“আমার মহারানী”
পর্ব:-৫
Writer:-Hassab bin Ahmed.
….রেহনুমা কিছুই বলল না , আমি রেহনুমা কে খাটে শুইয়ে দিয়ে আমিও পাসে শুয়ে পড়লাম।
ফজরের আজান হচ্ছে , তাই উঠে পরলাম , আমি উঠতে যাবো তখন দেখি রেহনুমাও উঠতেছে ?
আমি- কি হলো এই ঠান্ডার মাঝে তুমি আবার উঠো কেন???
রেহনুমা- আপনি একা একা তাই আরকি? ভাবলাম পানিটা গরোম করে দেই !!
আমি- আরে না লাগবে না!! তুমি শুয়ে থাক আমি দেখতেছি ! আমি তো প্রতিদিন নামাজ আদায় করে শুয়ে পড়ি , কিন্তু তুমি তো আমার পড়ে ঘুমিয়ে আমার আগে উঠো , বাসার সব কাজ করো !! অন্তত এই কদিন একটুও রেস্ট নাও !!!!
রেহনুমা কিছু বললো না আমি রেহনুমার কপালে চুমু দিয়ে নামাজে চলে গেলাম ! নামাজ থেকে এসে দেখি রেহনুমা ঘুমাচ্ছে , হালাকা আলোতো রেহনুমার মুখটা এতো সুন্দর দেখাচ্ছে ,যা লিখে প্রকাশ করা অসম্ভব , বার বার মনে হচ্ছিল একটা চুমু দেই, আবার ভাবলাম থাক ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে, মোনের সঙ্গে যুদ্ধ করে পেরে উঠলাম না , কখন যে আমার ঠোট রেহনুমার কপাল ছুঁয়ে দিলো বুঝতেই পারলাম না! যাক বাবা রেহনুমা বুঝতে পারে নাই , আমিও শুয়ে পড়লাম আমার এই টা সবথেকে খারাপ অভ্যাস , কারণ ফজরের পর ঘুমোতে নেই , কিন্তু আমি এইটা প্রায় প্রতিদিনই করি ,
ঘুম থেকে উঠে দেখি বেলা ৮ টা বেজে গেছে ! পাশে রেহনুমা নেই, আমি উঠে ফ্রেস হয়ে এসে দেখি রেহনুমা রান্না করছে , আমিও একটু হেল্প করে দিলাম তারপর তিন জন মিলে খেতে বসলাম ! খাওয়া শেষে আমি অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি এমন সময় রেহানা রুমে আসলো ,
আমি- ময়না পাখি একটু এই দিকে আসো তো!!
রেহনুমা – আমাকে কি আপনার পাখি মনে হয় ???😠
আমি- আমি কি তাই বলেছি!! আর শুনেন , এই পৃথিবীতে ভালোবেসে যোতো নামে ডাকা যায় আমি আপনাকে সব গুলো নামেই ডাকবো , তাতে কারো কোন সমস্যা হলে আমার কিছু যায় আসে না !!
রেহনুমা- হুম হয়েছে 😒, কি জন্য ডাকলেন তাই বলেন?
আমি- আমার মাথা টা একটু আঁচড়ে দাও তো !!
রেহনুমা- আপনি জানেন আমি কেন আপনার থেকে দূরে থাকতে চাই , কিন্তু আপনি তাও আমার কাছে আসেন , লোকে শুনলে কি বলবে ,নাপাক অবস্থায় স্বামীর মাথা আঁচড়ে দেয় , একি খাটে ঘুমায় !! আমাদের নিয়ে তো সবাই কটুক্তি করবে!!
আমি – কে কি বলে তা নিয়ে আমি পরোয়া করি না, আমি শুধু দেখি ইসলাম কি বলে !! তুমি কোনটা শুনবে , লোকে কি বলে ঐটা না ইসলাম কি বলে ঐটা !!
রেহনুমা- অবশ্যই ইসলাম যা বলবে তাই শুনবো !! এখন আবার বলবেন না যে ইসলাম এই অবস্থায় স্বামীর মাথা আঁচড়ে দিতে বলেছে !!
আমি- অবশ্যই বলেছে , ইসলাম এমন একটি ধর্ম যেখানে সব কিছুর নিয়ম বলা আছে !! এটাই পরিপূর্ণ দ্বীন !
রেহনুমা- আপনি কি সিরিয়াস!!
আমি- তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না , এক মিনিট দাঁড়াও আমি বুখারী শরীফ টা নিয়ে আসি
পড়ার রুম থেকে বুখারী শরীফ নিয়ে আসলাম , মহারানী আমি পড়ি তুমি মোন দিয়ে শুনো , পড়তে শুরু করলাম ,
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি হায়েয অবস্থায় আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৯৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
রেহনুমা – আমি ভাবতে পারি নি এই রকম একটি ছোট বিষয় ও হাদিসে আছে , সত্যি ইসলাম সম্পর্কে যতো বেশি জানী তোতোই বিমোহিত হৈ !!
আমি – শুন তোমাকে আরো একটি হাদীস শুনাই শুনো
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি হায়েযের অবস্থায় ছিলাম।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৯৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
তাহলে এখন কি আমার মাথা টা একটু আঁচড়ে দিবে??
রেহনুমা কিছু বললো না , আমার পাশে এসে মাথা টা আঁচড়ে দিয়ে চলে গেল , আমিও বেরিয়ে গেলাম অফিসের দিকে ।
কয়েক দিন পর , অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি , এমন সময়
রেহনুমা – শুনছেন ?
আমি- হুম , পাখি বলো।।
রেহনুমা- আজকে কি মোবাইল টা একটু দিয়ে যাবেন ??
আমি- কেন??
রেহনুমা- এমনি আম্মুর কথা অনেক মনে হচ্ছিল , তাই একটু কথা বলতাম।
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে ,
মোবাইল টা রেহনুমা কে দিয়ে , কপালে একটা চুমু দিয়ে চলে আসলাম ।।
সন্ধ্যায় বাসায় পৌঁছে দেখলাম রেহনুমার মনটা অনেক খারাপ ।
রেহনুমা আমার সার্ট খুলে দিচ্ছে , কিন্তু কিছু বলছে না ।
আমি- কি হয়েছে??
রেহনুমা- আম্মুকে ফোন করেছিলাম , অনেক রাগ করেছে আর কখনো ফোন দিতে মানা করেছে।
আমি- সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
রেহনুমা- মরমি কল দিয়েছিলো…
আমি- কি বললো ?
রেহনুমা- ওদের আজকে পরিক্ষা শেষ হয়েছে , তাই আসতে চেয়েছিল , কিন্তু আমি কিছু বলি নি??
আমি:- কেন? ওদের ফোন করে বলো , আমরা দুজন কাল সকালে ওদের নিতে যাবো ইনশাল্লাহ।
রাতে ভাত খাওয়ার পর ,রেহনুমা কে নিয়ে জোসনা বিলাস করছি ,ব্যালকনিতে বসে এক কাপ চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে তুমুল গল্প করছি, এমন রোমান্টিক মুহূর্তে “কাবাব মে হাড্ডি” হয়ে বেজে উঠলো আমার ফোন টা, নাহ নেক্সট টাইম মোবাইল অফ করে রাখতে হবে। নাছির ফোন দিয়েছে , রিছিভ করে
আমি- আসালামু আলাইকুম
নাসির- ওয়ালাইকুম আসসালাম ,
আমি – খবর কি??
নাসির- আলহামদুলিল্লাহ ভালো , তুই তো বৌ পেয়ে আমাকে ভুলেই গিয়েছিস।
আমি- হুম আর তুই এমন সময় ফোন দিয়েছিস , এখন যদি আমি তোকে কাছে পেতাম , তাহলে যে কি করতাম।
কি বলবি তাঁরা তারি বল!!
নাসির- আচ্ছা শোন একটি দরকারের ফোন দিলাম ,
আমি- কি দরকার?
নাসির- কাল তো শুক্রবার , তো শুক্রবারের বিশেষ কিছু আমল আছে কি???
আমি- অনেক আছে ,
নাসির- একটু বল না প্লিজ , তোর ভাবী বলেছে কাল যদি জুম্মার দিনের সুন্নত গুলো আদায় না করি তাহলে খেতে দিবে না ।।
আমি- 😂😂😂😂, চান্দু এখন চাপে পড়ছো, আচ্ছা শোন বলছি , একটি কাগজে লিখে নে—-
পবিত্র জুমার দিনকে বলা হয় মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন।তো এই দিনের কিছু করনীয় হলো —
১.গোসল করা।(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৭৭)
২.গায়ে তেল ব্যবহার করা(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৮৩)
৩.জুমার সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৮০)
৪.সূরা কাহাফ পাঠ করা।(মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২১৭৫)
৫.আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৮১)
৬.পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৪৫)
৭.জুমার দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১০৪৭)
৮.মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৮৩,৯১০)
৯.খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তখনও দু’রাকা’আত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯৩০)
১০.যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৪৮)
পরদিন সকালে আমি আর রেহনুমা , দুজনে মিলে , নিশি আর মরমী কে নিতে গেলাম , তারপর কলেজে থেকে অনুমতি নিয়া বাসায় ফিরছি , নিশি ও মরমী তো আচরীত হয়ে গেছে এতো দামী গাড়ি দেখে। মরমী রেহনুমা কে বলছে ‘ আপু এতো দামী গাড়ি ভারা করে আনার কি দরকার ছিল’ রেহনুমা কিছু বললো না। তারপর বাসায় পৌঁছে গেলাম , ওরা দুজন তো এগুচ্ছে না বাইরেই দাঁড়িয়ে আছে, আসলে বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে ওদের সঙ্গে । রেহনুমা ওদের এনে আম্মুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল । ওরা দুজন তো চোখ বড়বড় করে একবার আমাকে দেখছে আবার রেহনুমা কে দেখছে ।
পড়ে রেহনুমা ওদের সব কিছু বললো ।
রেহনুমা দুই বোনকে পেয়ে অনেক খুশী হয়েছে । আমি তো এইটাই চাই যাতে সারাজীবন আমার মহারানী এইরকম হাঁসি খুশি থাকুক । তিন বোন কি সুন্দর সময় কাটাচ্ছে ,তাই আমি বিরক্ত না করে আমি নিজেই চা করে নিয়ে গেলাম ।
রেহনুমা- আপনি আনতে গেলেন কেন ?
নিশি- বাহ ভাইয়া আপনি তো অনেক কিউট , বউ বসে বসে গল্প করছে আর আপনি নিজেই চা বানিয়ে খাওয়াচ্ছেন ।
আমি শুধু হাসলাম , ঐ দিকে আবার নামাজের সময় হয়ে এসেছে , তাই রেডি হয়ে নিলাম।
আমি- হুমাইরা এইদিকে আসো তো , রেহনুমা এসে আমার সামনে দাড়ালো ।
কিছু না বলে রেহনুমার কপালে একটা চুমু মসজিদে চলে গেলাম।
……
হুমায়রা তো লজ্জায় কুটিকুটি হয়ে ফিরে আসলো ।
নিশি- আচ্ছা আপু দুলাভাই কোথায় গেল ?
রেহনুমা- নামাজে ! কেন?
নিশি- না আমি লুকিয়ে দেখলাম , তোমাদের কান্ড কারখানা 🙂
রেহনুমা – ছি.. নিশি তুই অনেক দুস্ট হয়ে গেছিছ , তোকেও এখন কারো ঘারে চাপিয়ে দিতে হবে দেখছি 😂
মরমী – আচ্ছা অপু ভাইয়াকে আমি অজু করতে দেখলাম ।
রেহনুমা- হুম , উনি বাসা থেকে অজু করে যায়।
মরমী- কিন্তু ভাইয়া অজু করার পর তো তোমাকে স্পর্শ করলো , আর অজু করে কোন মেয়েকে স্পর্শ করলে অজু ফেঙে যায়।
রেহনুমা – আরে না কে বলেছে , অজু করে কোন মেয়েকে স্পর্শ করলে অজু ভেঙে যায় না । তোকে একটা হাদিস বলি শোন –
আয়িশাহ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক স্ত্রীকে চুম্বন করলেন, অতঃপর সলাত আদায়ের জন্য বের হলেন, কিন্তু উযু করলেন না। ‘উরওয়াহ বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে বললাম, ‘সেই স্ত্রী আপনি নন কি? ফলে তিনি হেসে দিলেন।
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, সুলাইমান আল-আ’মাশ সূত্রে যায়িদাহ এবং ‘আবদুল হামীদ আল-হিম্মানী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৭৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
মরমী- ও আচ্ছা , আজকে জানলাম ধন্যবাদ আপু ।
……………
তিন দিন পর —
রেহনুমা – এই যে শুনছেন ?
আমি- হুম ,
রেহনুমা – বলছিলাম কি? কাল তো নিশি আর মরমী চলে যাবে তো ভাবছিলাম ওদের কি সোনার রিং দিতে পারি?
আমি- তুমি কি পাগল হয়ে গেছে , তোমার বোনদের পেছনে এতো খরচ করতে পারব না।
রেহনুমা – সরি , আমি। বুঝতে পারি নাই।
রেহনুমা তো কেঁদেই দিবে , এইরকম অবস্থা হয়েছে , কারণ ও ভাবেনি আমি এই ভাবে বলবো । ব্যাগ থেকে দুইটি বক্স বের করে রেহানাকে দিলাম
আমি- অফিস থেকে ফেরার সময় নিয়ে এসেছিলাম দিয়ে দিও,
রেহনুমা বক্স খুলে তো অবাক হয়ে গেছে ।
রেহনুমা- কিন্তু এগুলো তো ডাইমন্ড ,
আমি- হুম, যে আমাকে ডাইমন্ডের থেকেও হাজার গুণ বেশি দামি বোন দিয়ে দিছে , তাদের কে শুধু সোনা দিবে ??
রেহনুমা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো ।
পরদিন নিশি আর মরমী চলে গেল , যাওয়ার সময় তিন বোনের সে কি কান্না ।
………
দেখতে দেখতে ছয়ট বছর পার হয়ে গেলো , এখন মরমী ও নিশির বিয়ে হয়ে গেছে , রেহনুমার মা ( রুবিনা বেগম) এখন আমাদের সঙ্গে থাকে , একটি বাস এক্সিডেন্ট হয়ে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে , এখন রেহনুমাই সব কিছু দেখে , কিছু বলতে পারে না শুধু চোখের জল ফেলে, আর আমার আম্মু চলে গেছে না ফেরার দেশে , আল্লাহ যাতে ওনাকে সর্বোচ্চ নিয়ামত দান করেন, আমীন, বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা গুলো ভাবছিলাম ,
মালিহা- আব্বু আব্বু, আম্মু তোমাতে যেতে বলেতে..
( মালিহা আমাদের মেয়ে , আমাদের ঘর কে আলোকিত করে আমাদের দুই সন্তান সজিব ও মালিহা এসে আমাদের পরিপূর্ণ করেছে)
দেখি রেহনুমা বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে , আমি গিয়ে রেহনুমার কোলে শুয়ে পরলাম ।
আমি -জি বলুন মহারানী কি হয়েছে ?
রেহনুমা – আপনি আমাকে এখান আর আগের মতো ভালো বাসেন না ?
আমি- কে বলেছে , অবশ্যই ভালোবাসি ??
রেহনুমা – তাহলে আজকে বাইরে যাওয়ার সময় আমাকে আদর দেননি কেন??
আমি- এই জন্যই আমার মহারানী রাগ করে আরে আছে । আসলে হাতে সময় খুব কম ছিল তাই,
রেহনুমা কিছু বলছে না
আমি- সরি সরি সরি সরি , ভুল হয়ে গেছে, এই দেখো কান ধরছি আর কখনো ভুল হবে না ।
তাও কাজ হচ্ছে না
আমি – তাহলে আমার মহারানীর অভিমান ভাঙতে কি করতে হবে?
রেহনুমা – একটি কবিতা বলেন।
আমি- কবিতা তো পরি না , আচ্ছা একটা কবিতার এক লাইন বলি , কোথায় যেনো পড়েছি মনে হয়-
“আমি তোমায় ভালোবাসি তুমিও বাসো জানি , আমি তোমার প্রানের রাজা তুমি আমার রানি”
রেহনুমা শুনে হাসতে শুরু করল হাসতে হাসতে বলল ‘ এইরকম অদ্ভুত কবিতা শুনিনি কখনো ‘ রেহনুমা হাসছে আর আমি সেই হাঁসিতে বিমোহিত হয়ে যাচ্ছি ……..
সমাপ্ত
বি দ্র – আজকে অন্তত আপনাদের মন্তব্য আশা করছি
Leave a Reply