গল্প:- গন্তব্য
পর্ব:-০৩
লেখক:হাছাব বিন আহমেদ
আরিফের বলা শেষে সজিব আর দেরি করলো না।সবাই কে বিদায় জানিয়ে রুমে এসে কথা গুলো ভাবতে লাগলো। শর্ত অনুযায়ী কোরআন পড়ার জন্য কোরআন খুঁজতে লাগলো।ওর রুমে কোরআন থাকার কথা কারণ কেউ একজন এই রুমে কোরআন পড়তো। খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলো। সজিব আর দেরি না করে কোরআন পড়া শুরু করল।
………
পর দিন সকালে
সজিব:- হেলো আরিফ কোথায় তুই।
আরিফ:- এই তো ইউনিভার্সিটিতে।
সজিব:- এখুনি আমার রুমে আসতে পারবি? জরুরী কাজ আছে ।
আরিফ:- আচ্ছা ঠিক আছে।
ফোন রেখে দিয়ে সজিব মনে মনে ভাবছে! ওকি সত্যি এই কাজ করবে? না ওকে করতেই হবে।কাল সারারাত ঘুমাই নি।এই বিষয়টি ঘূরপাক খাচ্ছে মাথায়। সজিব অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।আজ যদি ও সত্যকে গ্ৰহন না করে তাহলে নিজের কাছে নিজেই ছোট হয়ে যাবে সজিব।এই সব কিছু একসঙ্গে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এর ভিতর আরিফ ও নাছির চলে এসেছে।
আরিফ:- কি হয়েছে? কি এমন জরুরী কথা তার জন্য আমাকে ইউনিভার্সিটি থেকে আসতে হলো? বলার আগে এক গ্লাস পানি দে।
সজিব আরিফ কে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে বল্লো
আরিফ:- আমি মুমিন মুসলিম হতে চাই।
সজিব:- আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ,এটা তো ভালো কথা। কিন্তু হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত?
সজিব:- দেখ, আমি অনেক খারাপ কাজ করি কিন্তু আমি নিজেকে এই জন্য ভালো মনে করি যে সত্য যখন আমার সামনে আসে তখন আমি সত্যকে গ্ৰহন করি ।সত্যকে গ্ৰহন করার সাহস আমার ভিতর আছে। কোরআন জানার পর আমি কিভাবে কোরআন কে অবগ্যা করতে পারি? আমি বুঝতে পেরেছি Islam is the truth, it’s a way of life, it’s divine, it’s practical, it’s logic, it’s rational.
আরিফ:- বুঝতে পারলাম! কিন্তু হঠাৎ একদিনে এতো পরিবর্তন?
সজিব:- গতকাল তোদের ওখান থেকে এসে আমি কোরআন পড়া শুরু করি। হঠাৎ আমি কোরআনের একটি চ্যালেঞ্জ দেখতে পাই।
“সূরা বাকারা আয়াত নং -২৩,২৪:আর আমি আমার বান্দার উপর যা নাযিল করেছি, যদি তোমরা সে সম্পর্কে সন্দেহে থাক, তবে তোমরা তার মত একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাক্ষীসমূহকে ডাক; যদি তোমরা সত্যবাদী হও।অতএব যদি তোমরা তা না কর- আর কখনো তোমরা তা করবে না- তাহলে আগুনকে ভয় কর যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর, যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফিরদের জন্য।
এই ধরনের চ্যালেঞ্জ শুধুমাত্র সৃষ্টি কর্তাই দিতে পারেন। কাল রাতে ইছলাম সম্পর্কে আরো পড়াশোনা করলাম, তাঁর পর সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার পরিবর্তন হওয়া উচিত।
আরিফ:- আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তোকে দ্বীনের উপর অটল রাখুন।
নাছির:- আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নাই যে এই ধরনের কোনো দৃশ্য দেখবো।
আরিফ:- হেদায়েতের মালিক আল্লাহ। দেখ ইছলামের উপর চলতে চাইলে প্রথমে তোকে নামাজ আদায় করা শুরু করতে হবে। কখনো নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না।
এর ভিতর নাছিরের ফোন বেজে উঠলো।!
নাছির:- এই তোমাকে না বলেছি, আমি বাইরে থাকলে আমাকে ফোন দিবা না। ফোন রাখো।
আরিফ:- কে ছিলো?
নাছির:- তোদের ভাবি।
আরিফ:- তুই এতো খারাপ কি করে হয়ে গেলি?
নাছির:- মানে?
আরিফ:- তুই তোর স্ত্রীর সঙ্গে এই ভাবে রাগ করে কথা বলতে পারিস না। তোর কি জানা নেই ইসলামে স্ত্রীর মর্যাদা কতো?
সজিব:- আরিফ একটু বলতো শুনি!
আরিফ:- আচ্ছা ঠিক আছে বলছি।
নারীদের অধিকার বিষয়ে মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম সরব হয়েছে ইসলাম। ইসলাম মা হিসেবে, বোন হিসেবে, নিকটাত্মীয় হিসেবে এবং স্ত্রী হিসেবে দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অধিকার। সেসব অধিকার সমাজে বাস্তবায়িত হলে পরিবার হয়ে উঠবে এক টুকরো জান্নাত।
১. স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত তার সম্পদ গ্রহণ করাকে নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ক দলিল হচ্ছে,: “তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপন কর” [সূরা নিসা, আয়াত: ১৯]
২. “আর নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের;[সূরা নিসা, আয়াত: ২২৮]
৩. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আমি আমার স্ত্রীর কাছে উত্তম।”
[সুনানে তিরমিযি (৩৮৯৫), সুনানে ইবনে মাজাহ (১৯৭৭), আলবানী সহিহুত তিরমিযি গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
৪. স্ত্রীকে খুশি করার জন্য আইসক্রিম কিনে আনা মসজিদে টাকা দেওয়া চেয়ে উত্তম। (ড.আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর)
৫. সাফিয়্যা (রা.) ছিলেন, নবীজির অন্যতম স্ত্রী। তিনি কিছুটা খাটো ছিলেন, ফলে উটের পীঠে আরোহন করতে কষ্ট হতো। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সাহায্য করার জন্যে নিজের হাঁটু পেতে দিতেন। সাফিয়্যা (রা.) সেই হাঁটুতে পা রেখে উটের হাওদায় ওঠে বসতেন [সহিহ বুখারি: ৪২১১]
চিন্তা করেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মানুষ হজরত মুহাম্মদ সা: নিজের হাঁটু পেতে দিতেন স্ত্রীর পা রাখার জন্য। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি স্ত্রীর কতো সন্মান।
৬. মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো। আর যদি তাকে তোমার অপছন্দও হয়, তবু তুমি যা অপছন্দ করছ আল্লাহ তাতে সীমাহীন কল্যাণ দিয়ে দেবেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৯)
৭. স্ত্রীর মন প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করা.
*বৈধতার সীমারেখায় স্ত্রীকে যথাসম্ভব আনন্দে ও প্রফুল্ল রাখা হলো স্বামীর প্রতি শরিয়তের নির্দেশ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মপদ্ধতি দ্বারাও তা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুসলমানের জন্য সব খেল-তামাশা নিষিদ্ধ, তবে তার ধনুক থেকে তীর চালনা, ঘোড়া চালনা, স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের রসিকতা, কেননা এগুলো ন্যায়সংগত।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৬৩৭)
*আয়েশা (রা.) সূত্রে এক সফরে (একটি জনমানবহীন নির্জন উপত্যকায়) নবী (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তাঁর আগে চলে গেলাম। পরবর্তী সময় আমি স্বাস্থ্যবান হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে আবারও দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পেছনে ফেলে দিয়ে বিজয়ী হলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ বিজয় সেই বিজয়ের বদলা। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৭৮)
*আয়েশা (রা.) বলেন, একদা মসজিদের কাছে হাবশি ছেলেরা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে খেলা করছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর আমি হাবশিদের খেলা দেখছিলাম। যতক্ষণ না আমার খেলা দেখার শখ পূর্ণ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ততক্ষণ কষ্ট করে আমার জন্য পূর্ণ সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তোমরা ভেবে দেখো! একজন অল্পবয়সী খেলাপাগল মেয়ে কতক্ষণে তার শখ পূরণ হবে? (বুখারি, হাদিস : ৫২৩৬)
৮.স্বামী যদি বিহিত কারণ ছাড়া স্ত্রী-সন্তানের তথা সাংসারিক জরুরি খরচ না করে, তাহলে স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়াও স্বামীর সম্পদ থেকে প্রয়োজনমতো অপচয় না করে খরচ করতে পারবে। হাদিস শরিফে এসেছে, সাহাবিয়া হিনদ বিনতে উতবা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (আমার স্বামী) আবু সুফিয়ান সংসারের খরচে সংকীর্ণতাকারী, সে আমার ও আমার সন্তানের প্রয়োজন পরিমাণ খরচ দেয় না, তাহলে আমি কি তার অগোচরে তার থেকে কিছু নিতে পারি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ, তুমি তোমার ও তোমার সন্তানের প্রয়োজন পরিমাণ তার অগোচরে তার থেকে নিতে পারবে। (বুখারি : হাদিস : ৫২৬৪, বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৭)
৯. স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ না থাকলে তাকে রেখো না। শুধু নির্যাতন ও বাড়াবাড়ি করার জন্য তাকে আটকে রাখা, এই রূপ আচরণ করতে কোরআন মাজিদে অন্তত কঠিন ভাষায় নিষেধ করা হয়েছে। “তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সীমালঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটকে রেখো না। আর যে তা করবে সে তো নিজের প্রতি যুলম করবে। আর তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে উপহাসরূপে গ্রহণ করো না।”(সুরা বাকারা আয়াত 231)
১০.স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করা সুন্নত (সহীহ বুখারী ৬৭৬)
আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে তার স্ত্রীদের সাথে কী কী করতেন তা জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেন, “তিনি স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন, আর যখন নামাযের সময় হতো তখন তিনি নামাযে যেতেন”। [2]সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতাপ দেখানোর মত লোক ছিলেন না। বরং নিজের কাজ নিজেই করতেন। এ হাদীস দ্বারা তিনি উম্মতকে এ শিক্ষা দিয়েছেন যে, স্ত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, তাদের সাথে ঔদ্ধত্য আচরণ করা যাবে না।
[1] ইবন মাযাহ: হাদীস নং ১৯৭৭, তিরমিযী: হাদীস নং ৩৮৯৫।
[2] বুখারী, হাদীস নং ৬০৩৯।
১১. ‘‘ বান্দা যখন বিবাহ করে, তখন সে তার অর্ধেক ঈমান (দ্বীন) পূর্ণ করে। অতএব বাকী অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’’[সহীহ আল-জামিউস সাগীর ওয়া যিয়াদাতুহ হা/ ৬১৪৮, সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, ইমাম আলবানী বলেন, হাদিসটি হাসান লিগাইরিহ]
১২.সা‘দ বিন আবী ওয়াকক্বাছ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, চারটি বস্ত্ত হ’ল সৌভাগ্যের নিদর্শন: পুণ্যবতী স্ত্রী, প্রশস্ত বাড়ী, সৎ প্রতিবেশী ও আরামদায়ক বাহন। আর চারটি বস্ত্ত হ’ল দুর্ভাগ্যের নিদর্শন : মন্দ স্ত্রী, সংকীর্ণ বাড়ী, মন্দ প্রতিবেশী ও মন্দ বাহন।(আহমাদ হা/২৪৪৫; ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪০৩২; ছহীহাহ হা/২৮২; ছহীহুল জামে‘ হা/৮৮৭।)
উক্ত হাদীছে একটি উত্তম পরিবারের জন্য আবশ্যিক বিষয়গুলি বিধৃত হয়েছে। যার মধ্যে ক্রমিকের হিসাবে পুণ্যবতী স্ত্রীকে প্রথমে আনা হয়েছে। এর দ্বারা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সকল সম্পদের সেরা সম্পদ হ’ল পুণ্যবতী স্ত্রী।
১৩.রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا الْمَرْأَةُ الصَّالِحَةُ ‘দুনিয়াটাই সম্পদ। আর সেরা সম্পদ হ’ল পূণ্যশীলা স্ত্রী’।( মুসলিম হা/১৪৬৭, মিশকাত হা/৩০৮৩)
১৪.আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর স্ত্রীদের কেউ কেউ একই পাত্রের পানি নিয়ে গোসল করতেন। মুসলিম (রহঃ) এবং ওয়াহ্ব ইব্নু জারীর (রহঃ) শু‘বাহ (রাঃ) হতে ‘তা ফরয গোসল ছিল বলে বর্ণনা করেছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬২)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৬৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
১৫.একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে অবস্থান করছিলেন, রাসূলের অপর স্ত্রী খানাসহ একটি পাত্র তার নিকট প্রেরণ করেন, আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা পাত্রটি হাতে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খানা জমা করতে করতে বলতে ছিলেন: “তোমাদের মা ঈর্ষা ও আত্মসম্মানে এসে গেছে”। [বুখারি]
১৬.- আয়েশা! একটা দৃশ্য আমার মৃত্যুটা সহজ করে দিয়েছে।
– কোন দৃশ্য ?
– আমি দেখেছি, জান্নাতেও তুমি আমার স্ত্রী
সবশেষে বলি স্ত্রীর সন্মান ও মর্যাদা বুঝানোর জন্য একটি হাদীস ই যথেষ্ট ” হজরত মুহাম্মদ স: বলেছেন তোমাদের মধ্যে যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো সেই ব্যক্তি সব থেকে ভালো” তাঁর মানে তুই যদি তোর স্ত্রীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার না করিস তাহলে তোকে ভালো মানুষ বলতে পারিস না।
নাছির:- আমি কথা গুলো জানতাম কিন্তু কখনো ভেবে দেখিনাই। আমি যাই, গিয়ে রাগ ভাঙ্গাতে হবে!
আরিফ:- হুম তাই কর । আর আমিও যাই।
চলবে…………………………
Leave a Reply