Islamic গল্প😊
“অপেক্ষাটা অব্যক্ত ভালোবাসার”💖
Part : 43
দুপুরে অর্ণব আমাকে ট্রেনিং সেন্টার থেকে নিয়ে আসলো। বাড়িতে আসে ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে গেলাম। অর্ণব সব বাজার করে আনছে। আজকে শুধু অর্ণবের জন্য স্পেশাল রান্না করবো। শুনেছি পুরুষের মনের রাস্তা নাকি পেটের ভিতর দিয়ে যায়।
রান্না করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। অর্ণব নামাজে গেছে। তাই আমিও নামাজটা পড়ে নিলাম।
নামাজ পড়া শেষ হইতেই কল আসলো। অর্ণব চলে আসছে। আমি গেট খুলে একটা হাসি দিয়ে সালাম দিতে যাবো তার আগেই,
অর্ণব : আসসালাম অলাইকুম।
তানহা : ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ফ্রেস হয়ে খাবার খেতে আসো।
অর্ণব : ঠিক আছে।
আমি গেটটা লাগায় দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে আসে দেখলাম তানহা খাবার রেডি করে রাখছে। আজকে অনেক খাবার রান্না করছে। আজকে আর খাবার সময় তানহাকে রাগাইনি।
অর্ণব : তানহা! সত্যি খাবারগুলা অসাধারণ হয়েছে। এতো ভালো রান্না কিভাবে শিখছো?
তানহা : ওমা! আমাকে আমার স্বামীটাকে ইম্প্রেস করতে হবে না? তাই অনেক আগে থেকেই রান্নাটা করি। আর রান্না আমার ফেভারিট কাজের মধ্যে একটা।
অর্ণব : আমি সত্যিই ভাগ্যবান! খাবারগুলো দারুণ হয়েছে।
তানহা : ধন্যবাদ।
অর্ণবের কথা শুনে আমার মনটা খুশিতে ভরে গেলো।
খাবার খেয়ে উঠে আমরা এশার নামাজ পড়ে ঘুমাতে গেলাম।
অর্ণব : ঘুমায় গেলা নাকি?
তানহা : হুম!
অর্ণব : ওহ তাই নাকি!
এই বলে অর্ণব আমাকে কাছে টেনে নিলো। আমিও ওর বুকে মাথা গুজে দিলাম। অর্ণবের বুকে ঘুমাতে আমি আলাদা শিহরণ অনুভব করি। বললাম,
তানহা : তাড়াতাড়ি ঘুমাও। এখন গল্প করার সময়?
অর্ণব : তুমি জানো?
হাদিসে এসেছে,
স্বামী ও স্ত্রী যখন একই বিছানায় শয়ন করে বা বসে অথবা, গল্প করে,হাসি খুশি কথা বলে, তখন প্রতিটা মিনিটে এবং সামী স্ত্রীর প্রতিটা কথাতে প্রতিটা সেকেন্ডে তাদের আমল নামায় ১০ টা করে নেকি লিখা হয়।
-[আবু দাউদ ( স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)]💕
তানহা : হুম জানি।
গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমায় গেছি বুঝতেই পারিনি।
পরদিন সকালে,
আমি আর তানহা পাশাপাশি হাটতেছি। বাতাস হচ্ছে তাই দারুণ লাগতেছে হাটতে। তার উপর আমার ভালোবাসার মানুষটি মানে তানহা আমার সাথে। তানহার সাথে পাশাপাশি হাটার অনূভুতিটাই আলাদা। আমরা একটা পার্কে ঘুরতে আসছি। সকালবেলা তাই চারদিক ফাঁকা। তানহা বোরখা আর নিকাব পড়ে আছে। তানহাকে নিয়ে নিরিবিলি একটা জায়গাতে ঘাসের উপর বসলাম। জায়গাটি বেশ মনমুগ্ধকর! পাশেই একটা শাঁনবাধানো পুকুর।
তানহা : উফফফ! চারপাশের দৃশ্যগুলা দেখতে কি যে ভালো লাগতেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা আমি তোমার সাথে।
তানহার হাতটা ধরে,
অর্ণব : একটা অনুরোধ করবো রাখবা?
তানহা : হুম বলো!
অর্ণব : আমি তোমার সাথে জান্নাতে সঙ্গী হতে চাই। তুমি কি হবা?
তানহা : তোমাকে থাপ্পড় দিতে ইচ্ছা করতেছে৷ আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে নিয়ে শুধু জান্নাতে কেনো এই দুনিয়ায় থাকার চিন্তাও করতে পারবো না….ইয়ুউ!
অর্ণব : তাই?
তানহা : হুম। তা মিস্টার হঠাৎ এই চিন্তা আসলো কেনো?
অর্ণব : আমি কেনো আমার স্ত্রীকে শুধু মাত্র দুনিয়ার জীবনে ভালবাসবো? আমি কেনো আমার স্ত্রী কে নিয়ে শুধু মাত্র দুনিয়ার জীবনে সঙ্গী হওয়ার আঁশা রাখবো? তা কী করে হতে পারে?
তানহা : আমি আগেও তোমাকে নিয়ে জান্নাতের স্বপ্ন দেখতাম। তা তুমি কি বলতে চাচ্ছো?
অর্ণব : যে স্ত্রী আমাকে দ্বীনের পথে চলতে সাহায্য করতেছে, যে স্ত্রী আমাকে বিপদের সময় ধৈর্যের উপদেশ দিচ্ছে, যে স্ত্রী আমাকে জান্নাতের নেয়ামতের কথা স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে, যে স্ত্রী আমাকে একমাত্র আল্লাহর জন্য ভালবাসতেছে, যে স্ত্রী আমাকে আল্লাহর ভয় দেখিয়ে পাপ কাজ থেকে দুরে রাখতেছে, তাকে শুধু দুনিয়ার জীবনে চাইবো? তা কি করে হতে পারে?
তানহা : হুম। এজন্য দুনিয়ায় ও জান্নাতে উভয় স্থানে একসাথে সঙ্গী হিসাবে আমাদের চাওয়া উচিত। আর রবের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা করা উচিত।
“হে আমার রব, আমার সঙ্গীর গুনাহ গুলো ক্ষমা করে দিন। আমার সঙ্গীর উপর আপনি সন্তুষ্টি হয়ে যান। আপনি (আল্লাহ) আমাদের কে ইহকাল আর পরকালে (জান্নাতে) একসাথে সঙ্গী হিসাবে থাকার তৌফিক দান করুন।”
অর্ণব : আমিন।
তানহা : তোমার প্রতিটি প্রার্থনায় যেন আমার নামটি থাকে।
অর্ণব : জি অবশ্যই।
তানহা : আমি আর তুমি জান্নাতের ঝর্ণার পাশে বসে ভালবাসার কথা বলবো। আমি আর তুমি জান্নাতের সুন্দর বাগান সমূহে একসাথে হেটে বেড়াবো। তোমাকে আমি জান্নাতে সুন্দর সুন্দর গান শোনাবো। আর আমি সবসময় তোমার পাশে থাকবো। উফফ! কি রোমান্টিক হবে প্রতিটা সময়।
অর্ণব : ইনশাল্লাহ। জানো এখনকার যুগে এগুলা স্বপ্ন খুব কম স্বামী স্ত্রীই দেখে। তবে প্রেমিক প্রমিকারা সবচেয়ে বেশি দেখে।
তানহা : 😆😆😆.. আল্লাহ ওদের হেদায়েত দান করুক।
গল্প করতে করতে তানহার ট্রেনিংয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেলো। তানহাকে পৌছে দিয়ে আমি বাড়ি আসলাম।
দুপুরে আবার তানহাকে নিয়ে বাড়ি আসলাম। তানহা চলে গেলো ফ্রেশ হতে। আমি ছাদে গেলাম।
ছাদে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আকাশ জুড়ে শরৎকালের সাদা মেঘ। একটু পর পর দমকা বাতাসে আমার সামনের চুল গুলো নড়তেছে। অন্যমনস্ক হয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি আমি। মাথার উপর দিয়ে এক ঝাঁক পাখি উড়ে গেলো তাদের গন্তব্যে। কে জানি আমার কাঁধে হাত দিতেই আমি খানিকটা চমকে উঠে নিজেকে সামাল নিলাম। আমার পাশে তানহা দাঁড়ায় আছে। ভেজা চুলে তানহাকে অন্যরকম লাগছে।
একটা হাসি দিয়ে
তানহা : ভয় পেলে নাকি?
অর্ণব : থামো দেখাচ্ছি ভয় পাইছি নাকি!
বলে ধরতে গেলাম। কিন্তু তানহা দৌড়ে পালালো। আমিও ছাড়ি নাকি। ধরার জন্য আমিও পিছু পিছু দিলাম দৌড়।
দৌড়াতে দৌড়াতে তানহা রুমে ঢুকলো। বিছানায় উঠে একটা বালিশ নিয়ে আত্মরক্ষার ভঙ্গিতে বসে আছে। আর মিটিমিটি হাসতেছে। আমিও আরেকটা বালিশ নিয়ে ওকে মারার জন্য গেলাম। শুরু হয়ে গেলো আমাদের বালিশ যুদ্ধ।
কিছুক্ষণ পর নিজেদের কান্ডকারখানা দেখে নিজেরাই হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়লাম বিছানায়। আমি তানহার হাসিটাকে এক দৃষ্টিতে দেখছি। তানহা আমার চোখে চোখ রাখলো। আমি তাকিয়ে আছি দেখে তানহা আমার দিকে এগিয়ে আসতে থাকলো।
………
রাতের খাবার খেয়ে উঠলাম। অর্ণব আর আমি মিলে ঠিক করলাম ছাদে যায়ে গল্প করবো। তাই অর্ণবের কাছে সময় নিয়ে আমি রুমে আসলাম।
রুমে আসে একটা কালো শাড়ি পড়লাম। খুব সুন্দরভাবে সাজলাম। সুগন্ধি লাগালাম। এত কিছু আমার অর্ণবের জন্যই করা। “আমার অর্ণব” কথাটা বলতেই মুচকি হাসি দিলাম ।
সাজগোজ শেষ করে বাইরে আসলাম। অর্ণব তো দেখে থো।
অর্ণব : বাবারে বাবাহ! এই তোমার আর কত রূপ আছে? মানে আর কত ধরনের রূপ জমা করা আছে? আমাকে কি পাগল করে দিবা? আর কতভাবে ক্রাশ খাবো?
তানহা : হইছে পাম মারা বন্ধ করো। আর আমার রূপ দেখার একমাত্র অধিকার তোমার। তাই যদি বাকি থাকে তাহলে দেখতেই পাবা😜
অর্ণব : তাই নাকি! তার মানে আরো আছে?
তানহা : জানি না।
বলে ওর হাত ধরে উপরে নিয়ে গেলাম।
খোলা আকাশের নিচে আমরা পাশাপাশি বসে গল্প করতেছিলাম। সত্যি অসাধারণ মূহুর্ত। বললাম,
তানহা : জানো? যদি তোমাকে আমি জান্নাতে না পাই তাহলে আল্লাহর কাছে চেয়ে নিবো।
অর্ণব : তাই?
তানহা : হুম। কেননা জান্নাত সম্পর্কে
আল্লাহ বলেন,
ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে তোমরা দাবী কর।
-(সূরা হা-মীম সেজদাহ্, আয়াত: ৩১)💕
এখানে বলা হয়েছে, আমরা জান্নাতে যা চাইবো বা দাবী করবো তাই পাবো। আল্লাহ না করুক যদি তুমি জাহান্নামে যাও তাহলে আমি তোমাকেই চেয়ে নিবো। কেননা তোমাকে না পেলে অপ্রাপ্তির আফসোস আমাকে ঘিরে ধরবে৷ আর তা অসম্ভব৷
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র এবং তথায় রয়েছে মনে যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। তোমরা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে।
-(সূরা আয্-যুখরুফ , আয়াত: ৭১)💕
আমি যে পাপী বান্দা! যদি আমি জাহান্নামে চলে যাই তুমি আমাকে চেয়ে নিবা না?
অর্ণব : জান্নাতে কে যাবে তা তো স্বয়ং আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। যদি আল্লাহর রহমত থাকে তবে ইনশাল্লাহ!
“আল্লাহ যেনো আমাদের সকলকে জান্নাত নসীব করে”
তানহা : আমিন।
অর্ণব : আর এজন্যই
“শাইখ আব্দুর রহমান আরিফী [হাফিযাহুল্লাহ] একবার ওনার এক লেকচারে একটা ঘটনা বলেছিলেন।
হাসান আল বাসরী [রহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, তোমরা পৃথিবীতে ভাল মানুষদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে তৎপর হও, কারন এই সম্পর্কের কারণে হয়ত তোমরা আখিরাতে উপকৃত হতে পারবে।
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো কিভাবে?
তিনি বললেন যখন জান্নাতিরা জান্নাতে অধিষ্ঠিত হয়ে যাবে তখন তারা পৃথিবীর ঘটনা স্মরণ করবে এবং তাদের পৃথিবীর বন্ধুদের কথা মনে পড়ে যাবে। তারা বলবে, আমি তো আমার সেই বন্ধুকে জান্নাতে দেখছিনা, কি করেছিল সে?
তখন বলা হবে, সেতো জাহান্নামে। তখন সেই মু’মিন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে বলবেন, হে আল্লাহ, আমার বন্ধুকে ছাড়া আমার কাছে জান্নাতের আনন্দ পরিপূর্ণ হচ্ছেনা।
অতঃপর আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা’আলা আদেশ করবেন অমুক ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাতে।
তার বন্ধু জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেল এই কারনে নয় যে সে তাহাজ্জুদ পড়ত, বা কুরআন পড়ত বা সাদাকাহ করত বা রোজা রাখত, বরং সে মুক্তি পেল কেবলই এই কারণে যে তার বন্ধু তার কথা স্মরণ করেছে। তার জান্নাতী বন্ধুর সম্মানের খাতিরে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হল।
জাহান্নামিরা তখন অত্যন্ত অবাক হয়ে জানতে চাইবে কি কারনে তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হল, তার বাবা কি শহিদ? তার ভাই কি শহিদ? তার জন্য কি কোন ফেরেশতা বা নবী শাফায়াৎ করেছেন?
বলা হবে “না”, বরং তার বন্ধু জান্নাতে তার জন্য আল্লাহর কাছে অনুরোধ করেছে।
এই কথা শুনে জাহান্নামিরা আফসোস করে বলবে হায় আজ আমাদের জন্য কোন শাফায়াৎকারি নেই এবং আমাদের কোন সত্যিকারের বন্ধু নেই, যার উল্লেখ আছে এই আয়াতগুলোতে:
“আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই। আর কোন সহৃদয় বন্ধুও নেই।” [সূরা শু’য়ারা : ১০০-১০১]
বুঝলা?
আমার ঘাড়ে মাথা রেখে।
তানহা : হুম বুঝছি। আমার তো একমাত্র বন্ধু তুমিই। জান্নাতে আমায় না পেলে খুঁজবে?
অর্ণব : আমিও আল্লাহর এক পাপী বান্দা। তবে মনে রাখবা শুধু মুসলমান হলেই সবাই জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
তানহা : হুম জানি।
একটি লম্বা হাদিসের কিছু অংশ,
“কাতাদা (রহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, নাবী (স) বলেনঃ আমি সেখান থেকে বের হয়ে তাদেরকে (শাফায়াত করে) জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাব। পরিশেষে জাহান্নামে অবশিষ্ট থাকবে একমাত্র তারা। কুরআন যাদেরকে আটকে রেখেছে। অর্থাৎ যাদের ওপর জাহান্নামের স্থায়ীবাস অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
-[সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৮৬/ হাদিস: ৬৯৩২]
নবী সঃ তাদের জন্য শাফায়াত করবেন না যাদেরকে কোরআন আটকে রেখেছে! অর্থাৎ কোরআনে যাদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী বলা হয়েছে তাদের জন্য রাসুল সঃ কোন শাফায়াত করবেন না যতই এরা মুসলিম হোক না কেন!
অর্ণব : হুম। যেমন যারা শিরক করে তারা কখনোই জান্নাতে যেতে পারবেনা সে যতই নামাজ রোযা হজ করেনা কেন!
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি শির্ক করবে আল্লাহ তার উপর জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম, আর এই সমস্ত যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী থাকবে না।
-(সূরা মায়েদা: ৭২)💕
আবার বিদাআতকারীও জান্নাতে যেতে পারবে না। কারন তাদের নবী (সা) শাফায়াত করবেন না!
রাসুল (সা) বলেন,
জেনে রাখ, কিছু সংখ্যক লোককে সেদিন আমার হাউয থেকে হটিয়ে দেয়া হবে যেমনিভাবে পথহারা উটকে হটিয়ে দেয়া হয়। আমি তাদেরকে ডাকব, এসো এসো। তখন বলা হবে, “এরা আপনার পরে (আপনার দ্বীনকে) পরিবর্তন করে দিয়েছিল। তখন আমি বলবঃ “দূর হ, দূর হ।”
-[সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ২/ তাহারাত (পবিত্রতা) ( كتاب الطهارة) হাদিস নম্বরঃ ৪৭৭]💕
তাই বিদআত থেকে সাবধান থাকবা সবসময়।
তানহা : হুম। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুক।
গল্প করতে করতে কখন যে গভীর রাত হয়ে গেছে আমরা বুঝতেই পারি নি। তাড়াতাড়ি নিচে আসে শুয়ে পড়লাম।
(চলবে…..)
লেখা : ক্ষণিকের মুসাফির❣
[আগের পর্বগুলো Timeline এই দেওয়া আছে]🍁
💝ইমাম মাহদীর সন্ধানে💞
Leave a Reply