সকল প্রসংশা আল্লাহর। যিনি অবিশ্বাসী-অন্তর বিশ্বাসের আলোয় আলোকিত করতে অবতীর্ণ করেছেন সত্য ও মিথ্যার মাঝে তফাতকারী মহাগ্রন্থ আল-কুরআন।
ছালাত ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সা. এর উপর। যিনি বিশ্বাসের দাওয়াতে নিয়জিত ছিলেন আমরণ।
বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মাঝে সংঘাত আজকের নয়। এ সংঘাত যুগযুগান্তর। বহুযুগ কেটেগেছে। দীর্ঘকাল অতিবাহিত হয়েছে। সংঘাতটা আজও রেয়েগেছে। আসলে এটাকে ‘সংঘাত’ না বলে ‘আঘাত’ বলাই যথার্থ হবে। বিশ্বাসের উপর মিথ্যার আঘাত হেনেছে। তথ্যসন্ত্রাসের আঘাত হেনেছে । ভুল ব্যাখ্যার আঘাত হেনেছে। তবুও এ বিশ্বাস মাথা উঁচিয়ে আছে মানবজাতির সূচনা থেকে।
আমাদের লিখালিখির স্বপ্নটা ছোটবেলা থেকেই ছিলো। একজন লেখক হবো এ স্বপ্ন আমাদের অনেক পুরোনো। যখন থেকে লিখতে পারি। টুকিটাকি মনের কথাগুলো কলমের ভাষায় প্রকাশ করতে পারি। তখন থেকেই নিয়মিত রোজনামচা লিখতাম। কিন্তু লেখক হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও নাস্তিকতার অন্ধকারে বিশ্বাসের মশাল হাতে নিতে হবে তা কখনো ভাবিনি। এ বিষয়ে আমরা হারিয়ে যাব, আমাদের নেশায় পরিনত হবে, কল্পনাও করিনি। যখন দেখতাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নাস্তিকরা ডাহা মিথ্যা প্রচার করছে। ভুলভাল ব্যাখ্যা দিয়ে পাণ্ডিত্য জাহের করছে। কোরআনের একটা আয়াতও ঠিকভাবে পড়তে পারে না, কিংবা হাদিসের ‘ইবারত’ পড়া তো দূরে থাক উচ্চারণও ঠিকঠাক করতে পারে না। তারাই কিনা আবার ইসলামের গোঁমড় ফাঁস করতে হৈ-হুল্লোড় শুরু করেছে। এ সব দেখে লেখালেখির টপিক নির্ধারণ করি। এবং দুজন মিলে ‘সত্যমনা’ প্লাটফর্ম তৈরি করে ফেলি।
আলহামদুলিল্লাহ সত্যমনার লেখা পড়ে প্রতিনিয়ত উপকৃত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। নাস্তিকতা, অবিশ্বাস আর সংশয়ের আঁধারে আলো পাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ইতিমধ্যে অনেকেই মেইল, মেসেজ এবং ফোনকল করে সত্যমনা লেখক টিমকে জানিয়েছেন তাদের পরিবর্তনের কথা।
‘সংশয় নিরসন’ কোন পূর্ব পরিকল্পিত বই না৷ এটা বাস্তবিক অর্থেই সংশয় নিরসন। বহু মানুষ যে বিষয়গুলো নিয়ে যুগের পর যুগ সংশয়ে ভুগেছে। তার-ই নিরসন করা হয়েছে এই বইতে। এটা পরিকল্পিত নয় এই কারণে যে, স্বয়ং ভুক্তভোগীরা ‘সত্যমনা প্লাটফর্মের মাধ্যমে’ আমাদের কাছে উক্ত প্রশ্নগুলো করেছেন। এবং উত্তর পাওয়ার পর পরিপূর্ণ সেটিসফাইড হয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
সত্যমনা প্লাটফর্মে বহুদিন কাজ করে যা বুঝলাম, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ ইসলামের ভুল ব্যখ্যার উপর ভিত্তি করে সংশয়ে ভুগে। এই ভুল ব্যাখ্যা গুলোকে আরও রংচঙ মেখে নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষীরা সাধারণ মানুষের সামনে উপস্থাপন করে। এক্ষেত্রে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে- যে করেই হোক মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলা, মিথ্যাচার করে হলেও।
তাই তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ধরন একটু আলাদা, শুধু সংশয় দূর করেই আমরা খ্যান্ত হতে নারাজ। সবসময় কামনা ছিল, আমাদের লেখা পড়ে যাতে মানুষের সংশয় দূর হওয়ার সাথে সাথে অন্যদেরও সংশয় দূর করার মতো ক্যাপাসিটি তার মধ্যে তৈরি হয়। তাই পাঠকদের নিকট আমাদের আবদার থাকবে, আপনারাও চেষ্টা করবেন। শুধু নিজের সংশয় দূর করেই খ্যান্ত থাকবেন কেন! বরং সকলের সংশয় দূর করার মিশনে নামুন। শুধু সত্যমনা পাঠক নয়, সত্যমনা লেখক হয়ে আমাদের পাশে থাকুন। এই বইটি প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।
আর নাস্তিকদের কাছে আমাদের ছোট্ট নিবেদন- শুধুমাত্র বিরোধিতা করতে হবে বলে বিরোধিতা করছেন, এমনটা যেন না হয়। সত্যি কারের মুক্তমন নিয়ে বইটি পড়ুন। আরেকটা কথা মনটা কেবল মুক্ত থাকলেই চলবে না। বরং সত্যের নিকট পৌঁছতে সত্যমনা হওয়া আবশ্যক। আশা করি সত্যের সাথে আপনার কোন বিরোধ নেই। যার আছে সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোকা।
এই বইটি প্রকাশ হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান হলো হাছাব বিন আহমেদ ভাইয়ের। তিনিই স্বপ্রণোদিত হয়ে সুদূর ভারত থেকে বাংলাদেশী এই ভাইদের লেখাগুলোকে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই বইটি পড়ে যারাই উপকৃত হবেন। যারাই দ্বীনের পথে পা বাড়াবেন। সে সমস্ত সাওয়াব থেকে যেন মহান আল্লাহ তায়ালা হাছাব ভাইকে একটি অংশ দান করেন। আমিন।
সত্যমনা লেখক টিম।
বাংলাদেশ।
২৯/৪/ ২২ ইং…
নাস্তিকতা আজ আমাদের সমাজে মহামারী আকার ধারণ করেছে। আমাদের চারপাশে অনেক লোক আছে যারা নির্দ্বিধায় নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করে। অধিকাংশ যারা নিজেদের নাস্তিক বলে দাবি করে তারা নিজেরা ধর্মের উপর পড়াশোনা করে নাস্তিক হয়েছে বিষয়টি এরকম না, এরকম না যে তাদের দর্শন শাস্ত্রের উপর পি এইচ ডি রয়েছে। আসলে তার নাস্তিক হয় নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। আরো একটি অংশ নাস্তিক হয় ইসলামের ভুল ব্যখ্যার উপর ভিত্তি করে।
সাময়িক শান্তি, সম্পদ, ঐশ্বর্য,মেধা আর আভিজাত্যের ভিড়ে আমরা ভুলে যাই মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের পৃথিবীতে কেন পাঠিয়েছে?
কিছু মানুষের ভুল ব্যখ্যা শুনে অন্ধকার গলিতে নিজেকে হারিয়ে ফেলি নিমিষেই।এক অদ্ভুত রঙিন চশমা দিয়ে আমরা ইসলামকে দেখতে শুরু করি, যেই চশমা কখনো সত্য দেখতে চায়না, সেই চশমা শুধু ভুল খুঁজে বের করতে চায়। সেই চশমা কে সত্যর আলো দিয়ে ভেঙে ফেলতে কাজ করে যাচ্ছে সত্যমনা টিম। (sotto-mona.com)
আপনাদের এক নাস্তিকের কথা বলি যে তার স্বামী কে খুন করেছে, কারন স্বামী তার পরকিয়ার কথা যেনে গিয়েছিল।
যার সাথে বছরের পর বছর সংসার জীবনের ঘানি টেনেছে””! আর সেই মানুষটাকে হত্যা করতে তার মনে কোন প্রকার অণুসূচনাবোধ কাজ করে না””!
!বর্তমানে আমাদের সম্পর্কের মূল্যবোধের কতটুকু অব্যক্ষয় হয়েছে””! যা চিন্তা করলেও গা শিঁউরে উঠে””!
!এর মূলকারন হচ্ছে, ধর্মীয় অনুশাসন থেকে সরে যাওয়া””! কেননা ধর্ম মানুষকে সুন্দর একটা পথের সন্ধান দেয়””!
আর আমরা যখন ধর্ম কর্মে নিজেকে মানিয়ে গুছিয়ে নেই””! আরেক দল মানুষ বলে, এরা তো ধর্মের গোলাম হয়ে গিয়েছে””!
আধুনিকতা আমাদের বর্বরতা শিক্ষা দেয়””! আর ধার্মিকতা শিক্ষা দেয় মানবতার””!
উচ্চ শিক্ষিত হওয়া মানে নিজের ধর্ম, নিজেকে, স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া নয়। স্রষ্টাকে আরও ভালোভাবে জানা, উপলব্ধি করা!
আপনি যদি নাস্তিক অথবা সংশয়বাদী হয়ে থাকেন তাহলে এই বইটি প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।
মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া যে এখন আমাদের কিছু ভাই-বোন নাস্তিকদের এই ভুল ব্যখ্যা ধরিয়ে দিচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ এখন ইন্টারনেটে লাখো ওয়েবসাইট আছে যেখানে নাস্তিকদের করা ভুল ব্যখ্যাগুলো ধরিয়ে দেয়া হয়। এবং লাখো কোটি লোক নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দ্বিনের পথে ফিরে এসেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ ‘সত্যমনা’ও কাজ করে যাচ্ছে সত্যর আলোকে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে। এবং অনেক ভাই-বোন ‘সত্যমনা’ এর মাধ্যমে নাস্তিকতা ও সংশয়বাদ থেকে ফিরে এসেছেন আলহামদুলিল্লাহ। সত্যমনা টিমকে যতোই ধন্যবাদ দিবো ততোই কম হবে । আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি ‘সত্যমনা’ টিমকে আল্লাহ উত্তম মর্যাদা দান করুন আমিন।
হাছাব বিন আহমেদ
২৪/৪/২০২২ ইং…(ভারত,আসাম)