অর্ধাঙ্গিনীঃ
৮ম পর্বঃ
মোর্শেদা খাতুন।
♦♦♦♦♦
.
জারা কোনো জবাব দিলোনা।এমন সময় বাচ্চাটা কেঁদে ঊঠল।জারা ঝুঁকে বাচ্চাকে কোলে নিল।ভদ্রমহিলা তাকিয়ে দেখছেন জারাকে।তারপর হেসে বলে উঠলেন-“এটাতো পুরোনো সত্য যে, ধনী ঘরের ছেলেদের পেছনে লেগে কিছু মেয়ে বিভিন্ন কায়দার তাদের হাত করে থাকে,তোমরা দুবোনই দেখছি সেই ক্যাটাগরির।
জারা মহিলার দিকে তাকিয়ে মৃদু কন্ঠে বলল-“আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন”!
-“চুপ করো! তোমার মত মেয়েদের আমার চেনা আছে! তোমরা…..”কথা শেষ করার আগেই মোবাইল বেজে উঠল।মহিলা কড়া চোখে জারার দিকে তাকিয়ে ফোন রিসিভ করলেন,প্রায় সাথে সাথেই তাঁর চেহারার কঠিন ভাঁজগুলো সহজ হয়ে এল।আফনান ফোন করেছে।তিনি একজায়গাতেই ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকে ফোনে কথা বলতে লাগলেন-“হ্যাঁ,রে আব্বু,আমি হঠাৎ করেই চলে এসেছি।বলতে পারিস,তোদের সারপ্রাইজ করতে চেয়েছি।হ্যাঁ…হ্যাঁ…আরে বউয়ের সাথে দেখা হয়েছে।ওর সাথেই তো কথা বলছি।তুই আস্তে ধীরে আয় তাড়াহুড়োর কিছু নেই।আরে না না বাবা,তুই কাজ শেষ করে আয়।হ্যাঁ… পছন্দ হয়েছে,আরে বাবা,তোর পছন্দ হয়েছে এখানে আমার কি বলার আছে!”
ফোন রেখে জারার দিকে তাকালেন-“আমার ছেলেরা আমার প্রাণ,আমার সবচে দুর্বল স্থান।বিশেষ করে আমার বড়ছেলে আফনান,ওর জন্য আমি সব পারি।ওর প্রতি আমার ফিলিংস বাকি সব কিছু থেকে আলাদা,তুমি আমার সবচে দুর্বল স্থানটাতে আঘাত করেছো।
-“দেখুন,আমি তো ওনাকে বিয়ে করার জন্য কোনরকম জোর করিনি বরং উনি নিজেই…..!”
-“থাক্…ধমক দিয়ে জারাকে থামিয়ে দিলেন আফনানের মা।ওসব কায়দা কানুন আমার জানা আছে।তুমি ইচ্ছে করোনি আর অমনি অমনি বিয়ে হয়ে গেল?”(বলে সাবিহা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন-)”
-আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিলো বোনের মেয়েটাকে আমার ফিনের বউ করে আনবো কিন্তু তা আর হোলোনা।আমি হাল ছেড়ে দেবো ভেবেছো?এর শেষ আমি দেখে ছাড়বো।”
বলে আফনানের মা সাবিহা চৌধুরী চলে যাবার জন্য পা বাড়িয়ে আবার ফিরে এলেন-“তুমি যদি ভেবে থাকো যে সব কথা আফনানকে বলে তাকে আমার বিরুদ্ধে বিষিয়ে তুলবে তাহলে তোমার সে আশার গুড়ে বালি।ফিন কখোনোই তোমার কথা বিশ্বাস করবেনা।চেষ্টা করে দেখতে পারো।”
জারার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি হেসে গটগট করে হেঁটে চলে গেলেন সাবিহা।জারা নিরবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে খাটের এককোণে বসে পড়ল।তার চোখ থেকে পানি পড়ছে।
♦
সন্ধ্যের পরপরই আফনান ফিরলো।কমলার মুখে সে সংবাদ আগেই পেয়েছে জারা।কিন্তু এক ঘন্টা পার হয়ে যাবার পরও আফনানের দেখা মেলেনি।
এদিকে মায়ের ঘরে বসে আছে আফনান।সাবিহা খুক খুক করে কাশছেন,বারবার বুকে হাত রাখছেন।আফনান মায়ের হাত ধরে বলল-“আম্মু,বেশী খারাপ লাগছে?”
-“না রে সোনা।তুই ঘরে যা বিশ্রাম নে”!
-“যাবো,তুমি হঠাৎ এতোটা অসুস্থ হলে কি করে?”
-” আরে বাবা,লং জার্ণি,ওয়ার্ম ওয়েদার এসব মিলিয়ে একটু ফ্লু মত হয়েছে।তুই এত অস্থির হোসনা তো!”
-“আমি নাহয় জারাকে নিয়ে আসি, ও তোমার কাছে কিছুক্ষণ থাকুক!”
-“আরে না রে পাগল,মেয়েটা আমাকে দেখবে না বাচ্চা সামলাবে?”
-“কমলা তো আছেই! ওকে এখানে পাঠিয়ে দেই! কিছুক্ষণ থাকুক,তোমার যখন ভালো লাগবে তখনই নাহয় ও চলে আসবে!সাবিহা বাধা দেবার মত করলেন কিন্তু আফনান মায়ের বাধা শুনলোনা,”আরে তুমি বসো তো,জারা আসুক,কিছুক্ষণ তোমার কাছে থাক্!”
তোর অসুবিধে হবেনা তো! “দুর্বল কন্ঠে বললেন সাবিহা।আফনান তাকে আশ্বস্ত করলো।সে তার মায়ের জন্য চিন্তিত।মা সেজানের এই অবস্থা হয়ত সহ্য করতে পারছেনা তাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।
সেজানের শরীরের একপাশ প্যারালাইজিডের মত হয়ে গেছে।তার রেগুলার চিকিৎসা চলছে।
আফনান উঠে নিজের ঘরে চলে এল।জারার বাবুকে নিয়ে ব্যস্ত ছিল।আফনানকে দেখেই হেসে সালাম দিল! আফনান সালামের জবাব দিয়ে জারার পাশে বসে পড়ল।জারা উঠে দাঁড়ালো-“বসুন,আপনার জন্য শরবত নিয়ে আসি!”
আফনান জারার হাত ধরে বারন করলো!-“আরে না,কিছু লাগবেনা,তুমি বসো তো!!আম্মুর সাথে দেখা হয়েছে তোমার!জারা হালকা হেসে মাথা নাড়ল-“জ্বী”!
-“কেমন লাগলো আম্মুকে?”আফনান হঠাৎ জারার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।জারা দরজার দিকে তাকিয়ে আফনানকে হালকা ঠেলে দিয়ে বলল-“আরে,কেউ এসে পড়বে তো,আম্মুই যদি এসে পড়ে?”
আফনান কিছুটা মলিন মুখে বলল-“আর বোলোনা,আম্মু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।বলছে বুকটা ব্যথা।
জারা সাথেসাথেই বলে উঠল-“সে কি?”
আফনান উঠে বসল-“হ্যাঁ,সেখানেই বসে ছিলাম এতক্ষণ।মনটা উড়ে উড়ে তোমার কাছে বারবার চলে আসছিল কিন্তু…..আম্মুকে অসুস্থ মনে হলো।কি করে আসি বলো!আম্মুকে বিশ্রাম নিতে বলে এসেছি আর বলেছি, তুমি তার কাছে কিছুক্ষণ থাকবে তার যদি প্রয়োজন হয়! তুমি কি বলো?আম্মুর পাশে আমাদের থাকা তো আমাদের উচিত, তাই না?”
জারা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে উঠে দাঁড়াল-“জ্বী, তা তো অবশ্যই,আপনি বাবুকে একটু খেয়াল রাখুন,ও তো ঘুমাচ্ছে।আমি আম্মুর ঘরে যাচ্ছি!”
…
জারা ধীর পায়ে সাবিহার কক্ষের সামনে এসে দরোজাতে নক করলে সাবিহা আস্তে করে বললেন-“ভেতরে এসো”!
জারা ঢুকে সালাম দিয়ে ধীর পায়ে সাবিহার কাছে গিয়ে বলল-” আপনার নাকি হঠাৎ শরীরটা খারাপ করেছে ?আফনান বলল…!”
-“তাই দেখতে এলে সত্যি বলেছি না মিথ্যা?”সাবিহা জারার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিলেন!”
জারা কিছুক্ষণ নিরব থেকে বলল-“আপনি আগাগোড়াই আমাকে ভুল বুঝেছেন আ..আম্মু।হ্যা্ঁ,এটা সত্য যে,আপনাদের পারিবারিক বিপর্যয়ে কিছুটা হলেও আমার ছোট বোনটি জড়িত ছিল।আমি সেজন্য লজ্জিত অনুতপ্ত।আপনার কাছে সব কিছুর জন্য ক্ষমা চাচ্ছি!আমি জানি সব মা’ই তার সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।আফনান আপনার সুসসন্তান।আর ঘটনাচক্রে আমি তার স্ত্রী।আপনি দয়া করে আমার উপর রাগ করবেন না,আমি আপনার মনে নতুন করে দুঃখ দিতে চাইনা।যদি আপনি চান আফনান আপনার পছন্দের পাত্রীকে নিয়ে জীবন কাটাক।আফনানও যদি তাতে সম্মত থাকে আমি কখনোই আপনাদের পথের বাঁধা হবোনা।তবু আপনি সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন !”
সাবিহা কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললেন-” তোমার কথা শুনে ভালো লাগল।যদি তেমন হয় তবে তোমার আর বাচ্চার খরচ তুমি পেয়ে যাবে!আমি অত পাষাণ নই।তোমাদের দুজনের যা খরচ হয় তা আমি দেবো।তুমি নিজেই চলে যাবে!”
জারা হালকা স্বরে বলল-” আমি নিজে থেকে চলে গেলে জটিলতা বাড়বে, উনি এটা কিছুতেই মেনে নেবেন না,আমাকে খুঁজে বের করবেন,নানা প্রশ্ন করবেন,আর আমি মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত নই।তারচে বরং আপনার ছেলেকে আপনিই বলুন আমার যাবার ব্যবস্থা করে দিতে!আমি কখোনোই আপনার পথের বাধা হবোনা!!””
-“খুব যে ত্ত্ত্বকথা বলছো,আফনানের উপর এতটাই কনফিডেন্ট তোমার?”
-“আমাকে মাফ করবেন মা,বড়দের সাথে মুখের উপর কথা বলা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। আমিতো কেবল আপনার ভুল ভাঙাতে চেয়েছি।”
-“ঢাকায় তোমার আত্মীয় স্বজন কে কে আছেন?”
-“আমার ঘনিষ্ট তেমন কোন আত্মীয় নেই।খুব ছোটবেলায় মা মারা গেছেন।এক ফুপির কাছে মানুষ হয়েছি।
-“ফুপি কোথায় থাকে? “
-“সিলেটে!”
-“সিলেটে তার বাড়ী?”
-“জ্বীনা……ফুপি তো বিধবা মানুষ তিনি আমাদের দুবোনকে নিয়ে ঢাকাতেই ছিলেন।”
কথা বলতেই জারা লক্ষ্য করল সাবিহা দুআঙ্গুল দিয়ে মাথা টিপে ধরেছেন।জারা তার কাছে গিয়ে বলল-“আমি মাথাটা ম্যাসাজ করে দেই,ভালো লাগবে!”
-“না,দরকার নেই। তুমি যেতে পারো!”
যেন শোনেইনি এমনভাবে জারা শ্বাশুড়ীর কাছে গিয়ে তার হাত কপাল থেকে সরিয়ে কোমল হাতে টিপে দিতে লাগল।
সাবিহা বাধা দেবার জন্য কিছু বলতে গেলে জারা বলতে উঠল-“আমি তো চলেই যাবো কদিন পর,যেমনটি আপনি চেয়েছেন।যে কদিন আছি সেকদিন অন্তত আমাকে আপনার মেয়ে হয়ে থাকতে দিন,পুত্রবধু হিসেবে নাহয় নাই মানলেন।”
সাবিহার আরামে ঘুম পেয়ে যাচ্ছিলো।কি বলবেন কথা হাতড়াতে লাগলেন।জারা মৃদুশব্দে বলল-“কাল আপনার নাস্তা আমি তৈরী করবো।সকালে কি খেতে পছন্দ করেন মা?”
-দরকার নেই,বাবুর্চি করবে “!ঘুম ঘুম চোখে বললেন সাবিহা।
-“বাবুর্চির হাতে তো সবসময়ই খান,একবার মেয়ের হাতে খেয়ে দেখুন।আমার মা থাকলে তাকে আমি মজা করে রেধে খাওয়াতাম কিন্তু সেই ভাগ্য আমার হয়নি।চলে গেলে তো আর আপনাকে রেধে খাওয়াবার সুযোগ পাবোনা।করবো মা?”
-“হুঁ,ঠিকআছে।আচ্ছা,তোমার নাম যেন কি?”
-“জারা”!
-“জারা,আমার বালিশটা ঠিক করে দাও তো!খুব ঘুম এসে যাচ্ছে।”সাবিহা আরাম করে কাত হয়ে শুলেন।জারা তার চুলগুলো সরিয়ে সরিয়ে ম্যাসাজ করতে লাগল।”
একসময় তার নাক ডাকার শব্দ শোনা গেল।জারা তার গায়ে পাতলা চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়ে আস্তে করে উঠে গেল।
ঘরে ঢুকতেই আফনান বলল-“কি রে ভাই,শ্বাশুড়ীকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেলে দেখি!”
-“স্যরি,আপনি কি খাবেন এখন,হালকা কিছু নাস্তা দিতে বলি?”
-“দাও,আম্মু কি করে?”
জারা মুখ টিপে হাসল-“ঘুমিয়ে পড়েছে।”
-“সেকি এত তাড়াতাড়ি?”
-“থাক্,ঘুমাক,জার্নি করে এসেছে। একটু বিশ্রাম দরকার।রাতে আমি ডেকে খাইয়ে দেবো”!
আফনান জারার দিকে তাকিয়ে থেকে সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললল-এই অধমের দিকেও একটু তাকিয়ো,না খেতে পেয়ে শুকিয়ে যাবো তো!”
জারা লজ্জা পেয়ে ঊঠে দাঁড়াল-“আমি আসছি!”
যেতে যেতে ভাবল জারা,মা কাছে যেতে দিতে চায়না আর ছেলে খালি কাছে আসার বাহানা খোঁজে।কি এক বিচিত্র জীবন জারার।।
পরদিন সকালে বাবুর্চির কাছে জেনে নিয়ে নিজে নাস্তা বানালো জারা।শ্বাশুড়ী খেয়ে শুধু বলল-“আরেকটু দাও।”তার মুখ দেখে বোঝা গেল তার পছন্দ হয়েছে।এরপর থেকে জারাকে বেশীর ভাগ সময়ই শ্বাশুড়ীর সাথে কাটাতে দেখা গেল।বাবুকে দেখাশোনা করে যেটুকু সময় পায় ততটুকু সসময় কমলাকে বাবুর পাশে বসিয়ে সাবিহাকে সময় দেয় জারা।
কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেল,জারাকে ছাড়া সাবিহা হিমশিম খেতে লাগলেন,হাতের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসটা খুঁজে পাননা।আফনান নিজেও কিছুটা হতাশ।জারা তারচে বেশী মা’র প্রতি বেশী মনোযোগ দিচ্ছে।
সেদিনও জারা ঘোমটা মাথায় দিয়ে রান্নাঘরে কাজ করছিল।আফনান ওকে খুঁজতে রান্নাঘরে উঁকি দিল।দেখল লম্বা ঘোমটার জন্য জারার চেহারা দেখা যাচ্ছেনা কেবল বামপাশ থেকে জারার টিকালো নাকের উপর জ্বলজ্বল করতে থাকা নাকফুলটা আলোর ঝিলিক ছড়াচ্ছে।আফনান সেদিকে চেয়ে রইল।কি বলতে এসেছে ভুলে গেছে।হঠাৎ জারা মুখ তুলে তাকাল-“আপনি এখানে?”
-“আমার কথা মনে আছে তোমার? বলতো আমি কে?”
জারা হেসে ফেলল।হাসলে ওকে দেখতে আরো বেশী সুন্দর লাগে।আফনান রান্নাঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিল।জারার ভয়ে মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল।
আফনান ওর কাছে এসে ওর কোমড় পেঁচিয়ে ধরল-“কি পেয়েছো কি তুমি?আমাকে পাত্তাই দিচ্ছোনা?”
-“ইয়াল্লাহ,তাড়াতাড়ি খুলুন,প্লিজ।কেউ টের পেলে লজ্জায় মরে যাবো আমি।”
-“দাবী আদায়ে আমি সোচ্চার। হয় তুমি আমাকে কথা দিবে নয়তো আমি আমার হক আদায় করে নেবো!”আফনান ওকে আরো শক্ত করে ধরল।জারা কাকুতি মিনতি করতে লাগল-“আচ্ছা,যা বলবেন,সব মেনে নেবো।এখন প্লিজ দরজাটা খুলুন প্লিজ।”
-“প্রমিজ?”আফনান জারাকে মৃদু ঝাঁকি দিয়ে বলল।
জারা কয়েক সেকেন্ড ইতস্তত করে মুখ নামাল-“প্ প্রমিজ”!
-“ওকে,ডান”!”
বলে জারাকে ছেড়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল আফনান।
রাতে খেতে বসে আফনানকে বললেন সাবিহা –” কাল কিছু গেষ্ট আসবে,তুই তাড়াতাড়ি চলে আসিস।জারার দিকে তাকিয়ে বললেন-“বাবুর্চির সাথে আলাপ করে মেন্যুটা তুমি ঠিক করে দিও।”
-“জ্বী,আম্মু!”
-“আমাকে একটু আদা চা করে দিতে পারবে?”
-“হ্যাঁ,মা, আপনি খেয়ে ঘরে যান। আমি আনছি।”
জারা চা নিয়ে যাবার সময় দেখল আফনান গাল ফুলিয়ে বসে আছে ঘরে।জারা দুআঙ্গুল দেখিয়ে ইশারা করল-“একটু প্লিজ,চা টা দিয়েই আসছি।
কিন্তু বেচারী চা দিতে গিয়ে শ্বাশুড়ীর রুমে আটকা পড়ে গেল।আফনান অপেক্ষা করতে করতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে টেরই পেলনা।হঠাৎ কারো হাতের স্পর্শে ঘুম ছুটে গেল।
…….
চলবে……
Leave a Reply