গল্পঃ:-শান্তির খোঁজে পর্ব:-০৭

গল্পঃ:-শান্তির খোঁজে

পর্ব:-০৭

Writer:-Hassab bin Ahmed.

আজকে আমার জীবনের সুন্দর একটি দিন  পার হলো। সারা দিন হুমাইরার সংগে কথা বলতে বলতে পার করলাম । আনন্দের মুহূর্তো গুলো সত্যি তাড়াতাড়ি  পার হয়। এখন রাত ৮ টা বাজে।  আমি আর হুমাইরা খাটের উপর বসে আছি এমন সময় হুমাইরার ফোন এলো।

হুমাইরা:- আসসালামু আলাইকুম আম্মু ভালো আছো?

হুমাইরার আম্মু:- ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। তুই কেমন আছিস? 

হুমাইরা:- আমি ভালো থাকলেই বা কি আর খারাপ থাকলেই বা কি?🙄  আমার ভালো মন্দ দেখার কে আছে? তোমরা তো আমাকে বিয়ে দিয়ে পর হয়ে গেছো?

হুমাইরার আম্মু:-  কেনো কি হয়েছে ?আমাদেরও খারাপ লাগে রে তোকে ছাড়া। আর শুন জামাই কোথায়?

হুমাইরা:- আছে এখানেই । 

হুমাইরার আম্মু:- শুন স্বামীর কথা মনে চলবি সব সময়। আর কালকে তোর আব্বু যাবে তোদের বাসায়.

হুমাইরা:- সত্যি ? কোতোদিন হয়ে গেছে আব্বু কে দেখি না😔

হুমাইরার আম্মু:- আচ্ছা থাক তাহলে।

হুমাইরা:- আচ্ছা ঠিক আছে।

(ফোন কেটে দিয়ে আমাকে বললো)

হুমাইরা:- কাল আব্বু আসবে? 

আমি:- কখন? বাড়িতে তো আব্বু আম্মু নেই তাহলে কি হবে?

হুমাইরা:- তানিশার সঙ্গে কথা হয়েছে। কাল সকালেই চলে আসবে। 

আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে। শুয়ে পরো তাহলে। আর তোমার কোল বালিশ কোথায়?😏

হুমাইরা:- ও হো আমার তো মনেই নেই । ধন্যবাদ আপনাকে।

( মনে ছিলনা তাহলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলাম 🤔)

আমি:- আমি ধন্যবাদ দিয়ে কি করবো এর থেকে ভালো হতো যদি আমার আদর টা ফিরিয়ে দিতে।

হুমাইরা:- ঘুম পাচ্ছে আমার আমি ঘুমিয়ে গেলাম।

আমি:- এখন তো ঘুম পাবেই।🙄

( দুজনে ঘুমিয়ে গেলাম সকালে ফজরের পর আর ঘুমাই নি আজ হুমাইরা কে অনেক খুশি মনে হচ্ছে। হুমাইরা কে এতো খুশি মনে হয় আমি আজ প্রথম দেখলেম । আম্মু এখনো আসে নাই। তাই একা একাই রান্না ঘরে কি যে করছে আল্লাহ জানে। আমি গিয়ে  পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম)

হুমাইরা:- আপনার এই অভ্যাস টা আর গেলো না। ছারেন তো ।

আমি:- আজ এতো খুশি কেনো ?

হুমাইরা:- আপনি যদি বাবা মা কে ছেড়ে আসতেন তাহলে বুঝতেন ।

আমি:- আচ্ছা যদি আজকে তোমার আব্বু তোমাকে নিয়ে যায় তখন কি করবে?

হুমাইরা:- কি আর করবো চলে যাবো। ছাড়েন তো আগে ।

(আমি ছেড়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম )

আমি:- আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে?

হুমাইরা:- কেনো? আপনিও তো যাবেন আমার সঙ্গে ।

আমি:- না‌ আমার কাজ আছে আমি যেতে পারবো না।

হুমাইরা:- ও 😯

আমি:- কি হলো বললে না তো । আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে কিনা?

হুমাইরা:- কেনো পারবো না অবশ্যই পারবো।

(আমার কেনো জানি খারাপ লাগতে শুরু করলো তাই ওখান থেকে চলে এলাম । রুমেও ভালো লাগলো না। আব্বু আম্মুও চলে এসেছে। তাই ভাবলাম অল্প বাইরে থেকে ঘুরে আসি । এখন  দুপুর ২ টা বাজে । মোবাইল টা অফ করে রেখেছিলাম অন করলাম । বাড়িতে গিয়ে দেখি আব্বু আর হুমাইরার আব্বা বসে বসে চা খাচ্ছে আর হুমাইরা আর আম্মু ভিতরের রুমে আছে । আমি আমার শশুর আব্বার সঙ্গে কথা বলে রুমে যাওয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়ালাম তখন আব্বু বললো)

আব্বু:- সাজিদ বসো কথা আছে?

(আমি বসলাম আব্বু হুমাইরা কেউ ডেকে আনলো।)

আব্বু:- সাজিদ, বেয়াই সাহেব বলেছেন যে হুমাইরার হায়ার সেকেন্ডারীর তো আর ৬ মাস আছে তাই আরো তো কমসে কম ৩ মাস ক্লাস করতে হবে। যেহেত এখান থেকে  কলেজ দুর হবে আর হুমাইরাদের বাড়ির সঙ্গেই কলেজ। তাই বেয়াই সাহেব বলছেন এই তিন মাস হুমাইরা কে ওদের বাড়িতেই রাখতে চায়।

(আমি তো শুনেই অস্থির হয়ে গেছি কি বলবো বুঝতে পারছি না। যে বিষয়ে অল্প আগেই মন খারাপ করে বাইরে বসে ছিলাম সেই ঘটনাই এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। হুমাইরা তো শুনেই রুমে চলে গেছে।  মনে হয় হুমাইরার ও যেতে ইচ্ছে করছে তাই আমি বললাম) আমি:-ঠিক আছে অসুবিধা নেই।

হুমাইরার আব্বু:- তাহলে ভালোই কাল তাহলে বাবা তুমি সঙ্গে করে নিয়ে যাবে কেমন।

আমি:- আব্বা আমি যেতে পারব না । আসলে আমাদের তো এখন বেশি ক্লাস ও হয়না তাই ভাবলাম বাড়িতে বসে না থেকে যদি একটা কলেজে শিক্ষক হিসেবে ঢুকতে পারি তাহলে  একটা অভিজ্ঞতা হবে। তাই কাল একটা কলেজে যেতে হবে । আপনি আজ থেকে, কাল হুমাইরা কে সঙ্গে করে নিয়ে যান।

হুমাইরার আব্বু:- আচ্ছা ঠিক আছে । তোমার যেটা ভালো মনে হয়।

(আমার মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল তাই উঠে রুমে চলে গেলাম। দেখি হুমাইরা বিছানায় মাথা নিচু করে বসে আছে।)

আমি:- তোমার জন্য ভালো খবর। কাল তোমার বাবার সঙ্গে বাড়িতে চলে যাবে ।

( হুমাইরা এক দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করল)

আমি:- আরে কি হয়েছে কাঁদো কেনো?

হুমাইরা :- আমি যাবো না.( কাঁদতে কাঁদতে)

আমি:- কেনো? 

হুমাইরা:- আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবোনা। 

( আমি হুমাইরার মুখটা মুছে দিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে  বললাম)

আমি:- আরে এজন্যে এতো কাঁদতে হয়। মাত্র তো তিনটি মাস দেখতে দেখতে চলে যাবে,ইনশাআল্লাহ।  আর তোমার যখন ইচ্ছে হবে চলে আসবে । 

হুমাইরা:- আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না সত্যি!  😭

আমি:- আমাকে ছেড়ে থাকবে কেন।  আমি তো তোমার সাথেই সব সময় থাকবো শুধু  এই পৃথিবীতে না জান্নাতেও থাকবো আমরা এক সঙ্গে । আর তোমার যখন ইচ্ছে আমাকে বলবে আমি আমি আমার মহারানীর সামনে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।

হুমাইরা:-না হবে না আমি যাব না ।

( কিছুতেই আমি বুঝতেই পারলাম না। ।। তারপর আম্মু বুঝিয়ে রাজি করাল। আমি যদিও মুখে বলছি হুমাইরা চলে যাক কিন্তু আমার মন বলেছে হুমাইরা তুমি যেওনা । আমার মন আরো খারাপ হওয়াতে আবার বাইরে চলে গেলাম । আজকে সারাদিন কিছু খাইনি। খিদে পেয়েছে অনেক কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে না। এভাবেই বসে থাকলাম। 

সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর বাসায় ফিরলাম।)

বাসায় ঢুকতেই হুমাইরা বলল

হুমায়রা:- আজকে সারাদিন তো কিছু খান নি। আসুন খেয়ে নেন?

আমি:- খিদে নেই।

( বলে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম হুমাইরা পাসে বসে আছে. কারো মুখে কোনো কথা নেই। ইশার নামাজের জন্য উঠে মসজিদ গিয়ে নামাজ পড়ে বাড়িতে ফিরার সময় আম্মু বলল)

আম্মু:- হুমাইরা সারাদিন কিছু খাইনি ওকে কিছু খাইয়ে দিস। 

(এই মেয়েটা না একে বারে পাগল । সারাদিন,কেঁউ এভাবে না খেয়ে থাকে । এখন আমার নিজের তো বহুত খারাপ লাগছে। রুমে গিয়ে হুমাইরা কে উদ্দেশ্য করে বললাম)

আমি:- সারাদিন কিছু খাওনি কেনো?

হুমাইরা:- আপনিও তো না খেয়ে ছিলেন?

আমি:- আমার খিদে নেই তুমি খেয়ে নাও?

(তাঁর পর হুমাইরা উঠে গিয়ে খাবার নিয়ে এলো )

হুমাইরা:- চলেন দুজনেই খেয়ে নেই?

আমি:- বললাম তো খাবোনা?

হুমাইরা:- আমি খাইয়ে দিলেও খাবেন না?

(আমি আর কিছু বললাম না হুমাইরা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আবার নিজেও খাচ্ছে। সত্যি হুমাইরার মাঝে আমি শান্তি খুঁজে পাই। আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা রুম আয়াত নং ৩০ – বলেছেন “

এবং তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে যাতে তোমরা তাদের সাথে শান্তিতে বাস করতে পার এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। খাওয়ার পর আমি বললাম)

আমি:- ছাঁদে যাবেন?

হুমাইরা:- চলেন ‌

(তাঁর পর দুজনেই ছাঁদে গেলাম। দুজনে বসলাম )

আমি:- কাল তো চলেই যাবে একটা কথা বলি রাগ করবে না তো??

হুমাইরা:- জি বলুন । রাগ করবো কেনো?

আমি:- আমাকে একটু জরিয়ে ধরবে?

(হুমাইরা যেনো এই কথার অপেক্ষায় ছিলো সঙ্গে সঙ্গে আমাকে এমন ভাবে জরিয়ে ধরেছে যেনো আমার মাঝে মিসে যাবে আর কান্না তো আছেই)

আমি:- কাঁদো কেনো?

হুমাইরা:- আপনি সকালে যখন প্রশ্ন করলেন যে আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না কি ? আমি তখন মজা করে বলেছিলেম যে অবশ্যই থাকতে পারবো । কিন্তু আমি সত্যি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।

আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে আগে কান্না বন্ধ করো । আর মাত্র তিনটি মাস দেখতে দেখতে কেটে যাবে। 

আজকে তোমাকে আমার প্রেম কাহিনী সোনাই । 

(হুমাইরা আমাকে ভালো করে জরিয়ে ধরে আমার দিকে রাগানন্নীত ভাবে তাকাল আমি বললাম)

আমি:- আরে শুনো ভালো লাগবে।

    যে সময় থেকে ভালো করে প্রেম ভালোবাসা বুজতে শুরু করলাম তখন আমি পড়ি ক্লাস ৯ এ আমার দুই তিন জন বন্ধু প্রেম করা শুরু করেছে আমিও ভাবলাম আমিও প্রেম করবো কিন্তু ভয় আর লজ্জায় কাউকে প্রেপোজ করতে পারছিলাম না ওদিকে পরিক্ষাও চলে এসেছে তাই ভাবলাম ভালো করে পরিক্ষা টা দিয়ে নেই । তাঁর পর উঠলাম ১০ এ । সবাই এক কথা বলা শুরু করলো এই একটি বছর ভালো করে পঢ়ো । বাবা,মা, শিক্ষক, গ্ৰামের সবর মুখে এক কথা এই বছর ভালো করে পড়বে। এই জন্য ভাবলাম এই বছর ভালো করে পড়েই নেই। তাঁর পর কলেজে এসে ভাবলাম এই বার একটি প্রেম করতেই হবে । কলেজের একটি মেয়ে কে পছন্দ ও করে ফেললাম । যে দিন প্রেপোজ করতে গিয়ে ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি প্রেপোজ করবো এমন সময় ও বলে উঠলো সাজিদ তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো কিছু মনে করবে না তো ‌আমি বললাম বলো কি বলবে বলো ও কি বলেছিলো জানো ও বলেছিলো সাজিদ রাজু কে আমার অনেক ভালো লাগে রাজু কে গিয়ে বলবে আমি ওকে ভালো বাসি।

( হুমাইরা হাঁসা আরম্ভ করলো আচ্ছা মেয়েদের হাসলে এতো সুন্দর দেখায় কেনো?)

হুমাইরা:- তার পর ?

আমি:- তার পর আর কি রাগে দুঃখে কিছু দিন গেলো তার পর আবার ভাবলাম প্রেম তো আমাকে করতেই হবে তাই এক মেয়েকে প্রেপজ করার জন্য ঠিক করে ভাবলাম প্রেপোজ করার আগে বন্ধু হয়ে থাকি কত দিন । তাঁর পর আমাদের বন্ধুত্ত্ব চলছিলো ভালোই একদিন রাতে মেয়েটি আমাকে কল করে বল্লো যে সাজিদ আমার একটা বই কিনতে হবে অডার করে দাও তো বই টার নাম ছিলো জিবনের পরিবর্তন । ঐ বই টা পাওয়া যায় নি কিন্তু আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল প্যারাডক্সিল সাজিদ । যে টা দিয়ে আমার জিবন পরিবর্তন হয়ে গেলো। আর ইছলামে প্রেম হারাম ।

হুমাইরা:- বাহ আপনি তো সেই প্রেম করছেন 😀। তা আপনার প্রাক্তন প্রেমিকারা এখন কোথায়?

আমি:- তা তো বলতে পারবো না । কিন্তু আমি আরো একজনের প্রেমে পড়ে গেছি তাকে আজ প্রপোজ করবো।

(এই কথা শুনে হুমাইরা তো আমাকে ছেড়ে দিয়ে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে গেলো। আমি একটা পেকেট নিয়ে হুমাইরার সামনে বসে বললাম ।

আমি:- আই লাভ ইউ ♥️ । আমার প্রিয়তমা

( হুমাইরা খুশি তে আবার আমাকে জরিয়ে ধরেছে)

হুমাইরা:- আমি তো ভয়পেয়ে গেছিলাম। 

আমি:- কেনো তোমাকে ঐদিন বলেছিলাম তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। আমি দ্বীনে ফেরার পর যখন আমার বন্ধুরা প্রেম করতো তখন আমি ভাবতাম আমিও প্রেম করবো আমার মহারানীর সঙ্গে যেখানে কোনো হারাম নেই।

(হুমাইরা পেকেট খুলতে শুরু করলো)

আমি:- মহারানী এখন খুলতে হবে না কাল তোমাদের বাড়িতে গিয়ে খুলবে?

হুমাইরা:- আচ্ছা ঠিক আছে. আর আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি যে আমাকে ছেড়ে আপনি থাকতে পারবেন?

আমি:- তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবোনা কি না তা আমি জানি না কিন্তু এই টুকু বলতে পারি তোমাকে ছেড়ে আমি ভালো থাকবো না।

হুমাইরা:- আচ্ছা আমার না গেলে হবে না?

আমি:- না যেত হবে। মনে করো এই তিন মাস আমরা প্রেম করছি. আর  দুইটা বিষয় সব সময় মনে রাখবে

১ . নামাজ ২. পর্দা

হুমাইরা:- মনে থাকবে ইনশাআল্লাহ । আর পর্দার বিষয়ে যদি অল্প বলতেন আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা।

আমি:- কেনো বিয়ের দিন তো নিকাব পড়ে ছিলে?

হুমাইরা:- আমাকে জোর করে দিয়েছিলো ।

আমি:-আচ্ছা ঠিক আছে:- আমরা তাহলে ৫ টা পয়েন্ট দেখি-

১.নারী জাতিকে উদ্দেশ্য করে আল্লা বলেন তোমাদের সৌন্দর্য অন্ন কারর সামনে প্রদর্শন করোনা । তুমি হলে বারির ভিতরের সৌন্দর্য।বারির বাইরের না।

সূরা আহয়াব র ৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে”

আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাক-জাহেলী যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।”

২.A woman who says that

Hijab is not compulsory

Is a disbelievers.

Sheiqh ibn baz : fatwa : 8487

৩.যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তাহলে পর-পুরুষের সাথে কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলবে না যাতে অন্তরে যার ব্যাধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয় ।

(সূরা আহযাব সূরা নং:-৩৩ আয়াত নং:- ৩২)

৪.’আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,আমি আমার সে ঘরে প্রবেশ করতাম যেখানে রাসূল (সাঃ) শুয়ে আছেন,তখন আমি আমার বড় চাদর খুলে রাখতাম আর ভাবতাম ইনি হলেন আমার স্বামী আর অপরজন আমার পিতা।পরে যখন হযরত উমর (রাঃ) কে এই ঘরে দাফন করা হল, আল্লাহর কসম আমি কখনো পুরো শরীর কাপড়ে না ঢেকে সেখানে প্রবেশ করিনি উমর (রাঃ) কে লজ্জা করার কারনে।’

(মুসনাদে আহমাদ,মিশকাতঃ১৬৭৪)

৫.স্বয়ং রাসুল (সাঃ) স্ত্রী দের ব্যাপারে জিয়েলাস ছিলেন। একবার এক অন্ধ সাহাবী আসলে, সেখানে উম্মে মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) ছিলেন,তাকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ভেতরে যেতে বললেন। আয়েশা (রাঃ) বললেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহ! তিনি তো অন্ধ”

রাসুল (সাঃ) উত্তর দিলেন, “তুমি তো অন্ধ নও”

হুমাইরা:- হুম বুঝতে পারলাম পর্দা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আচ্ছা চলেন এখন ওনেক রাত হয়েছে।

আমি:- আর অল্প থাকো না । কাল তো চলেই যাবে ।‌ এভাবে তো তামাকে বুকের ভিতর রাখতে পারবোনা।

( হুমাইরা আমাকে ভালো করে জরিয়ে ধরে বললো)

হুমাইরা:- আচ্ছা আপনি একদিন বলেছিলেন আপনার একটি কস্টের দিন গেছে । ঐ বিষয়ে বলা যাবে কি?

আমি:- অবশ্যই বলা যাবে।একটা মেয়েকে নিয়ে সব সময় ভাবতাম । তার কোলে মাথা রেখে গল্প করবো , হাতে হাত রেখে পার করবো সুখ দুঃখের দিন । যাকে ঘিরে হবে আমার পৃথিবী, যার মুখের একটু হাঁসি ফুটানোর জন্য সারা পৃথিবীর সঙ্গে লরতে পরি , যে হলো আমার অনুপ্রেরণা , সেই মেয়েটি আমাকে এক গুরুত্বপূর্ণ রাতে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলো সেই দিন আমার সব থেকে বেশি কস্ট হয়েছিলো । সেই দিন আমার বাসার রাত ছিলো।

(হুমাইরা আবার কাঁদতে আরম্ভ করলো ওকে সান্ত করে রুমে চলে গেলাম।)

চলবে……..

#hassan_irsf


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *