হজরত মুহাম্মদ সা: এর প্রিয় খাবার

রাসূল (সা.) যেসব কাজ করতেন-যা আহার বা পানীয় রূপে গ্রহণ করতেন তাই আল্লাহতায়ালা সুন্নাত করে দিয়েছেন। আল্লাহর আদেশমতে, যে রাসূল (সা.)-এর আদর্শকে জীবনে বাস্তবায়িত করতে পারবে সেই হবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম।তাই হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) যে সব খাবার খেতে পছন্দ করতেন তার কিছু নাম এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রিয় খাদ্য তালিকায় এই খাবার গুলো অবশ্যই থাকবে।

১.ছাগলের হাড়ের গোশত।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৭৮০)
২.লাউ!
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক দর্জি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দাওয়াত করে। তাঁর খাবারের জন্য লাউ মিশ্রিত সারীদ উপস্থিত করা হয়। লাউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খুব প্রিয় খাদ্য ছিল। এজন্য তিনি লাউ খেতে শুরু করেন।


৩.পনির!
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাবিত বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, এরপর হতে আমার জন্য যে তরকারী রান্না করা হতো, তাতে লাউ দেয়া হতো, যদি তা সম্ভব হতো হতো।
(শামায়েলে তিরমিযি, হাদিস নং ২৬২)

তিনি বলেন, তাবূকের ময়দানে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পনীরের একটি টিকা আনা হলে তিনি ছুঁড়ি নিয়ে ডাকলেন এবং বিসমিল্লাহ বলে তা টুকরা টুকরা করলেন।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৮১৯)


৪.সিরকা
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সিরকা কতই না উত্তম তরকারি!
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৩১৭)
ফুটনোটঃমুবারাক ইবনু সাঈদ (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের চেয়ে এই হাদীসটি অধিক সহীহ্‌।
(জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৪২)


৫.তরমুজ এবং তাজা খেজুর!
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তরমুজ তাজা খেজুরের সাথে একত্রে খেতেন।
সহীহ্‌, “সহীহাহ্‌” (৫৭), মুখতাসার শামা-ইল (১৭০)
ফুটনোটঃআনাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। এ হাদীসটি কয়েকজন বর্ণনাকারী হিশাম ইবনু উরওয়া হতে তার বাবার সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাতে আইশা (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই। ইয়াযীদ ইবনু রুমান এই হাদীসটি উরওয়ার সূত্রে আইশা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন ।
(জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৪৩)


৬.শসা এবং খেজুর!
আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শসা খেজুরের সাথে একত্রে খেতেন।
সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (৩৩২৫)
ফুটনোটঃএ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ গারীব বলেছেন। আমরা এ হাদীসটি শুধু ইবরাহীম ইবনু সা’দের সূত্রে জেনেছি। (জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৪৪)


৭.মাখন!
আতিয়্যাহ বিন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের এখানে আসলেন। আমরা তাঁর বসার জন্য আমাদের একটি চাদর পেতে দিলাম। পানি ছিটিয়ে আমরা তা তাঁর জন্য নরম করে দিলাম। তিনি তার উপর বসলেন। তখন আমাদের ঘরে মহামহিম আল্লাহ তাঁর উপর ওহী নাযিল করলেন। আমরা তাঁর সামনে মাখন ও খেজুর পেশ করলাম। তিনি মাখন পছন্দ করতেন।(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩৩৪)


৮.মিষ্টান্ন দ্রব্য ও মধু!
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিষ্টান্ন দ্রব্য ও মধু অধিক পছন্দ করতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৭)
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৬৮২)


৯.দুধ!
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে রাতে আমার মি’রাজ হয়েছিল, সে রাতে আমি মূসা (‘আঃ)-কে দেখতে পেয়েছি। তিনি হলেন, হালকা পাতলা দেহের অধিকারী ব্যক্তি তাঁর চুল কোঁকড়ানো ছিল না। মনে হচ্ছিল তিনি যে ইয়ামান দেশীয় শানূআ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি, আর আমি ‘ঈসা (‘আঃ)-কে দেখতে পেয়েছি। তিনি হলেন মধ্যম দেহবিশিষ্ট, গায়ের রঙ ছিল লাল। যেন তিনি এক্ষুণি গোসলখানা হতে বের হলেন। আর ইব্‌রাহীম (‘আঃ)-এর বংশধরদের মধ্যে তাঁর সঙ্গে আমার চেহারার মিল সবচেয়ে বেশি। অতঃপর আমার সম্মুখে দু’টি পেয়ালা আনা হল। তার একটিতে ছিল দুধ আর অপরটিতে ছিল শরাব। তখন জিব্‌রাঈল (‘আঃ) বললেন, এ দু’টির মধ্যে যেটি চান আপনি পান করতে পারেন। আমি দুধের পেয়ালাটি নিলাম এবং তা পান করলাম। তখন বলা হল, আপনি স্বভাব প্রকৃতিকে বেছে নিয়েছেন। দেখুন, আপনি যদি শরাব নিয়ে নিতেন, তাহলে আপনার উম্মতগণ পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩৯৪)


১০.খেজুর!
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ঘরে খেজুর নেই সে ঘরের অধিবাসীরা অভুক্ত।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৮৩১)


১১.জলপাই(রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১২৭৫)

Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

Share this:


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *