মা -বাবা অনেক ছোটবেলায় মারা গিয়েছে। একটা এতিম খানায় থেকে পড়াশুনা করেছি।

সহানুভূতির সুরে,
রফিক সাহেব : কে বললো তোমার মা-বাবা নেই? আমরা তো আছি। পাগলি মেয়ে একটা। এভাবে কেউ মন খারাপ করে?

মিস রাদিয়া : এখন থেকে আমরাই তোমার বাবা -মা। আমার কোন মেয়ে নেই। অনেক আশা ছিলো একটা মেয়ের। এজন্যই অর্ণবকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলাম। আজকে থেকে তুমি আমার মেয়ে ঠিক আছে?

একটু হাসি দিয়ে,
তানহা : হুম😊
(আল্লাহ তুমি মহান। আমি নামাজ পড়ে যা যা আশা করেছি আর তোমার নিকট ফরিয়াদ করেছি সে সব কিছু তুমি পূরণ করে দিয়েছো। এজন্যই

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

“হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ এবং কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত করো, মাথা মাসেহ করো এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত করো)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাকো, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাকো অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস করো অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ করো। আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না। বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে চান এবং তোমাদের উপর তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।”
-[সূরা মায়েদা; ৫ : ৬]💕

আল্লাহকে হাজার হাজার শুকরিয়া।)

অর্ণব উপর থেকে আসলো এবং উনাদেরকে আমাদের বিয়ের ঘটনাটা বললো।

রাদিয়া বেগম : তে তুই বউকে এতোদিন আনিস নি কেনো? টাকা নেওয়ার সময়ও বললি না যে তানহার চাকরির জন্য নিছিস। বললে কি হইতো?

অর্ণব : আমি তানহার চাকরির জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম আর তোমাদেরকেও সারপ্রাইজ দিতে চাইছিলাম। তাই বলিনি।

মনে মনে,
তানহা : যাক বাবা বাঁচা গেলো। আমি তো চিন্তায় ছিলাম যে অর্ণব সত্যিটা আবার বলে দেয় নাকি। বলে দিলে কি জবাব দিতাম উনাদের? আল্লাহ তোমাকে শুকরিয়া এমন একজনকে আমার জীবনে পাঠানোর জন্য যে আমাকে সবচেয়ে ভালো বুঝে।

রফিক সাহেব : তাহলে সেদিন রাতে বিয়ের খরচের জন্য টাকা গুলা নিলি আর আসার পর অনুষ্ঠানটা ছিলো বউভাত?

অর্ণব : হুম😷

রফিক সাহেব : হাহা। এগুলা বাটপারি কাজকর্ম তোর দাঁড়াই সম্ভব। যাক মা তুমি আসছো অনেক খুশি হইছি। আর শুনো আমার ছেলে কিন্তু অনেক ভালো শুধু একটু দুষ্টামি করে।

মনে মনে,
অর্ণব : এটা শুনে তো আমার ছাতি তিন ফুট চওড়া হয়ে গেলো😎

মনে মনে,
তানহা : জি আমি জানি। উনি অনেক ভালো। যার জন্যই তো এখনো আমি প্রতিদিন তার প্রেমে নতুন করে পড়তেছি।

মিস রাদিয়া : ইস! বাপের কাছে প্রশংসা শুনে বান্দরের মতো খুশি হচ্ছে।

বউয়ের সামনে এগুলা বললে ভালো লাগে? তাই মুখটা পেচার মতো করে বসে থাকলাম।

রফিক সাহেব : আমি কয়েকদিনের মধ্যে তাহলে অনুষ্ঠান করে দাওয়াত খাইয়ে দিবো। বিয়ে হয়েছে কিন্তু দাওয়াত দেই নি এইটা শুনলেই তো সবাই রাগে যাবে। ঠিক আছে তোরা যায়ে ফ্রেশ হয়ে নে।

ঠিক তখনি নাজিম আসলো,
নাজিম : আরে ম্যাডাম আপনি এখানে? কালকে আমি পড়তে যাইনি দেখে বাড়িতে চলে আসছেন? সরি মেডাম আর মিস করবো না।

আমি হাসলাম। বললাম,
তানহা : জি না পিচ্চি।

মিস রাদিয়া : তানহা তোমার ম্যাডাম না এখন থেকে ভাবী। বুঝলা বাবা?

নাজিম : আমি তো আগে থেকেই জানতাম। ভাইয়া বলতে মানা করছে বলে বলিনি।

মনে মনে,
তানহা : ফাজিলটা তাহলে একে আগে থেকেই বলে দিছে।

রফিক সাহেব : ওহ। শুধু আমরাই জানতাম না।

মিস রাদিয়া : হাহা। হুম।

নাজিম : যাক আজকে থেকে আর ওতো দূর হাটে যাইতে হবে না। বাড়িতেই ভাবীর কাছে পড়বো।

(সবাই হেসে উঠলাম)

আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য অর্ণবের সাথে অর্ণবের রুমে গেলাম।

আল্লাহ! এটা মানুষের রুম? টেবিলের উপর বই খাতার স্তুপ। সব বই খাতা এলোমেলো। বিছানা গোছানো নাই। মশারিটাও শুধু একদিকে লাগায় রাখছে। কাপড়চোপড় তো পুরা ঘরে ছড়ায় ছিটায় আছে৷ রুমটা ডাস্টবিন বানায় রাখছে। আরেকটু হলে আমি দম বন্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যাবো।

তানহা : এই আপনি এই রুমে কিভাবে থাকেন? এতো আলসিয়া কেনো আপনি?

অর্ণব : আজ পর্যন্ত যেই আমার ঘরে আসছে সেই কিছু না কিছু বলছে। তুমিও এর ব্যতিক্রম না😒

[হুম😡। ভাই প্রসংসা করবি নাতে চুপ করে থাক। বলতেই হবে😑]

তানহা : রুমের এরকম মর্মান্তিক অবস্থা করে রাখলে তো হবেই। আমার কাজ আরো বাড়ায় দিলো।
এই বলে মুখে কাপড় দিয়ে রুম গুছাইতে শুরু করলাম। অর্ণবও আমাকে সাহায্য করা শুরু করলো। বুঝলাম আমার বরটা খুব সাংসারিক। আলসিয়া হলেও রুচি আছে, খুব সুন্দরভাবে সব কিছু গুছাচ্ছে।

রুমটাকে গুছাইতে গুছাইতে রাত হয়ে গেলো। অর্ণব আমার বাকি কাপড় আর জিনিসপত্রগুলাও এনে দিলো।

মনে মনে,
অর্ণব : আমার বউটা সত্যি অনেক সংসারী। সব কাজগুলা খুব সুন্দরভাবে সারলো। রুমটা দেখতে যা লাগতেছে না। তানহার রুচি আছে বলতে হবে।

রাতে খাবার খাওয়ার পর,
তানহা : আন্টি আমি কোন রুমে ঘুমাবো?

অর্ণব : আন্টি মানে কি? আম্মু বলবা। আর বিয়ের পড়ে স্ত্রীরা স্বামীর সাথে থাকে। এই সাধারণ বুদ্ধিটুকু নেই? মাস্টারের চাকরিটা যে তোমাকে কে দিলো?

তানহা : আমি তো….
কথা না বলতে দিয়ে আমার হাত ধরে টেনে ওর রুমে নিয়ে গেলো।

রুমে যায়ে আয়নার সামনে হিজাবটা খুলে রাখে চুল গুলা ছেড়ে দিলাম। পিছনে ঘুরে দেখি অর্ণব কাপড় চেঞ্জ করে একটা ফোর কোয়ার্টার প্যান্ট আর একটা গেঞ্জি পড়েছে। এরকম অবস্থায় ওকে দেখবো ভাবি নি। বললাম,
তানহা : কি ব্যাপার এটা পড়লেন যে।

অর্ণব : ঘুমানোর সময় আমি এটাই পড়ি। আমি ফুল প্যান্ট পড়ে ঘুমাবো নাকি? আর আমি লুঙ্গি পড়তে পারি না।

তানহা : এতো বড় ছেলে আর লুঙ্গি পড়তে পারেনা😁

অর্ণব : আরে বলিও না। প্রথম যেদিন লুঙ্গি পড়ে ঘুমনোর চেষ্টা করেছিলাম, সকালে উঠে দেখি লুঙ্গি গায়েব। বিছানার উপর খুঁজে দেখলাম কিন্তু লুঙ্গি পাই না।

তানহা :- সেকি তাহলে লুঙ্গি কোথায় গেলো?

অর্ণব :-অনেক খোঁজার পরে দেখি লুঙ্গি খাটের নিচে। তাও ভালো নিরাপত্তার জন্য ফোর কোয়ার্টার প্যান্ট নিচে পড়েছিলাম।

তানহা :- কি কান্ড😁

অর্ণব : -শুধু তাই নয় দ্বিতীয় দিনও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।

তানহা : কেনো? আবার লুঙ্গি খাটের নিচে গেয়েছিল নাকি?

অর্ণব :- আরে না সকালে উঠে দেখি আমি চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।

অবাক হয়ে,
তানহা :- কেনো?

অর্ণব :- ঘুম থেকে উঠে, মাথা একটু ঠিক হওয়ার পড়ে দেখি লুঙ্গি আমার চোখের উপরে থাকায় আমি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না। তারপরে আর ভুলেই চেষ্টা করিনি।

তানহা :- থামেন থামেন আর বলতে হবেনা বুঝতে পারছি সব😁😁

অর্ণব : তোমার হাসিটা কিন্তু অনেক সুন্দর।
এই বলে আমার কাছে আসলো। আমি পালাতে যেয়েও ব্যর্থ হলাম।

…….

তানহা : আচ্ছা আপনি পাগল নাকি। এসব করতে লজ্জা করে না?

অর্ণব : না করেনা আমি তো আমার বৌয়ের সাথেই করছি লজ্জা কিসের। আর আপনার অবগতির জন্য বলতেছি একটা করে বরাদ্দ ছিলো প্রতিদিন।

তানহা : ইস! শখ কতো।আমাকেও ঘুমানোর ড্রেস পড়তে হবে। যেতে দেন।

অর্ণব : যাও। কিন্তু তাড়াতাড়ি এসো।

তানহা : আপনি সরুন আপনি না সরলে উঠবো কিভাবে?

তানহা চলে গেলো। আমি বিছানাটা ঠিক করলাম। একটা কোলবালিশ আছে, আরো একটা কোলবালিশ সাথে আরো তিনটা বালিশ আনলাম।

মনে মনে,
তানহা : আমি ঘুমানোর ড্রেস পড়ে যাচ্ছি আর ভাবতেছি, ফাযিলটা কি যে করবে। কিন্তু যায়ে যখন দেখলাম দুইটা বালিশ আর একটা কোলবালিশ দিয়ে খুব সুন্দরভাবে মাঝখানে একটা ব্যারিকেড তৈরী করছে, আমি তো অবাক। যাক অর্ণব তাহলে আমাকে সময় দিয়েছে। বললাম,
তানহা : ধন্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য।

অর্ণব : যেহেতু আমি কথা দিয়েছি তাই আপনি যতদিন না নিজে থেকে অনুমতি দেন ততদিন আপনাকে সময় দিবো। এখন ঘুমান। সকালের ঘটনা, পুরা ঘর গুছানো, আবার যেগুলা ঘটে গেলো সব মিলায় আপনি ক্লান্ত। তাই কথা বাড়াইয়েন না।

তানহা : হুম। আপনিও ঘুমান।
এই বলে আমি আমার জায়গায় ঘুমাইলাম। একজন পুরুষ এতোটা সংযত কিভাবে হতে পারে। আমি তার স্ত্রী কিন্তু সে তার প্রাপ্য অধিকার খাটাইতে একবারের জন্য চেষ্টাও করেন নি। নিজের বিছানা কিন্তু কষ্ট করে আঁটোসাটো হয়ে শুয়ে আছে। খুব বলতে ইচ্ছা করতেছে যে আমিও আপনাকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু তা বলা যাবে না। কারণ তার পড়াশুনা এখনো শেষ হয়নি।

আমি সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস একবার করে পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীরে একবার বুলিয়ে নিলাম। উনাকেও বললাম করতে। কেননা,

হাদিসে আছে,

নবী (স:) রাতে ঘুমানোর পূর্বে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস একবার করে পড়ে হাতে ফুকে সমস্ত শরীরে একবার বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনি ৩ বার করতেন।
-(বুখারী তাও: হা:৫০৭০)💕

তারপর ঘুমানোর দোয়া পড়ে ঘুমিয়ে গেলাম।

ভোরে ফযরের নামাজের জন্য উঠলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি কোথায় বালিশ আর কোথায় কোলবালিশ, সব গায়েব। মানে কোনোটা পায়ের নিচে আর কোনোটা বিছানা থেকে পড়ে গেছে।

কোন ভাবে নিজেকে ছাড়াতে পারিছি না,অনেক কষ্টে আস্তে আস্তে অর্ণবের হাতটা সরায়ে উঠে পড়লাম। আগে আমি নামাজটা পড়ে নিই তারপর উনাকে ডাকবো।

ফযরের নামাজ পড়ে সূরা ইখলাস ফালাক ও নাস এ তিনটি সূরা একবার করে পাঠ করলাম। কেননা,

হাদিসে এসেছে,

প্রতি ফরজ সালাতের পর সূরা ইখলাস ফালাক ও নাস এ তিনটি সূরা একবার করে পাঠ করতে হবে ।
-(আবু দাউদ হা:১৩৬৩)💕

তারপর নামাজ শেষ করে অর্ণবকে ডাকতে গেলাম।

(চলবে….)

মূল গল্পের লেখক – নাহাজুল ইসলাম লাইফ❣

গল্পটির মূল নাম – “English Teacher যখন বউ”💝

[আগের পর্বগুলো Timeline এই দেওয়া আছে]🍁

💚ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞


Comments

One response to “অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖Part : 36”

  1. […] 31 Chapter 32 Chapter 33 Chapter 34 Chapter 35 Chapter 36 Chapter 37 Chapter 38 Chapter 39 Chapter 40 Chapter […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *